পেকুয়া প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলার লামায় এক দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের জমি হাতিয়ে নিতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের অভিনব প্রতারণার শিকার হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন লামা পৌরভার চাম্পাতলী এলাকার মৃত অংচিং মার্মার পুত্র দরিদ্র অসহায় ভিক্ষুক উথোয়াইং চিং মার্মা। অসহায় ভিক্ষুক চলতি মাসের ১০ মার্চ লামার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লামা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদির আইনজীবি এডভোকেট মামুন মিয়া মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামী করা হয়েছে আলীকদম সদর এলাকার মংসুইথোয়াই মার্মার ছেলে মংহ্লাপ্রু(৫৫),লামা পৌরসভার বাজার এলাকার নিথোয়াই মার্মার ছেলে ক্যইশপ্রু মার্মা(৫৬), লামা পৌরসভার নুনারবিল পাড়া গ্রামের মিলন কান্তি দাশের ছেলে রূপন কান্তি দাশ(৪৭), লামার গজালিয়া গাইন্দা পাড়া গ্রামের অংক্যজাই মার্মার ছেলে সিংথোয়াই মার্মা(৩৮),লামার বড় নুনারবিল পাড়া গ্রামের শিশির স্বপন চাকমার স্ত্রী সনজিতা চাকমা (৪০) ও একই এলাকার মৃত ললিত কুমার চাকমার ছেলে শিশির স্বপন চাকমা (৫৬)।

মামলার আর্জিতে বাদি উল্লেখ করেছেন, লামার পৌরসভার ২৯৩ নং ছাগলখাইয়া মৌজায় ১৯৮০-৮১ইং সনের ৫৭৯৭নং বন্দোবস্তিমূলে আর/৫৩৩ নং হোল্ডিংয়ের আন্দর ৩শতক ১ম শ্রেণীর জায়গা সরকার থেকে বন্দোবস্তি পায়। ১৯৯৭সালে ১নং আসামী মংহ্লাপ্রুকে মাত্র ৭হাজার টাকার বিনিময়ে আর/৫৩৩ নং হোল্ডিংয়ের জায়গা মৌখিক ভাবে আমি বন্দক দিই। মংহ্লাপ্রু আমার জায়গায় ১টি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে রাখছে। আমি অভাব-অনটনের কারণে আমার জায়গা বন্দকমুক্ত করতে পারিনি। আমি লামা বাজারে ভিক্ষা করতে আসিলে মংহ্লাপ্রু ও ক্যইশপ্রু মার্মা আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অফিসে নিয়ে গিয়ে টিপসহি নিত। মংহ্লাপ্রু জায়গা বন্দকের কথা বলে টিপসহি গুলো নিত। ক্যইশপ্রু বিভিন্ন দপ্তরে তাহাকে আমার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিত এবং আমার জাতীয় পরিচয় পত্র, আমার জায়গার দলিল ক্যইশপ্রু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে এখনো ফেরত দেয়নি।

