বিশেষ প্রতিবেদক:  দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও নগরীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। পুলিশ বলছে, তারা ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট পুলিশ বা ফাঁড়ি পুলিশ ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে নিষিদ্ধ এই যান। প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনার কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এই নিষিদ্ধ যান চলাচলের উপর নিষেজ্ঞা আছে।

অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে। যার ফলে ঘটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বক্সিরহাট, খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, মাস্টারপুল, দেওয়ান বাজার, দিদার মার্কেট, বাকলিয়া, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, হালিশহর, আমবাগান, খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, বায়েজিদ, অক্সিজেন, হালিশহরসহ নগরীর সর্বত্রই ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলছে। দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও আপনি কিভাবে এই অটোরিক্সা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমি জানি অটো রিক্সা অবৈধ। কিন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের সর্বত্রে অটোরিক্সা চলছে। সিএমপি’র সকল থানার আওতায় পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় এই অটোরিক্সা চলছে। প্রতিদিন একটা অটোরিক্সা থেকে ৮০ টাকা করে দিতে হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে প্রায় নয় হাজারের মতো অটোরিক্সা আছে। প্রত্যেক অটোরিক্সা থেকে ৮০ টাকা করে হলে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো চাঁদা পুলিশের হাতে চলে যাচ্ছে।

এই টাকা কাকে দেন জানতে চাইলে আর এক অটো চালক জানান, এটা আমাদের গ্যারেজের মালিককে দিয়ে দিতে হয়। গ্যারেজের মালিক পুলিশকে ম্যানেজ করে থাকে। এটা টোকেন মানি বলে আমরা জানি। এই টাকাটা না দিলে পুলিশ আমাদের অটো চালাতে দিবেনা। প্রতিরাতে গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সার ব্যাটারী নিয়ে যাবে। অতীতেও এইভাবে অভিযান চালিয়ে অনেক অটো রিক্সার ব্যাটারী নিয়ে গেছে।

সিএমপিতে ১৪৫টি বিট আছে। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে এবং অপরাধীদের সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে এই বিট পুলিশিং। এই বিট পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় নগরীতে চলছে অটোরিক্সা চলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নীরবেই মাসোহারা আদায় করে চলেছে বিট বা পুলিশ ফাঁড়ি। যা এখন ওপেন সিক্রেট। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, মহাসড়কে ব্যাটারি রিক্সা চলতে দেয়া হয় না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব বাহন অবৈধ হওয়ায় তা সড়কে পাওয়া গেলে জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের বক্তব্য এমন হলেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। নগরীর অলিগলি ও শহরের অধিকাংশ সড়কেই ব্যাটারি রিক্সার চলাচল থামেনি।

অভিযোগ আছে, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় লাইনম্যান দিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গ্রুফ-উপ গ্রুফই ব্যাটারি রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিদিন রিক্সা প্রতি ৮০ টাকা টোকেন মানি নেয় তারা। নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রুটেই চলাচল করে এসব রিক্সা। বাকলিয়ার রিক্সা যেমন পাহাড়তলী এলাকায় নিয়মিত চলাচল করতে পারে না, তেমনি কেউ ভিন্ন রুটে গেলে রিক্সা আটকে চাঁদা দাবির মতো ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে নগরীতে।

অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার গ্যারেজ থেকেও মাসোহারা তোলা হয়। এসব টাকা ভাগ হয়ে এলাকাভিত্তিক নেতাদের হাত ঘুরে যায় স্থানীয় থানায় পর্যন্ত। এছাড়া ব্যাটারি রিক্সা চলাচলের সঙ্গে নগরীর প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো।  যদিও এ বিষয়ে সিএমপি শুরু থেকেই বলে আসছে তাদের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ১২৮ বর্গমাইল আয়তনের প্রায় ১০ লক্ষ জনবসতিপূর্ণ বাণিজ্য ও শিল্পসমৃদ্ধ বন্দরনগীতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। জন সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য সিএমপি’র কার্যক্রমসমুহ বর্তমানে ৪টি অপরাধ বিভাগ, ৪টি গোয়েন্দা বিভাগ, ৪টি ট্রাফিক বিভাগ এবং সদর দপ্তরসহ মোট ৭০৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে এগিয়ে চলছে সিএমপি।

