ইজাজুলঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর (ডিএনসি) উত্তর মেট্রো অঞ্চলটি অর্থাৎ উত্তরার আনাচে-কানাচে মাদকে সয়লাব। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নারকোটিক্স উত্তর মেট্রোর অব্যবস্থাপনা সাধারণ জনগণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। অঞ্চলটির রেললাইন সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বিভিন্ন বস্তিপাড়া ও মহল্লা এমন কি সেক্টরের আনাচে-কানাচে ইয়াবা, হিরোইন, শিষা দেশি-বিদেশি মদ সহ মাদকের সয়লাব হলেও ডিএনসির রহস্যজনক নিরবতা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় নগরবাসী কাছে প্রশ্ন উঠেছে। শুধুমাত্র উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরে ১৩টি বার ও ক্লাব রয়েছে ।সেগুলোতে চলছে দেশী- বিদেশী মদের রমরমা বাণিজ্য ও দেহ ব্যবসা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আমদানি নিষিদ্ধ দেশি-বিদেশি মদ বিক্রয় হচ্ছে বারগুলোতে হারহমেশা। প্রতিটি বারের নিচে ও আশেপাশের রোডে দেশি-বিদেশি মদ পার্সেল সরবরাহের জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব কর্মী বাহিনী। বারের সামনে দাঁড়ালে গ্রাহককে বলবে স্যার পার্সেল লাগবে না উপরে যাবেন। তবে বারে বসে ড্রিংকস করলে ফরেন লিকার নিতে হবে আর দেশি মদ পার্সেলে বিক্রয় হয়। এছাড়াও প্রিমিয়াম লিকার ওপেন ও পার্সেল করে থাকে।
অভিযোগ উঠেছে, নারকোটিক্স এর নীতিমালা লংঘন করে এহেন কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে উত্তর মেট্রো নারকোটিক্স পরিদর্শক জিল্লুর রহমানের উপটোকন বাণিজ্যের কারণে।
বারে কাজ করে এমন একজন প্রোটেক্টর মারফত জানা যায়, প্রতিমাসে জিল্লুর রহমান প্রতিটি বারের জিএম বা মালিক এর সাথে গভীর আঁতাত রয়েছে। তার জন্য থাকে মাসিক মাসোহারার ব্যবস্থা এবং থানার ওসিদের নিকট পৌঁছে দেয়া হয় মাসিক তোলা। স্থানীয় প্রশাসনের নিরবতা ও নারকোটিক্স এর রহস্যজনক নীরবতা অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে।
উত্তরায় কিচেন বার, মার্গারিটা, ক্যামফায়ার, কোরিয়ান বার, রয়েল ক্লাব, কিংফিশার ও সিগনেচার বার সহ অন্যান্য বারের কথেক স্টাফ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এর দায়িত্ব ছিলেন বেলাল হোসেন এখন এখানকার ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান দেখভাল করে এবং উপঢোকন গ্রহণ করেন। ওই স্টাফ
তারা আরো বলেন, টাকা পয়সা দিতে দেরি হলে অথবা ঝামেলা হলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। তাছাড়া আর কোন সমস্যা হয় না।
জানা গেছে, বিগত সময়ে উত্তর মেট্রো নারকোটিক্স এর উপ-পরিচালক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে এশার নামক একটিবারের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা কালে দেশি বিদেশি মদ জব্দ করে এরপর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টির মত অনেক কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো বার গুলিতে ডান্সকর্মীর বাহানায় চলছে নারী কর্মী মাদক,ইয়াবা, হিরোইন ও ফেনসিডিল সহ মাদকের সয়লাব উত্তরের আনাচে কানাচে। এ পরিস্থিতিতে নারকোটিক্স এর পোস্ট এর কার্যক্রম কে নগরবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরা বার গুলোতে টাকিলা, কেরু, সিভাস, বিদেশী হুসকি, ভোদকা, ব্ল্যাক লেভেলসহ সমস্ত আমদানী নিষিদ্ধ বিদেশী মদ ও বিয়ার দেদারছে অবৈধ ভাবে কেনাবেচা হচ্ছে।
সংবাদকর্মী
Post Views: 47




