বিশেষ প্রতিবেদক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর ‘দুশ্চিন্তা’ যেনো কাটছেই না। নগরবাসীর দীর্ঘদিনব্যাপী টানা আন্দোলনের পর সিআরবি এক প্রকার রক্ষা করা গেলেও এবার চট্টগ্রামবাসীর মনে আরেক ‘দুশ্চিন্তা’ ভর করেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নিয়ে। চট্টগ্রামের একমাত্র বৃহত্তম উন্মুক্ত পর্যটন স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেসরকারী ইজারাদার নিয়োগের সিদ্ধান্তে নগরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইজারাদার নিয়োগ হলে প্রবেশপথে টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে সাধারণ দর্শনার্থীদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বেসরকারী ইজারাদার নিয়োগের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে আসছে।

স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যে আধুনিকায়নের নামে শত শত গাছ কেটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পুরনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। যতোটা সবুজ উজার করা হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আউটার রিং রোডের জন্য, সেই সবুজায়ন ফিরিয়ে আনতে এতোটা সময় পরও কোন কার্যকর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল আলম তিতুমির বলেন, এই সৈকতকে বলা যায় চট্টগ্রামের প্রধানতম উন্মুক্ত বিনোদনের স্থান। ছুটির দিন সহ অন্যান্য দিনে সব শ্রেণী পেশার মানুষ এই সৈকতে আসে। ইজারাদার নিয়োগ করে এই উন্মুক্ত সৈকতে একটা বৈষম্যের আয়োজন ছাড়া আর কিছুই হবে না।

এছাড়া ‘কথিত আধুনিকায়নে’ এলাকাবাসীর আস্থা নেই উল্লেখ করে এই সংস্কৃতিকর্মী গণমাধ্যমকে আরো বলেন, ইতিমধ্যে আউটার রিং রোডের নির্মাণকাজে সৈকতের চিরচেনা সবুজকে চিরতরে ধ্বংস করা হয়েছে। আধুনিকায়ন বা বাণিজ্যিক যেকোন ইজারাদার নিয়োগের বিষয়টি তাই এলাকাবাসী ভালোভাবে দেখছে না বলে জানান তিনি।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সৈকতে বেসরকা্রি ইজারাদার নিয়োগের বিরোধীতা করে আসছে। সম্প্রতি সেসকল ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে ইজারাদার নিয়োগের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছে। তাদের দাবি, পতেঙ্গা সৈকতকে আমরা স্থানীয় দোকানদাররাই সর্বপ্রথম সকলের কাছে পর্যটন হিসেবে তুলে ধরেছি। আমাদের উচ্ছেদ করার সময় বলা হয়েছিল পূনর্বাসন করা হবে, এখন উলটো ইজারাদার নিয়োগের মাধ্যমে এখান থেকে আমাদের স্থায়ীভাবে নির্মূল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সত্যবাণীর সাথে আলাপে ইজারাদার নিয়োগের বিরোধীতা করে আন্দোলন করে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, যুগ যুগ ধরে ঝড় তুফানে আমাদের যে পরিশ্রম, ত্যাগের বিনিময়ে আজকে সকলের কাছে পরিচিত এই সমুদ্র সৈকত, এই সৈকত থেকে ধাপে ধাপে আমাদেরই নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে, যেটি একেবারেই অমানবিক। এর মাধ্যমে সৈকতকে কেন্দ্র করে চলা শত মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হবে।

এদিকে একটা উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকতকে সিডিএ’র মতো কোন প্রতিষ্ঠান এভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিতে পারে কিনা বা মালিকানা ছাড়া সিডিএ সৈকতকে অন্যের কাছে কিভাবে ইজারা দেয় সেসকল বিষয় নিয়ে কিছু আইনী প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।

এসকল আইনী বিষয়াদি তুলে ধরতে গত ১৩মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে ‘সর্বজনের অধিকার – পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারীকরণ ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয় । সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় অনুসারে সমুদ্র সৈকত কোন ব্যক্তি বা কোম্পানিকে বাণিজ্যিকভাবে ইজারা দেওয়া যাবে না। জেলা প্রশাসনও বলেছে,তারা এ বিষয়ে অবগত নন। সিডিএ এধরনের বেআইনী অপতৎপরতা পরিচালনার ঔদ্ধত্য কিভাবে দেখাতে পারে?

সেখানে আরো বলা হয়, সিডিএ প্রণীত চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য প্রণীত মাস্টার প্ল্যান অনুসারেও এর কোন সুযোগ নেই। এতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ‘পাবলিক ওপেন স্পেস’ অর্থাৎ ‘জনগণের জন্য উম্মুক্ত স্থান’ হিসেবে বলা আছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের জমির মালিকও সিডিএ নয়। মালিক না হয়ে কিভাবে তারা রাষ্ট্রীয় তথা জনগণের সম্পদ সৈকতের জায়গা ইজারা দিতে পারে ?

এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত গুটিকয়েক মানুষের পকেট ভারী করার জন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। আমার জানামতে আইন অনুযায়ী সিডিএ এটা করতে পারে না, সিডিএ হয়ত গেজেটের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় এটা করে নিতে পারে। তবে সিডিএ এর মাধ্যমে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ধ্বংস করবে যেভাবে ফয়েজ লেককে করা হয়েছে। সিডিএ লক্ষ লক্ষ টাকা ট্যাক্স নেয় নগরবাসী থেকে, এরা চাইলে অবশ্যই সৈকতকে নিজ ব্যবস্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

এদিকে এতোসব বিরোধীতা এবং আইনী প্রশ্নের মধ্যেও সিডিএ ইজারাদার নিয়োগের কার্যক্রমে এগিয়ে গেছে বহুদূর। টেন্ডার জমাও গত ১৭ মার্চ শেষ হয়েছে। সিডিএ প্রতিবারই এই ইস্যুতে বলে আসছে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনেই ইজারা দেয়া হচ্ছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের জনবল সিডিএ’র নেই বলেও জানানো হয় সিডিএ’র পক্ষ থেকে।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা সমালোচনা করছেন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তারাই খুশি হবেন। কারণ ছোট একটি অংশ ইজারা দিয়ে পুরো বিচ দেখা শোনার দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদের। পাশাপাশি সরকারের নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা আয় হবে। বহুগুণে বেড়ে যাবে বিচের সুযোগ সুবিধা ও সৌন্দর্য।’

সিডিএ সূত্রে জানা যায় নৌ বাহিনীর ওয়েস্ট পয়েন্টের পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রথম জোন এবং সেখান থেকে ইপিজেডের পেছনের অংশ হবে দ্বিতীয় জোন। প্রথম জোন থেকে দ্বিতীয় জোনে যাওয়ার পথে দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে টয় ট্রেন এবং ক্যাবল কার। ওয়াটার ক্রুজে যাওয়ার জন্য থাকবে দর্শনীয় দু’টি জেটি। একাধিক থিম পার্কের ব্যবস্থাও থাকবে এখানে। দর্শনার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা প্রবেশমূল্য থেকে একটি অংশ পাবে সিডিএ।

বিশেষ প্রতিবেদক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর ‘দুশ্চিন্তা’ যেনো কাটছেই না। নগরবাসীর দীর্ঘদিনব্যাপী টানা আন্দোলনের পর সিআরবি এক প্রকার রক্ষা করা গেলেও এবার চট্টগ্রামবাসীর মনে আরেক ‘দুশ্চিন্তা’ ভর করেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত নিয়ে। চট্টগ্রামের একমাত্র বৃহত্তম উন্মুক্ত পর্যটন স্থান পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেসরকারী ইজারাদার নিয়োগের সিদ্ধান্তে নগরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইজারাদার নিয়োগ হলে প্রবেশপথে টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে সাধারণ দর্শনার্থীদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বেসরকারী ইজারাদার নিয়োগের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে আসছে।

স্থানীয়দের দাবি, ইতিমধ্যে আধুনিকায়নের নামে শত শত গাছ কেটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পুরনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। যতোটা সবুজ উজার করা হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আউটার রিং রোডের জন্য, সেই সবুজায়ন ফিরিয়ে আনতে এতোটা সময় পরও কোন কার্যকর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিতে পারেনি বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল আলম তিতুমির বলেন, এই সৈকতকে বলা যায় চট্টগ্রামের প্রধানতম উন্মুক্ত বিনোদনের স্থান। ছুটির দিন সহ অন্যান্য দিনে সব শ্রেণী পেশার মানুষ এই সৈকতে আসে। ইজারাদার নিয়োগ করে এই উন্মুক্ত সৈকতে একটা বৈষম্যের আয়োজন ছাড়া আর কিছুই হবে না।

