নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ধীন কথেক কর্মকর্তার যোগসাজশে পটিয়া উপজেলাধীন ৭নং জিরি ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা গেছে,সরকার পরিবর্তনের পর আওয়ামী অনুসারী চেয়ারম্যান পলাতক হওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের সকল উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়াম্যানের পদ বিলুপ্ত করার পর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার কর্মর্কর্তার মাধ্যমে সকল ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৭নং জিরি ইউনিয়নে সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন না করে সমাজের ডাকাত ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মেম্বার লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতু ডাকাতকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য পটিয়া উপজেলা কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বরাবরে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৩(৫)উপধারা(১) ও (৪) মোতাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য পত্র প্রেরণ করেন। সেই মোতাবেক জেলা প্রশাসক স্মারক নং-০০.৪২.১৫০০.৭০১.৭০.০১৪.২৩-৩০৮ মূলে লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতু ডাকাত,নুর আয়শা বেগম ও নাছির উদ্দীনের নাম উল্লেখ পুর্বক ডিডিএলজি বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন।
সুত্রে আরো জানা গেছে,ডাকাত লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতু ডাকাত ডিডিএলজি মো. নোমান হোসেনের বন্ধু বিধায় ডাকাত লুতুকে প্যানেল চেয়ারম্যান করার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য উপাত্ত বিশ্লষণে জানা গেছে, লুৎফর রহমান প্রকাশ লুতু ডাকাতের বিরুদ্ধে পটিয়া থানার মামলা নং-২৪(১০)১৩,ধারা ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩৩২/১৮৬/৩৫৩/৩০৭/৪২৭ দন্ডবিধি আইনে ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও ২০১২ সালে এলিট ফোর্স কতৃক পটিয়া শান্তির হাট থেকে দু’হাজার পিস মরণ নেশা ইয়াবাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় আরো বহু মামলা রয়েছে।
সুত্রে আরো জানা গেছে, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ৭নং জিরি ইউনিয়নের ৯জন ইউপি মেম্বার স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে নুর আয়শা বেগমকে প্যানেল চেয়ারম্যান করার জন্য আবেদন করা সত্বেও তিনি তা কর্ণপাত না করে ডিডিএলজি মো. নোমান হোসেনের রহস্যজনক প্ররোচনায় ডাকাত লুৎফর রহমান প্রকাশ লুতু(৩৭)কে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য জোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লুৎফর রহমান প্রকাশ লুতু ডাকাতের ০১৩১৬-৭৭৪৪৭০ নাম্বারে উল্লেখ্য বিষয় সমুহ জিজ্ঞাসা করলে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়।
জিরি ইউনিয়নের হাশেম মেম্বার দি ক্রাইমের এ প্রতিবেদককে বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শুন্য থাকায় আমরা ৯জন মেম্বার উপজেলা কর্মকর্তা বরাবরে মহিলা মেম্বার নূর আয়াশা বেগমকে প্যানেল চেয়ারম্যান করার জন্য সমর্থন করলেও টিএনও ফারহানুর রহমান এক চোখা নীতি অবলম্বন করে আমাদের আবেদনটি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবরে না পাঠিয়ে ডিডিএলজি মো.নোমান হোসেনের রহস্যজনক চাপে লুতু ডাকাতের পক্ষে পত্র জারি করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন,যদি কর্তৃপক্ষ লুতু ডাকাতকে প্যানেল চেয়রম্যান ঘোষণা করেন তাহলে আমরা একযোগে সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিব।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমানের ০১৭৩৩-৩৩৪৩০৫ নাম্বার বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও মোবাইল সংযোগ দিতে না পারায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মো.নোমান হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর মতামতটি পাঠকদের সম্মুখে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
জিরি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বেশ কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান,সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নুর আয়শা বেগম ভদ্র ও মার্জিত চরিত্রের মহিলা এবং এলাকার সর্বস্তরের জনগণ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।




