নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতে বিচারাধীন সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা চিহ্নিতকরণ, করণীয় ও মামলা পরিচালনায় আইনী ধাপ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে)সকালে চট্টগ্রাম পিআইডি’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম পিআইডি ও জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের সহায়তায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কর্মশালার আয়োজন করেন।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ কর্মশালা উদ্বোধন ও সমাপনী সেশনে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রণালয়ের আইন কর্মকর্তা ও জেলা জজ মো. সাইদুর রহমান গাজী সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে কর্মশালায় মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের বিভিন্ন ধাপ ব্যাখ্যা করেন।
কোনগুলো সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা তার বিবরণ দিয়ে আইন কর্মকর্তা বলেন, অফিস প্রধান হিসেবে প্রত্যেক কর্মকর্তার সরকারি স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয়ে করণীয় রয়েছে। সেসব করণীয় অবশ্যই পালন করতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অযোগ্যতার প্রমাণসহ তার ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে সরকারি ক্ষতি পূরণ করা হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হতে পারে।
তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও অধঃস্তন আদালতের এখতিয়ারসমূহ তুলে ধরে বলেন, উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের না হলে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর তা নিস্ফল হিসেবে দেখা দেবে। ফলে সরকার বা ব্যক্তি কারোর কোন ফায়দা হবে না। শুধু হয়রানি আর কালক্ষেপন হবে। এসময় তিনি অধঃস্তন আদালত, দেওয়ানী বিচার ব্যবস্থা, আদালতের আর্থিক ও আঞ্চলিক এখতিয়ার, আরজি লেখা ও সমন জারি, জবাব দাখিল, মামলার বিভিন্ন পক্ষ ও পক্ষগণের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি, আরজির জবাব সংশোধন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা(এডিআর), শুনানী, মূলতবী, কমিশন রায় ডিক্রি, ডিক্রি জারিসহ জিআর ও সিআর মামলার প্রকৃতি ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো সরকারের অনুকূলে নিয়ে আসাসহ এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ করে তোলার জন্যই এ কর্মশালা। এ কর্মশালা হতে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জনস্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে কাজ করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি বেদখল হলে নির্দিষ্ট উপায়ে মামলা দায়ের করতে হবে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। মামলাকে ভয় পেলে চলবে না।
তিনি বলেন, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সকলকে স্মার্ট হতে হবে। পাশাপাশি কাজকর্মে চৌকষ হতে হবে। গতানুগতিক কাজ করলে হবে না। যে যত জ্ঞানি সে তত স্মার্ট বলে এসময় তিনি মন্তব্য করেন।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা অফিসের দপ্তর প্রধানগণ, বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম বিভাগ ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র এবং পিআইডি চট্টগ্রাম মিলে মোট ৩০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. মোতালেব হোসাইন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফিরোজ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সকালে অতিরিক্ত সচিব পিআইডি চট্টগ্রামের ফটোগ্যালারি ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করেন। পিআইডি চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবির অতিরিক্ত সচিবকে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।




