দি ক্রাইম ডেস্ক: বৈদেশিক প্রকল্পের পরিবেশ বিধ্বংসী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্তরের পরিবেশবাদীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর এই মানববন্ধন করেছে।
এতে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে “মিডা” অধ্যাদেশ বাতিল এবং মহেশখালীর কৃষক, চাষী ও শ্রমজীবী মানুষের ভূমি অধিকার সংরক্ষণ করার দাবি জানান।
বক্তারা জানান, মহেশখালীতে হোয়ানক, কালারমারছড়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা এলাকায় মিডা অধ্যাদেশ-২৫ কার্যকর করা হয়েছে, যা মূলত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৮২৪ সালের অবৈধ নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি। এই প্রকল্পগুলোতে সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ নেই।
ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ’র নির্বাহী প্রধান মোঃ জাবেদ নূর শান্ত বলেন, ‘আমরা কখনো টাকার মাপকাঠিতে উন্নয়ন চাইনি। আমাদের ওপর যে উন্নয়ন চাপানো হচ্ছে, তা এক ধরনের আগ্রাসন। এখনো সবকিছু ব্রিটিশ উপনিবেশিক ছায়ায় চলছে। যে উন্নয়নে মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থান নেই, সেটি উন্নয়ন নয়। ভবিষ্যতে এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেশের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে। কৃষি প্রধান দেশে কৃষি উন্নয়ন না করা এবং নদীমাতৃক দেশে নদী ও সাগরের ভারসাম্য ক্ষুণ্ণ করে উন্নয়ন করা আশঙ্কাজনক। আমাদের সকলের এখন ভাবতে হবে আমরা আসলে কেমন দেশ চাই।’
এতে 350 বাংলাদেশ, মহেশখালী রক্ষা আন্দোলন, সিইএইচআরডিএফ, ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশ, ইয়ুথ অ্যাকশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জাইদা), সেইভ দ্যি মহেশখালী আইল্যান্ড এবং ক্লাইমেট ক্লাব’র সদস্যরা অংশ নেয়। এই কর্মসূচি ছিলো ‘350 বাংলাদেশ’র একটি গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ‘ড্র দ্যি লাইন’।
আন্দোলনকারীরা বিশেষভাবে দাবি করেন, ভূমি অধিগ্রহণ আইন ২০১৭ (সংশোধিত) বাতিল করা হোক। পাশাপাশি মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থানের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন এবং এমন প্রকল্প থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।