নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী দিনের বিশ্ব হবে জ্ঞানভিত্তিক। আজকের শিশু-কিশোরেরা হবে দেশের প্রাণভোমর। তাই এখন থেকে শিশু-কিশোরদের জ্ঞানের দিকে নিয়ে আসতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিশু-কিশোরদের এখন থেকে তৈরী করতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ, ত্যাগ-তিতিক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের উপর জোর দিতে আহ্বান জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বাষির্কী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও স্বর্ণপদক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তাঁর নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তিনি আমাদের অতীত, বর্তমান ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিশু-কিশোরদের মেধা, প্রতিভা ও জ্ঞান বিকাশে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাচীন শিক্ষা পদ্ধতির বদলে নিয়ে আসছে যুগোপযোগী শিক্ষা। দক্ষতা অর্জনে হাতে কলমে শিশু-কিশোরদের শিক্ষিত করা গেলে, আগামী দিনের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য হয়ে উঠবে তারাই। স্কুল জীবন থেকে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিতি করানো গেলে ভবিষ্যতে দক্ষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্র তৈরি হবে।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস বাঙালির জীবনে এক অনবদ্য মাস। ৭১’র মার্চের প্রতিটি দিনই অনেক ঘটনাবহুল এবং তাৎপর্যময়। দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করে বাংলাদেশ নানাভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে চলাকে ধরে রেখে আগামীতে উন্নত দেশে পর্দাপন করার জন্য শিশু-কিশোরদের গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল। শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা তৃতীয় বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে বাংলাদেশ। এবং তারই ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বাংলাদেশ। এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি উন্নয়নশীল দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সুশান আনোয়ার চৌধুরীর সভাপতিত্বে হোসাইন রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, রাজনীতিক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান মাকসুদ, ফাতেমা বেগম, মনোরঞ্জন কীর্তিনীয়া, ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসমত আলী, দেলোয়ার হোসেন, ইলা চক্রবর্ত্তী, আব্দুল হালিম, লিপি দেওয়ানজী, শাহেদ শাকিল প্রমুখ।