অপরাধ দমনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত বিশেষ টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সোয়াত টিম, সাইবার ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে। বর্তমানে পুলিশ সেবার মধ্যে যে সকল সেবা চালু আছে তা হলো: ওয়ান স্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস, মোবাইল অ্যাপস, করোনা সিএমপি, আইজ অব সিএমপি, সার্ভিস ডেলিভারী সেন্টার, বডি অন ক্যামেরা, ট্রাফিক বিভাগের
উদ্যোগে চালু হয় ‘বাসের ন্যায্য ভাড়া কার্যক্রম’, আমার গাড়ি নিরাপদ, হ্যালো পুলিশ কমিশনার, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধী সহায়তা ডেস্ক, সিএমপি ১৬ থানায় লাইব্রেরী, সিএমপি জাদুঘর, হ্যালো সিএমপি, সিএমপি সার্ভিস সেন্টার, বিডি পুলিশ হেল্প লাইন, সিএমপি ওয়েবসাইট, ফেসবুক, সিএমপি নিউজ পোর্টাল, বিট পুলিশ, ৯৯৯।

সিএমপি পুলিশের এই ধরণের সুন্দর সহজ সেবার সুনাম হওয়ার কথা কিন্তু বিট বা ফাঁড়ি পুলিশের কারণে এই সুনাম ধুলোয় মিশে যাচ্ছে প্রতিনিয়িত। এই বিষয়ে সিএমপি’তে বসরত সচেতন নাগরিকের দাবী বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।

বিশেষ প্রতিবেদক:  দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও নগরীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। পুলিশ বলছে, তারা ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট পুলিশ বা ফাঁড়ি পুলিশ ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে নিষিদ্ধ এই যান। প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনার কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এই নিষিদ্ধ যান চলাচলের উপর নিষেজ্ঞা আছে।

অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে। যার ফলে ঘটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বক্সিরহাট, খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, মাস্টারপুল, দেওয়ান বাজার, দিদার মার্কেট, বাকলিয়া, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, হালিশহর, আমবাগান, খুলশী, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, বায়েজিদ, অক্সিজেন, হালিশহরসহ নগরীর সর্বত্রই ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলছে। দেশের উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও আপনি কিভাবে এই অটোরিক্সা চালাচ্ছেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমি জানি অটো রিক্সা অবৈধ। কিন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের সর্বত্রে অটোরিক্সা চলছে। সিএমপি’র সকল থানার আওতায় পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় এই অটোরিক্সা চলছে। প্রতিদিন একটা অটোরিক্সা থেকে ৮০ টাকা করে দিতে হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে প্রায় নয় হাজারের মতো অটোরিক্সা আছে। প্রত্যেক অটোরিক্সা থেকে ৮০ টাকা করে হলে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো চাঁদা পুলিশের হাতে চলে যাচ্ছে।

এই টাকা কাকে দেন জানতে চাইলে আর এক অটো চালক জানান, এটা আমাদের গ্যারেজের মালিককে দিয়ে দিতে হয়। গ্যারেজের মালিক পুলিশকে ম্যানেজ করে থাকে। এটা টোকেন মানি বলে আমরা জানি। এই টাকাটা না দিলে পুলিশ আমাদের অটো চালাতে দিবেনা। প্রতিরাতে গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে অটো রিক্সার ব্যাটারী নিয়ে যাবে। অতীতেও এইভাবে অভিযান চালিয়ে অনেক অটো রিক্সার ব্যাটারী নিয়ে গেছে।

