নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম ৫৬তম ব্যাচ ক্যাডেটদের মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী ক্যাডেটদের এই শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার জন্য। সমুদ্র সীমা রক্ষা ও বিশ্ব সমুদ্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টিতে তিনি প্রশিক্ষিত নৌক্যাডেট তৈরির পরিকল্পনা নেন। চট্টগ্রামে যে মেরিন একাডেমি ছিল পাকিস্তানিরা সেটি করাচিতে নিয়ে গিয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রামে পূর্নাঙ্গ মেরিন একাডেমি গড়ে তোলেন। ১৯৭৩ সালের ২১ মে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ১৬জন ক্যাডেট এই একাডেমি থেকে ডিগ্রি অর্জন করে। সমুদ্র সীমা রক্ষা ও বিশ্ব সমুদ্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতির জনক “টেরিটোরিয়্যাল ওয়াটার এন্ড মেরিটাইম জোন আইন -১৯৭৪” প্রণয়ন করেন।
তিনি বলেন,, কঠোর প্রশিক্ষণ, রুটিন মাফিক জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাডাররা নিজেকে দক্ষ যোগ্য করে তোলে। বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ পন্য পরিবহন হয় দক্ষিণ এশিয়ার এই সমুদ্রপথ দিয়ে। কাজেই দেশী বিদেশী বিভিন্ন শিপিং কোম্পানিতে নিজের যোগ্যতায় ক্যাডারদের কর্মসংস্থানের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নেতৃত্বে চারটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিপিং কর্পোরেশনে আপনার দেয়া উপহার ৬টি জাহাজে পুরুষ ক্যাডেটদের সাথে প্রতিটিতে ২ জন করে নারী ক্যাডেটও দায়িত্ব পালন করছেন। আপনার নেতৃত্বে দেশের নিরাপত্তা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে যারা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে সততা নিষ্ঠা দক্ষতা দিয়ে তারা ঐকান্তিক দায়িত্ব পালন করবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের প্রদত্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, একাডেমির দুই বছর প্রশিক্ষণ শেষে ৫৬তম ব্যাচের ৩৫৯ জন ক্যাডেট একাডেমিক ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে ১৭২ জন ক্যাডেট নটিক্যাল এবং ১৮৭ জন ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে ৫৬তম ব্যাচের ৩৫৯ জন ক্যাডেটের মধ্যে ৩০০ জন ক্যাডেট দেশী বিদেশী শিপিং কোম্পানিতে যোগদান করেছেন। অবশিষ্ট ৫৯ জনের চাকুরী প্রক্রিয়াধীন।



