এম, আনোয়ারুল হক, আনোয়ারা: আনোয়ারা উপজেলায় পাকা ধানে মই দিয়েছে হাতির পাল। এতে অর্ধ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে। এদিকে অন্যান্য ফসলি কৃষকদের মাঝেও হাতির আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ পাহারা বসিয়েছে। অনেকেই নির্ঘুম রজনী কাটাচ্ছেন। হাতির পালের লোকজন অতিষ্ট হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা নাই বললে চলে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। আনোয়ারা উপজেলার দেয়াং পাহাড় কে ঘিরে হাতির পালের অবস্থান। ২০১৪ সাল থেকে বাঁশখালী পাহাড় থেকে শঙ্খের খাল পার হয়ে আনোয়ারা দেয়াং পাহাড়ে হাতির পাল এসেছিল। কিছুদিন থাকার পর হাতির পাল আবার বাঁশখালী পাহাড়ে চলে যেত।
গত কয়েক বছর ধরে হাতির পাল আনোয়ারায় বটতলী দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান করে আসছে। হাতির পাল খাবার খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করে। বিভিন্ন সময় হাতির পাল মানুষের ঘরবাড়ি দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে। ক্ষেত খামার ও বিভিন্ন ফসলাদি গাছ গাছালি নষ্ট করেছে। হাতির পালে মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। হাতির পালের আনাগোনা লোকালয়ে এই বৃদ্ধি পেলেও সংশ্লিষ্টরা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বন কর্মকর্তাদের তৎপরত দেখা যাচ্ছে না। বন কর্মীদেরও দৌড়াদৌড়ি নেই। হাতি পালে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ খান বাড়ির মফজল আহমদ খান পাহাড়ের পাশে কিছু জমিতে চাষাবাদ করেছিল। ফসল ভালোই হয়েছে। কয়দিন পর পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা কথা।গত শনিবার রাতে হাতির পাল পাহাড়ের পাশে পাকাধানে মই দিয়েছে। ফসলাদি খেয়ে ও নষ্ট করেছে হাতির পাল।
এই ব্যাপার রবিবার আনোয়ারা থানায় ডায়েরি করা হয়েছে।মফজল আহমদ খান জানায় দুই কানি পাকা ধান খেয়ে ও নষ্ট করেছে হাতির পাল। অর্ধ লক্ষ টাকার ফসল ক্ষতি হয়েছে।স্থানীয় শিক্ষক মুরাদ বিন জাফর জানায় হাতির পালের কারণে অনেকেই চাষাবাদ করছে না। লোকজন ভয়ে ও আতঙ্কে রয়েছে।
বাঁশখালী জলদি বন কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানায় দুই বছর ধরে হাতির পাল স্থায়ীভাবে আনোয়ারায় পাহাড়ে রয়েছে। আমরা এলাকার খোঁজখবর রাখছি। ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে।এদিকে এলাকার সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।



