নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নবম সংবাদপত্র মজুরীবোর্ড রোয়েদাদ দ্রুত সংশোধন করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি ওমর ফারুক এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসীন কাজী। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা নানাভাবে আর্থিক অনটনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন মহার্ঘভাতা চালুরও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনমত প্রকাশ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকরা আন্দোলন করে আসছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ওয়েজবোর্ড গঠনের মাধ্যমে বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সাংবাদিকদের জন্য ’নিউজ পেপার এ্যামপ্লোয়িজ(কন্ডিশন অব সার্ভিস) এ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত আইনের অধীনে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের ২৯ মে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারীদের জন্য সরকার ৫ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে বেতন কাঠামো ও প্রান্তিক সুবিধা নির্ধারণ করা হয়। সাংবাদিকদের বছরে দুইটি উৎসব বোনাস, সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর মালিকদের উপর নির্ধারণ, নূন্যতম ৮ শতাংশ, সবোর্চ্চ ১০ শতাংশ হারে ভবিষ্যত তহবিলের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্থ প্রদান, প্রসূতি ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, ওভারটাইম, ট্রান্সফার এলাউন্স, বরখাস্ত, অব্যহতি, অপসারণ, ছাঁটাই, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগের ক্ষেত্রে দুই মাসের বেতনের সমপরিমান গ্র্যাচুইটি প্রদানসহ বিভিন্ন প্রান্তিক সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করা হয়।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু প্রণীত আইনটি বাতিল করে দিয়ে সাংবাদিকের ২০০৬ সালের শ্রম আইনে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উক্ত আইনে সংবাদিকদের অর্ন্তভুক্ত করার কারণে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। সাংবাদিকের পেশাগত মান মর্যদা বৃদ্ধিসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু প্রণীত আইনটি যুগোপযোগী করে প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাংবাদিকরা। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের আলোকে ঘোষিত হয় ৭ম ও ৮ম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড রোয়েদাদ। এতে পঞ্চম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদে সাংবাদিকদের জন্য সরকার যেসব সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করে তা বহল রাখা হয়।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং জীবন যাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকরা নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের দাবি জানানোর পর সরকার ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হকের নেতৃত্বে নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড গঠন করে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ১২ সেপ্টেম্বর সরকার নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারী করে। ঘোষিত ওই রোয়েদাদের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রীসভা কমিটির সুপারিশের নামে সাংবাদিকের যেসব সুযোগ সুবিধা ইতিপূর্বে বিদ্যমান ছিল তা সংকুচিত করা হয়। এতে সাংবাদিকদের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর মালিকদের পরিবর্তে সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। দুইমাসের বেতনের সমপরিমান গ্র্যাচুইটির পরিবর্তে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ গ্র্যাচুয়েটি নির্ধারণ করা হয়। বলা হয় পর্যায়ক্রমে ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের। পরষ্পর বিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে থমকে যায় নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন। ফলে অর্থিক ভাবে চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন সাংবাদিকরা। করোনা পরবর্তী সময়ে এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে ইতিপূর্বে প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা বহাল রেখে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। একই সাথে মুদ্রাস্ফীতি ও বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে সাংবাদিকদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন মহার্ঘভাতা প্রণয়নের দাবি জানান। একই সাথে রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে তা দ্রুত বাস্তাবায়নেরও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নবম সংবাদপত্র মজুরীবোর্ড রোয়েদাদ দ্রুত সংশোধন করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন’র সভাপতি ওমর ফারুক এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসীন কাজী। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা নানাভাবে আর্থিক অনটনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন মহার্ঘভাতা চালুরও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনমত প্রকাশ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকরা আন্দোলন করে আসছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে সাংবাদিকদের অধিকার নিশ্চিত করে ওয়েজবোর্ড গঠনের মাধ্যমে বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সাংবাদিকদের জন্য ’নিউজ পেপার এ্যামপ্লোয়িজ(কন্ডিশন অব সার্ভিস) এ্যাক্ট-১৯৭৪’ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত আইনের অধীনে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের ২৯ মে সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারীদের জন্য সরকার ৫ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে বেতন কাঠামো ও প্রান্তিক সুবিধা নির্ধারণ করা হয়। সাংবাদিকদের বছরে দুইটি উৎসব বোনাস, সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর মালিকদের উপর নির্ধারণ, নূন্যতম ৮ শতাংশ, সবোর্চ্চ ১০ শতাংশ হারে ভবিষ্যত তহবিলের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্থ প্রদান, প্রসূতি ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, ওভারটাইম, ট্রান্সফার এলাউন্স, বরখাস্ত, অব্যহতি, অপসারণ, ছাঁটাই, অবসরগ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগের ক্ষেত্রে দুই মাসের বেতনের সমপরিমান গ্র্যাচুইটি প্রদানসহ বিভিন্ন প্রান্তিক সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করা হয়।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু প্রণীত আইনটি বাতিল করে দিয়ে সাংবাদিকের ২০০৬ সালের শ্রম আইনে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। উক্ত আইনে সংবাদিকদের অর্ন্তভুক্ত করার কারণে সাংবাদিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। সাংবাদিকের পেশাগত মান মর্যদা বৃদ্ধিসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু প্রণীত আইনটি যুগোপযোগী করে প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাংবাদিকরা। ২০০৬ সালের শ্রম আইনের আলোকে ঘোষিত হয় ৭ম ও ৮ম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড রোয়েদাদ। এতে পঞ্চম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদে সাংবাদিকদের জন্য সরকার যেসব সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করে তা বহল রাখা হয়।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং জীবন যাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকরা নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ডের দাবি জানানোর পর সরকার ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হকের নেতৃত্বে নবম সংবাদপত্র মজুরী বোর্ড গঠন করে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ১২ সেপ্টেম্বর সরকার নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারী করে। ঘোষিত ওই রোয়েদাদের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রীসভা কমিটির সুপারিশের নামে সাংবাদিকের যেসব সুযোগ সুবিধা ইতিপূর্বে বিদ্যমান ছিল তা সংকুচিত করা হয়। এতে সাংবাদিকদের বেতনের উপর আরোপিত আয়কর মালিকদের পরিবর্তে সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। দুইমাসের বেতনের সমপরিমান গ্র্যাচুইটির পরিবর্তে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ গ্র্যাচুয়েটি নির্ধারণ করা হয়। বলা হয় পর্যায়ক্রমে ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের। পরষ্পর বিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে থমকে যায় নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন। ফলে অর্থিক ভাবে চরমভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন সাংবাদিকরা। করোনা পরবর্তী সময়ে এই সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে ইতিপূর্বে প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা বহাল রেখে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। একই সাথে মুদ্রাস্ফীতি ও বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে সাংবাদিকদের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন মহার্ঘভাতা প্রণয়নের দাবি জানান। একই সাথে রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে তা দ্রুত বাস্তাবায়নেরও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।