নিজস্ব প্রতিনিধি: এশিয়ার এক মাত্র নদী যে খানে নিশিক্ত পানিতে মা -মাছ ডিম ছাড়ে দীঘ অপেক্ষার পর অবশেষে পুরোদমে হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। বজ্রপাত ও বৃষ্টির মধ্যে হালদা নদীর পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ২টা পর্যন্ত হালদা পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের ডিম নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর আমতুয়া অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। পরে ডিম হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। শ্বেত ‘স্বর্ণের’ ডিম সংগ্রহ করতে পেরে ডিম সংগ্রহকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
নয়াহাটকুম এলাকার শহীদুল্লাহ ও কাটাখালী স্লুইসগেট এলাকার হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হালদা নদীতে জোয়ারের সময় পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ডিম সংগ্রহ করতে পেরে কষ্ট সার্থক হয়েছে। বজ্রপাত ও বৃষ্টি হলে সবাই ঘরে ফিরে আসে। আর এ সময়ে হালদা নদীর ডিম সংগ্রহ করতে আমাদের আনন্দ লাগে।
রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে জোয়ারের সময় হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে পুরোদমে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ায় হালদা পাড়ে ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসবে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান হালদার মা-মাছ রক্ষায় নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে সকলকে।কারন হালদা সবার সম্পদ,দেশের সম্পদ।হালদাকে রক্ষা করতে হবে এক মাত্র মা-মাছের সার্থে।
সূত্রটি জানান, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মা-মাছ সানন্দে ডিম ছেড়েছে।বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিল হালকা বৃষ্টি।সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যে রাতে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সংখ্যা যেমন বাড়তে থাকে,তেমনি উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি যোগ হয় হালদার পানির সাথে।
গবেষকদের মতে, সর্তা ও হালদার পাহাড়ী ঢলের মিশ্রনে মা-মাছ ডিম ছাড়তে বেশ আগ্রহি হয়ে উঠে।যার কারনে বৃহস্পতিবার রাতটি ছিল মা মাছের ডিম দেবার উপযোগি সময়।
কয়েকজন জানান, হালদার পাড়ে মিডিয়া ও ইউটিওবারের কর্মিদের ভীড়ে ডিম সংগ্রহকারীরা অনেক সময় বিরক্তি বোধ করে।




