দি ক্রাইম ডেস্ক: খুলনার দক্ষিণ জনপদ পাইকগাছায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় অনেকেই পুকুরের শ্যাওলাভর্তি, দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করছেন। বিশুদ্ধ পানির আশায় অনেকেই প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরের জনপদে ছুটে যাচ্ছেন।

পাইকগাছার স্থানীয়র বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা অপ্রতুল। দিনে দুই বার পানি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে একবার। এ পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানির জন্য ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেও ছুটে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া-কলেরাসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সময়ে নলকূপগুলোতে পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। অনেকেই পানি সংগ্রহ করছেন পৌর সদরস্থ মধুমতি পার্কে পানি প্রকল্পের আওতায়ধীন বি ব্লক থেকে।

পানি সংগ্রহে আসা সুশান্ত মন্ডল বলেন, পৌরসভা যে পানি দেয় খাওয়া যায় না। আমি প্রতিদিন এখান থেকে পানি সংগ্রহ করি, যা আমার বাড়ি থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে। শিববাটি, সরল ও বাতিখালী গ্রামের অনেক মানুষদের খাওয়ার জন্য এখান থেকে পানি নিয়ে যায়।

প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে আসা চঞ্চলা রাণী, আরতী ও নাজমা আক্তার বলেন, এখান থেকে আমরা কয়েক দিন ধরে পানি নিচ্ছি। নিরুপায় হয়ে এতো দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, পানির সংকট নিরসনে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯১৪ সাল থেকে পৌর পানি শাখার মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ শুরু করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই বছরই সরল পুকুর পাড়ে তিনটি পাম্প হাউজের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্ট করে সরবরাহ করেন। তখন গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫০টি। বর্তমানে হাউজের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বিপুল চাহিদার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ ১২ শ’ গ্রাহকদের মধ্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করছে। তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন বান্দিকাটি, গোপালপুরের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দারা। পানি সংকটে ওই তিন ওয়ার্ড পানি দিতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।

পৌর পানি সরবরাহ শাখা বিলক্লার্ক মো. শাহিনুর হোসেন বলেন, পানির গুণাগুণ ভালো আছে কি-না তার জন্য প্রতি ৬ মাস পর পর খুলনা (কুয়েট) হতে পানি টেস্ট করা হয়। গ্রাহককে ভালো পানি দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গদাইপুরের মানিকতলা এলাকায় একটা বোরিং করে সেখান থেকে পানি সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু দিন দিন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ায় একটা পাম্প হাউজ দিয়ে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, এ অঞ্চলটি লবণ পানি-অধ্যুষিত, চারিদিকে পানি। তবে বিশুদ্ধ পানি নেই। পৌরসভার বর্তমান পানির গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় পানি সরবরাহ অনেক কম থাকায় এ সংকট উত্তরণে গদাইপুরে পাম্প হাউজের কাজ চলমান। কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে পৌরসভাসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের সুপেয় পানির সংকট থাকবে না।

দি ক্রাইম ডেস্ক: খুলনার দক্ষিণ জনপদ পাইকগাছায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় অনেকেই পুকুরের শ্যাওলাভর্তি, দুর্গন্ধযুক্ত পানি পান করছেন। বিশুদ্ধ পানির আশায় অনেকেই প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরের জনপদে ছুটে যাচ্ছেন।

পাইকগাছার স্থানীয়র বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা অপ্রতুল। দিনে দুই বার পানি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে একবার। এ পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ পানির জন্য ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেও ছুটে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া-কলেরাসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সময়ে নলকূপগুলোতে পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। অনেকেই পানি সংগ্রহ করছেন পৌর সদরস্থ মধুমতি পার্কে পানি প্রকল্পের আওতায়ধীন বি ব্লক থেকে।

পানি সংগ্রহে আসা সুশান্ত মন্ডল বলেন, পৌরসভা যে পানি দেয় খাওয়া যায় না। আমি প্রতিদিন এখান থেকে পানি সংগ্রহ করি, যা আমার বাড়ি থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে। শিববাটি, সরল ও বাতিখালী গ্রামের অনেক মানুষদের খাওয়ার জন্য এখান থেকে পানি নিয়ে যায়।

প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে আসা চঞ্চলা রাণী, আরতী ও নাজমা আক্তার বলেন, এখান থেকে আমরা কয়েক দিন ধরে পানি নিচ্ছি। নিরুপায় হয়ে এতো দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, পানির সংকট নিরসনে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯১৪ সাল থেকে পৌর পানি শাখার মাধ্যমে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ শুরু করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই বছরই সরল পুকুর পাড়ে তিনটি পাম্প হাউজের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে ট্রিটমেন্ট করে সরবরাহ করেন। তখন গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫০টি। বর্তমানে হাউজের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। বিপুল চাহিদার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ ১২ শ’ গ্রাহকদের মধ্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করছে। তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন বান্দিকাটি, গোপালপুরের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দারা। পানি সংকটে ওই তিন ওয়ার্ড পানি দিতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।

পৌর পানি সরবরাহ শাখা বিলক্লার্ক মো. শাহিনুর হোসেন বলেন, পানির গুণাগুণ ভালো আছে কি-না তার জন্য প্রতি ৬ মাস পর পর খুলনা (কুয়েট) হতে পানি টেস্ট করা হয়। গ্রাহককে ভালো পানি দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে পৌরসভার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গদাইপুরের মানিকতলা এলাকায় একটা বোরিং করে সেখান থেকে পানি সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু দিন দিন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ায় একটা পাম্প হাউজ দিয়ে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, এ অঞ্চলটি লবণ পানি-অধ্যুষিত, চারিদিকে পানি। তবে বিশুদ্ধ পানি নেই। পৌরসভার বর্তমান পানির গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় পানি সরবরাহ অনেক কম থাকায় এ সংকট উত্তরণে গদাইপুরে পাম্প হাউজের কাজ চলমান। কাজটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে পৌরসভাসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের সুপেয় পানির সংকট থাকবে না।