সিএমপিতে ১৪৫টি বিট আছে। পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে এবং অপরাধীদের সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে এই বিট পুলিশিং। এই বিট পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় নগরীতে চলছে অটোরিক্সা চলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নীরবেই মাসোহারা আদায় করে চলেছে বিট বা পুলিশ ফাঁড়ি। যা এখন ওপেন সিক্রেট। সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, মহাসড়কে ব্যাটারি রিক্সা চলতে দেয়া হয় না। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব বাহন অবৈধ হওয়ায় তা সড়কে পাওয়া গেলে জব্দ করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের বক্তব্য এমন হলেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। নগরীর অলিগলি ও শহরের অধিকাংশ সড়কেই ব্যাটারি রিক্সার চলাচল থামেনি।

অভিযোগ আছে, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন এলাকায় লাইনম্যান দিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গ্রুফ-উপ গ্রুফই ব্যাটারি রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিদিন রিক্সা প্রতি ৮০ টাকা টোকেন মানি নেয় তারা। নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রুটেই চলাচল করে এসব রিক্সা। বাকলিয়ার রিক্সা যেমন পাহাড়তলী এলাকায় নিয়মিত চলাচল করতে পারে না, তেমনি কেউ ভিন্ন রুটে গেলে রিক্সা আটকে চাঁদা দাবির মতো ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে নগরীতে।

অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার গ্যারেজ থেকেও মাসোহারা তোলা হয়। এসব টাকা ভাগ হয়ে এলাকাভিত্তিক নেতাদের হাত ঘুরে যায় স্থানীয় থানায় পর্যন্ত। এছাড়া ব্যাটারি রিক্সা চলাচলের সঙ্গে নগরীর প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ বেশ পুরনো।  যদিও এ বিষয়ে সিএমপি শুরু থেকেই বলে আসছে তাদের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ১২৮ বর্গমাইল আয়তনের প্রায় ১০ লক্ষ জনবসতিপূর্ণ বাণিজ্য ও শিল্পসমৃদ্ধ বন্দরনগীতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। জন সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য সিএমপি’র কার্যক্রমসমুহ বর্তমানে ৪টি অপরাধ বিভাগ, ৪টি গোয়েন্দা বিভাগ, ৪টি ট্রাফিক বিভাগ এবং সদর দপ্তরসহ মোট ৭০৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে এগিয়ে চলছে সিএমপি।

অপরাধ দমনে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি প্রশিক্ষিত বিশেষ টিম, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, সোয়াত টিম, সাইবার ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে। বর্তমানে পুলিশ সেবার মধ্যে যে সকল সেবা চালু আছে তা হলো: ওয়ান স্টপ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস, মোবাইল অ্যাপস, করোনা সিএমপি, আইজ অব সিএমপি, সার্ভিস ডেলিভারী সেন্টার, বডি অন ক্যামেরা, ট্রাফিক বিভাগের
উদ্যোগে চালু হয় ‘বাসের ন্যায্য ভাড়া কার্যক্রম’, আমার গাড়ি নিরাপদ, হ্যালো পুলিশ কমিশনার, নারী-শিশু ও প্রতিবন্ধী সহায়তা ডেস্ক, সিএমপি ১৬ থানায় লাইব্রেরী, সিএমপি জাদুঘর, হ্যালো সিএমপি, সিএমপি সার্ভিস সেন্টার, বিডি পুলিশ হেল্প লাইন, সিএমপি ওয়েবসাইট, ফেসবুক, সিএমপি নিউজ পোর্টাল, বিট পুলিশ, ৯৯৯।

সিএমপি পুলিশের এই ধরণের সুন্দর সহজ সেবার সুনাম হওয়ার কথা কিন্তু বিট বা ফাঁড়ি পুলিশের কারণে এই সুনাম ধুলোয় মিশে যাচ্ছে প্রতিনিয়িত। এই বিষয়ে সিএমপি’তে বসরত সচেতন নাগরিকের দাবী বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।