এছাড়া ‘কথিত আধুনিকায়নে’ এলাকাবাসীর আস্থা নেই উল্লেখ করে এই সংস্কৃতিকর্মী গণমাধ্যমকে আরো বলেন, ইতিমধ্যে আউটার রিং রোডের নির্মাণকাজে সৈকতের চিরচেনা সবুজকে চিরতরে ধ্বংস করা হয়েছে। আধুনিকায়ন বা বাণিজ্যিক যেকোন ইজারাদার নিয়োগের বিষয়টি তাই এলাকাবাসী ভালোভাবে দেখছে না বলে জানান তিনি।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সৈকতে বেসরকা্রি ইজারাদার নিয়োগের বিরোধীতা করে আসছে। সম্প্রতি সেসকল ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে ইজারাদার নিয়োগের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছে। তাদের দাবি, পতেঙ্গা সৈকতকে আমরা স্থানীয় দোকানদাররাই সর্বপ্রথম সকলের কাছে পর্যটন হিসেবে তুলে ধরেছি। আমাদের উচ্ছেদ করার সময় বলা হয়েছিল পূনর্বাসন করা হবে, এখন উলটো ইজারাদার নিয়োগের মাধ্যমে এখান থেকে আমাদের স্থায়ীভাবে নির্মূল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সত্যবাণীর সাথে আলাপে ইজারাদার নিয়োগের বিরোধীতা করে আন্দোলন করে আসা এক ব্যবসায়ী বলেন, যুগ যুগ ধরে ঝড় তুফানে আমাদের যে পরিশ্রম, ত্যাগের বিনিময়ে আজকে সকলের কাছে পরিচিত এই সমুদ্র সৈকত, এই সৈকত থেকে ধাপে ধাপে আমাদেরই নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে, যেটি একেবারেই অমানবিক। এর মাধ্যমে সৈকতকে কেন্দ্র করে চলা শত মানুষের জীবিকার পথ বন্ধ হবে।

এদিকে একটা উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকতকে সিডিএ’র মতো কোন প্রতিষ্ঠান এভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিতে পারে কিনা বা মালিকানা ছাড়া সিডিএ সৈকতকে অন্যের কাছে কিভাবে ইজারা দেয় সেসকল বিষয় নিয়ে কিছু আইনী প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।

এসকল আইনী বিষয়াদি তুলে ধরতে গত ১৩মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে ‘সর্বজনের অধিকার – পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারীকরণ ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয় । সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায় অনুসারে সমুদ্র সৈকত কোন ব্যক্তি বা কোম্পানিকে বাণিজ্যিকভাবে ইজারা দেওয়া যাবে না। জেলা প্রশাসনও বলেছে,তারা এ বিষয়ে অবগত নন। সিডিএ এধরনের বেআইনী অপতৎপরতা পরিচালনার ঔদ্ধত্য কিভাবে দেখাতে পারে?

সেখানে আরো বলা হয়, সিডিএ প্রণীত চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য প্রণীত মাস্টার প্ল্যান অনুসারেও এর কোন সুযোগ নেই। এতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ‘পাবলিক ওপেন স্পেস’ অর্থাৎ ‘জনগণের জন্য উম্মুক্ত স্থান’ হিসেবে বলা আছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের জমির মালিকও সিডিএ নয়। মালিক না হয়ে কিভাবে তারা রাষ্ট্রীয় তথা জনগণের সম্পদ সৈকতের জায়গা ইজারা দিতে পারে ?

এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত গুটিকয়েক মানুষের পকেট ভারী করার জন্য বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। আমার জানামতে আইন অনুযায়ী সিডিএ এটা করতে পারে না, সিডিএ হয়ত গেজেটের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় এটা করে নিতে পারে। তবে সিডিএ এর মাধ্যমে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে ধ্বংস করবে যেভাবে ফয়েজ লেককে করা হয়েছে। সিডিএ লক্ষ লক্ষ টাকা ট্যাক্স নেয় নগরবাসী থেকে, এরা চাইলে অবশ্যই সৈকতকে নিজ ব্যবস্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

এদিকে এতোসব বিরোধীতা এবং আইনী প্রশ্নের মধ্যেও সিডিএ ইজারাদার নিয়োগের কার্যক্রমে এগিয়ে গেছে বহুদূর। টেন্ডার জমাও গত ১৭ মার্চ শেষ হয়েছে। সিডিএ প্রতিবারই এই ইস্যুতে বলে আসছে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনেই ইজারা দেয়া হচ্ছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রক্ষণাবেক্ষণের জনবল সিডিএ’র নেই বলেও জানানো হয় সিডিএ’র পক্ষ থেকে।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা সমালোচনা করছেন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তারাই খুশি হবেন। কারণ ছোট একটি অংশ ইজারা দিয়ে পুরো বিচ দেখা শোনার দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদের। পাশাপাশি সরকারের নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা আয় হবে। বহুগুণে বেড়ে যাবে বিচের সুযোগ সুবিধা ও সৌন্দর্য।’

সিডিএ সূত্রে জানা যায় নৌ বাহিনীর ওয়েস্ট পয়েন্টের পার্শ্ববর্তী অংশ থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রথম জোন এবং সেখান থেকে ইপিজেডের পেছনের অংশ হবে দ্বিতীয় জোন। প্রথম জোন থেকে দ্বিতীয় জোনে যাওয়ার পথে দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে টয় ট্রেন এবং ক্যাবল কার। ওয়াটার ক্রুজে যাওয়ার জন্য থাকবে দর্শনীয় দু’টি জেটি। একাধিক থিম পার্কের ব্যবস্থাও থাকবে এখানে। দর্শনার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা প্রবেশমূল্য থেকে একটি অংশ পাবে সিডিএ।