ঢাকা ব্যুরো:অনেকে অতিজ্ঞানী হলেও তাঁরা কম বোঝেন, তাকিয়ে থাকেন কখন তাঁরা ক্ষমতায় যেতে পারবেন। ‘সরকার উৎখাত করতে চায়, আমাদের অপরাধটা কী? কোথায় ব্যর্থ হয়েছি?’ আজ শনিবার (০৭ মে) বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। করোনা মহামারির কারণে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী এ ফোরামের বৈঠক কমে গেছে। গত বছর একটি বৈঠক হলেও সেখানে সীমিতসংখ্যক নেতা অংশ নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
জিয়াউর রহমান নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ কখনো ভোটে পেছনে ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র করে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তাঁরা এগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছে। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের সময় ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে। পাকিস্তানি স্টাইলে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ চালু করেছিল।’
বক্তব্যে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পরের ইতিহাস তুলে ধরে দলের সংহতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তর–পরবর্তী আওয়ামী লীগ আমি দেখেছি। শত্রুরা কখনো ক্ষতি করতে পারে না, যদি ঘরের শত্রু বিভীষণ না হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে সব সময় এটি দেখা গেছে। আর এটি হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়। অত্যন্ত দুঃখজনক।’
এসবের মধ্যেই আওয়ামী লীগের এগিয়ে চলার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংগঠনকে সুসংগঠিত করা এবং সেই সঙ্গে ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য আমরা কী করব, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে আমরা কাজ করেছি।’




