নগর প্রতিবেদক: বাকলিয়া কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ার সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিক স্টীয়ারিং কমিটির সভা আজ রোববার (২৮ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। স্টীয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও স্টীয়ারিং কমিটির সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংবাদিক মোঃ আবিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকদের বিভিন্ন সমস্যার উপর গভীরভাবে আলোকপাত করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন তোতা, রোকসারুল ইসলাম, প্রদীপ নন্দী, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় গভীর ক্ষোভের সাথে বলা হয়, বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিস প্রথম থেকেই কতিপয় নীতিজ্ঞানশূন্য সাংবাদিক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ৬৭ জন সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকের সাথে প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে। যা সহজ, সরল ও উদারমনা সাংবাদিকরা বুঝতে পারেননি। এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান সৎ পথে চলতে চায়নি বা সৎ পথে চলার তাদের কোন আগ্রহও ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানকে কোনভাবে আর বিশ্বাস করা যায় না। এ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক জড়িত থাকায় ওই সাংবাদিক ও তার অনুগত, সুবিধাভোগি কয়েকজন বিভিন্নভাবে অনৈক্য, বিভক্তি, কলহ সৃষ্টি করে ফ্ল্যাট মালিক সাংবাদিক ও চট্টগ্রামের বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজের ক্ষতি করেছে।

বক্তারা আরো বলেন, এখন এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিসের কাছে ৬৭ জন সাংবাদিক মালিক প্রতিমাসে ভাড়া বাবদ ফ্ল্যাট প্রতি বিশ হাজার টাকা করে গত ৫২ মাসে ৬৭ টি ফ্ল্যাটের দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা করে ৬৭ জনের মোট ছয় কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ আশি হাজার টাকা শুধু ফ্ল্যাট ভাড়া বাবদ পাওনা রয়েছে। এছাড়াও পার্কিং স্পেস ভাড়া ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ বাবদ আরো দশ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ ভাড়া ও ক্ষতিপূরণ আইন ও চুক্তি অনুসারে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিস পরিশোধ করতে বাধ্য।

সভায় কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ারের সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকদের বকেয়া ফ্ল্যাটভাড়া ও ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক দ্রততম সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি অবসায়নের চক্রান্তে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন এবং আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য পূর্ব নির্ধারিত শেরশাহ্ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণের দাবিতে মজলুম ও নিপীড়িত সাংবাদিকদের অবস্থান আরো সংহত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ফ্ল্যাট ও প্রাপ্য ঘর ভাড়ার জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে প্রবীন সাংবাদিক রোকসারুল ইসলামের চলমান আমরণ প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানানো হয়।

সভায় বলা হয় অধিকার আদায়, হক ও ফ্ল্যাট প্রাপ্তিসহ অন্যান্য ন্যায্য পাওনার দাবিতে যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে তাতে আর পেছানো যাবে না, দৃঢ় সংকল্প ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন দুর্বলতাও দেখানো যাবে না।

সভায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন নিয়ে সমবায় দপ্তরের টালবাহানায় উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়, কতিপয় দুর্নীতিবাজ, নীতিভ্রষ্ট সাংবাদিকের যোগসাজশে সমবায় দপ্তর বার বার নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাংবাদিক সদস্যদের মধ্য থেকে অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির হাতে দায়িত্ব অর্পণের জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকেরা জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে আহ্বান জানালেও তিনি রহস্যজনকভাবে, অদৃশ্য সুঁতার টানে নিরবতা অবলম্বন করে আসছেন। এতে চট্টগ্রামের শত শত সাংবাদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সমবায় আইন ও বিধি অনুযায়ী অবিলম্বে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সমবায় দপ্তরকে সভার পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয় এবং সমবায় দপ্তরকে সর্তক করে দেওয়া হয় যে, আইন ও বিধি বর্হিভূতভাবে যেনতেন ভাবে নির্বাচন করে পরবর্তীতে যাতে এই নির্বাচন বাতিল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা না হয়।

সভায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, তিন বছর ধরে নির্বাচিত কমিটি না থাকায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির অফিস বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় সোসাইটির শত শত কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল-নথি স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সমবায় দপ্তর নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়ে অফিস বন্ধ রাখায় এই ক্ষতি হচ্ছে। দলিল-নথি নষ্ট হলে এর পুরো দায়ভার জেলা সমবায় দপ্তরকে বহন করতে হবে এবং তারাই দায়ী থাকবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