মামলার আর্জিতে ভূক্তভোগী আরো উল্লেখ করেছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় লামা কোর্টের সামনে আমি ভিক্ষা করার সময় উল্লেখিত প্রতারকরা পরস্পর যোগসাজসে আমাকে চার হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে একটি সরকারী অফিসে নিয়ে কয়েকটি দলিলে টিপসই নেয়। আমি সরল বিশ্বাসে টিপ সহিগুলো দিয়েছিলাম।পরবর্তীতে বিভিন্ন লোক মারফত জানতে পারি আমি নাকি উক্ত দিনে শিশিরের স্ত্রী সনজিতাকে জায়গা বিক্রয় করে দিয়েছি। প্রকর্তৃপক্ষে আমি কাউকে কোন জায়গা বিক্রয় করিনি। শিশির লামা ভূমি অফিসে চাকুরি করত। উক্ত ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নিয়ে আমি অনেকগুলো প্রতারণা মূলক দলিলের সন্ধান পাই। আমার দায়েরকৃত মামলার ১নং আসামীকে আমি বিগত ১৯৯৭ সালে মৌখিক ভাবে জায়গা বন্ধক দিয়েছিলাম। আমি কোনদিন কোন কালে ৩ নং আসামীর নিকট জায়গা বিক্রয় করিনি। অথচ রেজিষ্ট্রেশন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিগত ৩১/১২/২০০৮ ইং তারিখে ১ ও ২ নং আসামী আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে আমার টিপ সহি নিয়ে ৬ছয় লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেছে মর্মে উল্লেখ করে বায়নানামা দলিল নং-১৪৫৯/২০০৮ইং মূলে আমার জায়গার বিষয়ে দলিল সৃজন করে নেয়। উক্ত দলিলে ২ নং আসামী স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বিগত২৭/০২/২০১২ইং তারিখে আমার জায়গা সংক্রান্তে আট লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেছেন মর্মে উল্লেখ করে ১, ২ ও ৩ নং আসামীদের সহায়তায় ৪ নং আসামীকে জায়গা বিক্রয় করে দিয়েছি মর্মে আরও একটি বায়নানামা দলিল নং- ৩২০/২০১২ সৃজন করে নেয়। উক্ত প্রতারনা মূলক দলিলে ৩ নং আসামী স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বিগত ১৩/০২/২০২৪ ইং তারিখে আমি লামা বাজারে ভিক্ষা করতে আসিলে ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং আসামীগণ আমাকে চার হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে একটি অফিসে নিয়ে গিয়ে ৪ নং আসামী কর্তৃক ফেরত নাদাবী দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও একই দিনে জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ সৃজন করে নেয়। বায়নানামা দলিল নং- ১৪৫৯/২০০৮, বায়নানামা দলিল নং- ৩২০/২০১২, জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ আমি প্রদান করিনি। প্রত্যেকটি দলিলই আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আসামীগণ বিভিন্ন সময়ে পরষ্পর যোগসাজসে সৃজন করে নিয়েছে। আমি উল্লেখিত দলিলগুলো সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আসামীগণ আমাকে ভিক্ষার নাম করে কিছু টাকা দিয়ে আমার নিম্ন তফশীলোক্ত একমাত্র সম্ভল হাতিয়ে নিয়েছে। জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ বিষয়ে রেজিষ্ট্রেশন অফিস থেকে ফটোকপি চাহিলে আমাকে কোন ফটোকপি সরবরাহ করেনি।

রেজিষ্ট্রেশন অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, উল্লেখিত দলিল সমূহের বিষয়ে লামা এলাকায় জানা জানি হলে জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমির বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ এর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিগত ০৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০টায় আমি আমার জায়গায় গেলে আসামীগণ আমাকে বাঁধা দেয় এবং জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ মূলে আসামীগণ আমার জায়গায় স্থায়ীভাবে ইট দিয়ে গৃহ নির্মাণ করিবেন মর্মে জানায়। আমার জায়গা ভবিষ্যতে দাবী করিলে আমাকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে আসামীগণ জানায়। ৬ নং আসামী লামা ভুমি অফিসে চাকুরি করার সুবাধে প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখিত দলিল সমূহ সৃজন করেছেন এবং বিগত ১৩/০২/২০২৪ইং তারিখে ৫নং আসামী নামে দলিল করিয়া নেন।

ভূক্তভোগী বৃদ্ধ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, প্রতারকরা পরষ্পর যোগসাজসে উল্লেখিত দলিল সমূহ আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতারনার মাধ্যমে সৃজন করে নিয়েছিলেন। তাদেরকে কোন জায়গা বিক্রয় না করলেও তারা আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে উল্লেখিত প্রতারনামূলক দলিলগুলো সৃজন করে নেয়। আমি একজন প্রতিবন্ধী ও অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ। আমি টাকা পয়সা গুনতে জানিনা এবং টাকার নোটও চিনি না। তারা আমার জায়গা প্রতারনা মূলক দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি তাদের এহেন অপরাধের বিচার চাই।

