ঢাকা ব্যুরো: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ত্রুটি কাটিয়ে নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দপ্তরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
রোববার (১০ এপ্রিল) অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য সচিবালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের লোয়ার (তৃণমূল পর্যায়ের) এনটিটি হলো ইউনিয়ন পরিষদ। সেখানকার মেম্বারদের এই কাজে নিয়োগ করা যাবে কিনা জানি না। একটি ইউনিয়নে ২৫ হাজার লোক, সেখানে অনেক দূরত্বও রয়েছে। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সমস্ত জায়গায় যেতে পারে না।
‘এখানে একটি ম্যাকানিজম থাকতে পারে, এখানে কারো জন্ম হলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি নিবন্ধন করা। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যানদের একটিভ হতে হবে। চেয়ারম্যানরা যখন মাসিক মিটিং করবে তখন প্রত্যেকটি নাগরিকের খবর রাখতে হবে, কোনো ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছে, কে মৃত্যুবরণ করেছে। সেক্ষেত্রে অবহিত করার জন্য ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ’
জন্ম নিবন্ধনে অসংখ্য ভুল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন প্রাপ্তিতে যদি কোনো স্তরে জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জন্ম নিবন্ধনটা ইদানিংকালে খুব বার্ণিং ইস্যু হিসাবে আমরা দেখছি। তারপরও কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জন্ম নিবন্ধন প্রাপ্তি কীভাবে আরো সহজ করা যায় সেজন্যই আজকে আমরা বসেছি। যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন অটোমেশন হয়ে মানুষ যেভাবে জন্ম নিবন্ধন পাচ্ছে সেখানে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি আছে, সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। সেটি ওভারকাম করতেই আজকের সভা করা।
জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে রি-রেশোনালাইজেশন হয়েছে। সেজন্য সার্ভার কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিল। এখন চালু হয়েছে। এখনও কোনো কমপ্লেইন আছে কিনা আমি নিশ্চিত না। এটা অনেক টাকা বিনিয়োগ করে করা হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাই দেখভাল করছে যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।