কক্সবাজার প্রতিনিধি: ছোট সাইজের লেবু এক জোড়া ২০ টাকা, মাঝারি ৩০ টাকা, বড় সাইজের ৪০ টাকা, শসা কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়াও ছোট সাইজের এক জোড়া কলার দাম ৩০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০ টাকা, বড় সাইজের জোড়া ৪০টাকা বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এদিকে বাজারের দোকানে টাঙ্গানো নেই দ্রব্যমূল্যের নির্ধারিত তালিকা। কিছু কিছু দোকানে তালিকা টাঙ্গানো থাকলেও টাকার অংশ খালি রয়েছে।

গেল দুই বছর করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে মানুষের। সেই ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন এমনিতে চরম সঙ্কটে। এদিকে রমজান মাস আসলেই কিছুু অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দিয়ে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা জরুরি বলে দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে রীতিমতো অসহায় মানুষ। এছাড়াও মানুষের আয়ের বড় অংশই খরচ করতে হচ্ছে বাসা ভাড়া ও বাজারের পেছনে। আবার অনেকেই তুলনামূলক কম ভাড়ার বাসা নিয়েছেন এই বাড়তি ব্যয় মেটাতে। অনেকের সন্তানের লেখাপড়াতেও ছেদ পড়েছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে।

শহরের বড় বাজারে আসা আবুল বশর বলেন, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে প্রতি জোড়া ৩০ টাকা। এভাবে টমেটো, করলা, শসা, বেগুন, ফুলকপি, শিম, মরিচ, পুদিনা, মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নেই কোন নির্দেশনা। কিছু সাইনবোর্ড থাকলেও তার তুলনামূলক ব্যবধান অনেক বেশি। কিভাবে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ক্রয় করবে?

শহরের পিটিস্কুল বাজারে আসা ছৈয়দ নুর বলেন, রমজান আসলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে প্রতি বছর। কক্সবাজারে রজমান আসার আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী করে তুলে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা নানান অজুহাতে রমজান মাস আসলে বহুগুন বাড়িয়ে দেয় বাজারের সকল পণ্যের দাম। ইফতার সামগ্রী তৈরির কাঁচামালের দামের উপর থাকে তাদের টার্গেট। বেগুন, লেবু আর শসার চড়া দাম এখন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে।

মোহাম্মদ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি জানান, রমজান মাস যেন আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য হাতে চাঁদ ধরার মতো। কোন ধরণের মানবতা নেই। রমজান মাসে বিশেষ করে মুড়ি, খেঁজুর, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, দুধ, নুড়লস, সেমাই, পানিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি বৎসর এই রকম হয়ে থাকে। প্রতি বৎসর বাড়ছে। কিন্তু বাড়ানো মূল্য রমজান গেলেও আর কমে না। শুধু বাড়ে আর বাড়ে।

তবে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কমে গেলে কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া অধিকাংশ কাঁচামাল আসে জেলার বাইরে থেকে। তাই পরিবহন ভাড়াও বাড়ে। তাছাড়া কক্সবাজারে আসা কাঁচামালের একটি অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা। যার কারণে নিত্যপণ্যের উপর চড়া দাম বহন করতে হয় জেলার সাধারণ মানুষের।

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি: ছোট সাইজের লেবু এক জোড়া ২০ টাকা, মাঝারি ৩০ টাকা, বড় সাইজের ৪০ টাকা, শসা কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়াও ছোট সাইজের এক জোড়া কলার দাম ৩০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০ টাকা, বড় সাইজের জোড়া ৪০টাকা বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এদিকে বাজারের দোকানে টাঙ্গানো নেই দ্রব্যমূল্যের নির্ধারিত তালিকা। কিছু কিছু দোকানে তালিকা টাঙ্গানো থাকলেও টাকার অংশ খালি রয়েছে।

গেল দুই বছর করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে মানুষের। সেই ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন এমনিতে চরম সঙ্কটে। এদিকে রমজান মাস আসলেই কিছুু অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দিয়ে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা জরুরি বলে দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে রীতিমতো অসহায় মানুষ। এছাড়াও মানুষের আয়ের বড় অংশই খরচ করতে হচ্ছে বাসা ভাড়া ও বাজারের পেছনে। আবার অনেকেই তুলনামূলক কম ভাড়ার বাসা নিয়েছেন এই বাড়তি ব্যয় মেটাতে। অনেকের সন্তানের লেখাপড়াতেও ছেদ পড়েছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে।

শহরের বড় বাজারে আসা আবুল বশর বলেন, লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে প্রতি জোড়া ৩০ টাকা। এভাবে টমেটো, করলা, শসা, বেগুন, ফুলকপি, শিম, মরিচ, পুদিনা, মরিচ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নেই কোন নির্দেশনা। কিছু সাইনবোর্ড থাকলেও তার তুলনামূলক ব্যবধান অনেক বেশি। কিভাবে সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার ক্রয় করবে?

শহরের পিটিস্কুল বাজারে আসা ছৈয়দ নুর বলেন, রমজান আসলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে প্রতি বছর। কক্সবাজারে রজমান আসার আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী করে তুলে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা নানান অজুহাতে রমজান মাস আসলে বহুগুন বাড়িয়ে দেয় বাজারের সকল পণ্যের দাম। ইফতার সামগ্রী তৈরির কাঁচামালের দামের উপর থাকে তাদের টার্গেট। বেগুন, লেবু আর শসার চড়া দাম এখন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে।

মোহাম্মদ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি জানান, রমজান মাস যেন আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য হাতে চাঁদ ধরার মতো। কোন ধরণের মানবতা নেই। রমজান মাসে বিশেষ করে মুড়ি, খেঁজুর, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, দুধ, নুড়লস, সেমাই, পানিসহ ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি বৎসর এই রকম হয়ে থাকে। প্রতি বৎসর বাড়ছে। কিন্তু বাড়ানো মূল্য রমজান গেলেও আর কমে না। শুধু বাড়ে আর বাড়ে।

তবে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কমে গেলে কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। তাছাড়া অধিকাংশ কাঁচামাল আসে জেলার বাইরে থেকে। তাই পরিবহন ভাড়াও বাড়ে। তাছাড়া কক্সবাজারে আসা কাঁচামালের একটি অংশ রোহিঙ্গাদের জন্য সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা। যার কারণে নিত্যপণ্যের উপর চড়া দাম বহন করতে হয় জেলার সাধারণ মানুষের।