নগর প্রতিবেদক: বাকলিয়া কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ার সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিক স্টীয়ারিং কমিটির সভা আজ রোববার (২৮ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। স্টীয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও স্টীয়ারিং কমিটির সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাংবাদিক মোঃ আবিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকদের বিভিন্ন সমস্যার উপর গভীরভাবে আলোকপাত করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন নাসির উদ্দিন তোতা, রোকসারুল ইসলাম, প্রদীপ নন্দী, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় গভীর ক্ষোভের সাথে বলা হয়, বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিস প্রথম থেকেই কতিপয় নীতিজ্ঞানশূন্য সাংবাদিক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ৬৭ জন সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকের সাথে প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে। যা সহজ, সরল ও উদারমনা সাংবাদিকরা বুঝতে পারেননি। এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান সৎ পথে চলতে চায়নি বা সৎ পথে চলার তাদের কোন আগ্রহও ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানকে কোনভাবে আর বিশ্বাস করা যায় না। এ প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক জড়িত থাকায় ওই সাংবাদিক ও তার অনুগত, সুবিধাভোগি কয়েকজন বিভিন্নভাবে অনৈক্য, বিভক্তি, কলহ সৃষ্টি করে ফ্ল্যাট মালিক সাংবাদিক ও চট্টগ্রামের বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজের ক্ষতি করেছে।

বক্তারা আরো বলেন, এখন এই বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিসের কাছে ৬৭ জন সাংবাদিক মালিক প্রতিমাসে ভাড়া বাবদ ফ্ল্যাট প্রতি বিশ হাজার টাকা করে গত ৫২ মাসে ৬৭ টি ফ্ল্যাটের দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা করে ৬৭ জনের মোট ছয় কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ আশি হাজার টাকা শুধু ফ্ল্যাট ভাড়া বাবদ পাওনা রয়েছে। এছাড়াও পার্কিং স্পেস ভাড়া ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণ বাবদ আরো দশ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এ ভাড়া ও ক্ষতিপূরণ আইন ও চুক্তি অনুসারে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিস পরিশোধ করতে বাধ্য।

সভায় কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ারের সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকদের বকেয়া ফ্ল্যাটভাড়া ও ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক দ্রততম সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে সাংবাদিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি অবসায়নের চক্রান্তে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন এবং আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য পূর্ব নির্ধারিত শেরশাহ্ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণের দাবিতে মজলুম ও নিপীড়িত সাংবাদিকদের অবস্থান আরো সংহত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ফ্ল্যাট ও প্রাপ্য ঘর ভাড়ার জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে প্রবীন সাংবাদিক রোকসারুল ইসলামের চলমান আমরণ প্রতীকি অবস্থান কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানানো হয়।

সভায় বলা হয় অধিকার আদায়, হক ও ফ্ল্যাট প্রাপ্তিসহ অন্যান্য ন্যায্য পাওনার দাবিতে যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়েছে তাতে আর পেছানো যাবে না, দৃঢ় সংকল্প ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন দুর্বলতাও দেখানো যাবে না।

সভায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন নিয়ে সমবায় দপ্তরের টালবাহানায় উদ্বেগ প্রকাশ করা বলা হয়, কতিপয় দুর্নীতিবাজ, নীতিভ্রষ্ট সাংবাদিকের যোগসাজশে সমবায় দপ্তর বার বার নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সাংবাদিক সদস্যদের মধ্য থেকে অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির হাতে দায়িত্ব অর্পণের জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকেরা জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে আহ্বান জানালেও তিনি রহস্যজনকভাবে, অদৃশ্য সুঁতার টানে নিরবতা অবলম্বন করে আসছেন। এতে চট্টগ্রামের শত শত সাংবাদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সমবায় আইন ও বিধি অনুযায়ী অবিলম্বে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য সমবায় দপ্তরকে সভার পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হয় এবং সমবায় দপ্তরকে সর্তক করে দেওয়া হয় যে, আইন ও বিধি বর্হিভূতভাবে যেনতেন ভাবে নির্বাচন করে পরবর্তীতে যাতে এই নির্বাচন বাতিল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা না হয়।

সভায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, তিন বছর ধরে নির্বাচিত কমিটি না থাকায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির অফিস বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন অফিস বন্ধ থাকায় সোসাইটির শত শত কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল-নথি স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সমবায় দপ্তর নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়ে অফিস বন্ধ রাখায় এই ক্ষতি হচ্ছে। দলিল-নথি নষ্ট হলে এর পুরো দায়ভার জেলা সমবায় দপ্তরকে বহন করতে হবে এবং তারাই দায়ী থাকবে বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।