নিজস্ব প্রতিবেদক: কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একোয়ারকৃত বিশাল এলাকা কথেক ভুমিদস্যু ও স্থানীয় সাইনবোর্ডধারী রাজনৈতিক কর্মীরা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে দখলকরে ভোগদখল করে আসছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার জন্য আজ সোমবার(২৬ মে)সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট নজরুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে উচ্ছেদকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।
সু্ত্রে জানা গেছে,সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীর পরোক্ষ ইন্ধনে স্থানীয় ভূমিদস্যু মোবারকের নেতৃত্বে প্রায় ৪ শতাধিক দোকান পাট নির্মাণ করে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিলেন। এর ভাগ তৎকালীন কর্মকর্তাদের পকেটভারী হওয়ার কারণে চউকের সড়ক ও নদীকূলবর্তী প্রটেকশন ওয়াল নি্মাণে বরংবার বাধাগ্রস্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার যথাসময়ে কার্যসম্পান্দন করতে পারেনি।

আওয়ামী দোসর মোবারক এই বিশাল অংকের চাঁদার টাকা দিয়ে চউকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন এই সম্পত্তি ভোগদখল ও বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজী করেন।বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী-১ এবং আইন কর্মকতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ঠ আদালতের মিথ্যা মামলাগুলো ব্রেকেট করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা এ প্রতিবেদকে জানান, উচ্ছেদ পরবর্তি জায়গাগুলো পরিত্যাক্তভাবে ফেলে না রেখে সিডিএ মাল্টিপারপাস কোপারেটিভকে চুক্তির মাধ্যমে দিয়ে অস্থায়ী দোকান পাট নির্মাণ করে ভাড়া লাগিয়ত করলে বিশাল অংকের রাজস্ব আদায় হবে।

এছাড়াও নদীকূলবর্তী মাঠটিতে “চউক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র” নির্মাণ করলে চউকের রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ফিসারী ঘাট মৎস্য বাজার ও চসিক কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত মৎস্য বাজারগুলোতে সঠিকভাবে মৎস্যবাহী ট্রলার ও নৌকা ভিড়তে না পারায় কালক্রমে ঘাটগুলো অকেজো হয়ে গেছে।




