বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের ম্রো জনগোষ্ঠীর চারটি পাড়ায় ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ৮জুন থেকে ১১জুন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১শিশুসহ মোট ৪জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈই থুই মারমা। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে নিহতের সংখ্যা ২জন।
মৃত্যু হওয়া ৩ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেন থাং পাড়ার কার্বারী মেনথাং ¤্রাে (৪৯), নারিচা পাড়ার বাসিন্দ মে তৈ ম্রো’র ছেলে লংঞী ম্রো(৪৫) ও একই ওয়ার্ডের সিং চং পাড়ার বাসিন্দ মেন রো ম্রো’র ছেলে প্রেন ময় ম্রো (১১)। অপর একজনের নাম পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈই থুই জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু’সহ ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ার কারনে ঝিড়ি-ঝর্ণা-খাল থেকে দুষিত পানি পান করার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে তারা। ১১জুন ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাং চং মেম্বার এর মাধ্যমে ডায়রিয়া আক্রান্ত দুর্গম এলাকায় ওষুধ পাঠানো হয়েছে। একটি মেডিকেল টিমও গেছে ওই এলাকায়।
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন নীহার কুমার নন্দী জানান, সরকারী হিসেব মতে আমরা দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। যেখানে ১০২বছরের একজন বৃদ্ধ রয়েছে।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় ডাক্তার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ৫জনের একটি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। সোমবার এক মেডিকেল অফিসারসহ আরো একটি টিম পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ঔষুধ, স্যালাইন পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতবছর জুন মাসে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ১১জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ্য হয় শতাধিক। গরমের এই সময়টাতে দুর্গম এলাকার মানুষের চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার যোগে রোগী উদ্ধার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে ভূমিকা পালন করে থাকে।