পেকুয়া প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলার লামায় এক দরিদ্র প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের জমি হাতিয়ে নিতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের অভিনব প্রতারণার শিকার হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন লামা পৌরভার চাম্পাতলী এলাকার মৃত অংচিং মার্মার পুত্র দরিদ্র অসহায় ভিক্ষুক উথোয়াইং চিং মার্মা। অসহায় ভিক্ষুক চলতি মাসের ১০ মার্চ লামার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৬সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লামা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদির আইনজীবি এডভোকেট মামুন মিয়া মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামী করা হয়েছে আলীকদম সদর এলাকার মংসুইথোয়াই মার্মার ছেলে মংহ্লাপ্রু(৫৫),লামা পৌরসভার বাজার এলাকার নিথোয়াই মার্মার ছেলে ক্যইশপ্রু মার্মা(৫৬), লামা পৌরসভার নুনারবিল পাড়া গ্রামের মিলন কান্তি দাশের ছেলে রূপন কান্তি দাশ(৪৭), লামার গজালিয়া গাইন্দা পাড়া গ্রামের অংক্যজাই মার্মার ছেলে সিংথোয়াই মার্মা(৩৮),লামার বড় নুনারবিল পাড়া গ্রামের শিশির স্বপন চাকমার স্ত্রী সনজিতা চাকমা (৪০) ও একই এলাকার মৃত ললিত কুমার চাকমার ছেলে শিশির স্বপন চাকমা (৫৬)।

মামলার আর্জিতে বাদি উল্লেখ করেছেন, লামার পৌরসভার ২৯৩ নং ছাগলখাইয়া মৌজায় ১৯৮০-৮১ইং সনের ৫৭৯৭নং বন্দোবস্তিমূলে আর/৫৩৩ নং হোল্ডিংয়ের আন্দর ৩শতক ১ম শ্রেণীর জায়গা সরকার থেকে বন্দোবস্তি পায়। ১৯৯৭সালে ১নং আসামী মংহ্লাপ্রুকে মাত্র ৭হাজার টাকার বিনিময়ে আর/৫৩৩ নং হোল্ডিংয়ের জায়গা মৌখিক ভাবে আমি বন্দক দিই। মংহ্লাপ্রু আমার জায়গায় ১টি ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে রাখছে। আমি অভাব-অনটনের কারণে আমার জায়গা বন্দকমুক্ত করতে পারিনি। আমি লামা বাজারে ভিক্ষা করতে আসিলে মংহ্লাপ্রু ও ক্যইশপ্রু মার্মা আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অফিসে নিয়ে গিয়ে টিপসহি নিত। মংহ্লাপ্রু জায়গা বন্দকের কথা বলে টিপসহি গুলো নিত। ক্যইশপ্রু বিভিন্ন দপ্তরে তাহাকে আমার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিত এবং আমার জাতীয় পরিচয় পত্র, আমার জায়গার দলিল ক্যইশপ্রু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে এখনো ফেরত দেয়নি।

মামলার আর্জিতে ভূক্তভোগী আরো উল্লেখ করেছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায় লামা কোর্টের সামনে আমি ভিক্ষা করার সময় উল্লেখিত প্রতারকরা পরস্পর যোগসাজসে আমাকে চার হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে একটি সরকারী অফিসে নিয়ে কয়েকটি দলিলে টিপসই নেয়। আমি সরল বিশ্বাসে টিপ সহিগুলো দিয়েছিলাম।পরবর্তীতে বিভিন্ন লোক মারফত জানতে পারি আমি নাকি উক্ত দিনে শিশিরের স্ত্রী সনজিতাকে জায়গা বিক্রয় করে দিয়েছি। প্রকর্তৃপক্ষে আমি কাউকে কোন জায়গা বিক্রয় করিনি। শিশির লামা ভূমি অফিসে চাকুরি করত। উক্ত ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে খোঁজ নিয়ে আমি অনেকগুলো প্রতারণা মূলক দলিলের সন্ধান পাই। আমার দায়েরকৃত মামলার ১নং আসামীকে আমি বিগত ১৯৯৭ সালে মৌখিক ভাবে জায়গা বন্ধক দিয়েছিলাম। আমি কোনদিন কোন কালে ৩ নং আসামীর নিকট জায়গা বিক্রয় করিনি। অথচ রেজিষ্ট্রেশন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিগত ৩১/১২/২০০৮ ইং তারিখে ১ ও ২ নং আসামী আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে আমার টিপ সহি নিয়ে ৬ছয় লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেছে মর্মে উল্লেখ করে বায়নানামা দলিল নং-১৪৫৯/২০০৮ইং মূলে আমার জায়গার বিষয়ে দলিল সৃজন করে নেয়। উক্ত দলিলে ২ নং আসামী স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বিগত২৭/০২/২০১২ইং তারিখে আমার জায়গা সংক্রান্তে আট লক্ষ টাকা আমাকে প্রদান করেছেন মর্মে উল্লেখ করে ১, ২ ও ৩ নং আসামীদের সহায়তায় ৪ নং আসামীকে জায়গা বিক্রয় করে দিয়েছি মর্মে আরও একটি বায়নানামা দলিল নং- ৩২০/২০১২ সৃজন করে নেয়। উক্ত প্রতারনা মূলক দলিলে ৩ নং আসামী স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। বিগত ১৩/০২/২০২৪ ইং তারিখে আমি লামা বাজারে ভিক্ষা করতে আসিলে ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং আসামীগণ আমাকে চার হাজার টাকা ভিক্ষা দিয়ে একটি অফিসে নিয়ে গিয়ে ৪ নং আসামী কর্তৃক ফেরত নাদাবী দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও একই দিনে জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ সৃজন করে নেয়। বায়নানামা দলিল নং- ১৪৫৯/২০০৮, বায়নানামা দলিল নং- ৩২০/২০১২, জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ আমি প্রদান করিনি। প্রত্যেকটি দলিলই আমাকে কিছু টাকা ভিক্ষা দিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আসামীগণ বিভিন্ন সময়ে পরষ্পর যোগসাজসে সৃজন করে নিয়েছে। আমি উল্লেখিত দলিলগুলো সম্পর্কে কিছুই জানিনা। আসামীগণ আমাকে ভিক্ষার নাম করে কিছু টাকা দিয়ে আমার নিম্ন তফশীলোক্ত একমাত্র সম্ভল হাতিয়ে নিয়েছে। জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ বিষয়ে রেজিষ্ট্রেশন অফিস থেকে ফটোকপি চাহিলে আমাকে কোন ফটোকপি সরবরাহ করেনি।

রেজিষ্ট্রেশন অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়, উল্লেখিত দলিল সমূহের বিষয়ে লামা এলাকায় জানা জানি হলে জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমির বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ এর কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিগত ০৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০টায় আমি আমার জায়গায় গেলে আসামীগণ আমাকে বাঁধা দেয় এবং জমি (ফেরত) নাদাবী নামা দলিল নং- ১০৪/২০২৪ ও জমি হস্তান্তরের বায়নানামা দলিল নং- ১০৫/২০২৪ মূলে আসামীগণ আমার জায়গায় স্থায়ীভাবে ইট দিয়ে গৃহ নির্মাণ করিবেন মর্মে জানায়। আমার জায়গা ভবিষ্যতে দাবী করিলে আমাকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে আসামীগণ জানায়। ৬ নং আসামী লামা ভুমি অফিসে চাকুরি করার সুবাধে প্রভাব বিস্তার করে উল্লেখিত দলিল সমূহ সৃজন করেছেন এবং বিগত ১৩/০২/২০২৪ইং তারিখে ৫নং আসামী নামে দলিল করিয়া নেন।

ভূক্তভোগী বৃদ্ধ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, প্রতারকরা পরষ্পর যোগসাজসে উল্লেখিত দলিল সমূহ আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতারনার মাধ্যমে সৃজন করে নিয়েছিলেন। তাদেরকে কোন জায়গা বিক্রয় না করলেও তারা আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে উল্লেখিত প্রতারনামূলক দলিলগুলো সৃজন করে নেয়। আমি একজন প্রতিবন্ধী ও অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ। আমি টাকা পয়সা গুনতে জানিনা এবং টাকার নোটও চিনি না। তারা আমার জায়গা প্রতারনা মূলক দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি তাদের এহেন অপরাধের বিচার চাই।