নিজস্ব প্রতিবেদক: পলিথিন বা প্লাষ্টিক ব্যবহারের কুফল ও ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে নগরবাসীকে বারবার সচেতন করা হলেও বিষয়টি অনেকে আমলে নিচ্ছে না। পলিথিন ব্যবহারের ব্যাপারে চসিক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে। তাই আগামী ২৫মার্চের আগে পলিথিন যাদের আছে তা সরিয়ে নিয়ে বিকল্প চটের বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে শেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলো। ২৫মার্চের পর যাদের কাছে পলিথিন পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।আজ সোমবার সকালে রিয়াজউদ্দিন বাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার উপর এক প্রচারণা অনুষ্ঠানেচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগসহ রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মেয়র আরো বলেন, পলিথিন পচেঁ না বলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায় ও উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে বাধা তৈরী করে। নষ্ট হচ্ছে পানির প্রাকৃতিক গুণ। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মরছেনা বলে কৃষি জমিতে উৎপাদন কমে আসছে।
তিনি বলেন, পাশের দেশ ভারতে মানুষকে সচেতন করা এবং কঠোর নির্দেশনার মাধ্যমে ৯০ভাগ মানুষ চটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। তাই আমাদের সচেতন হয়ে অভ্যাস পরিবর্তন করে চটের বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নতি সাধিত হবে ফলে চট্টগ্রাম হবে পলিথিনমুক্ত পরিবেশ বান্ধব নগরী।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এক কোটিরও বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়। এগুলো দ্বারা ড্রেন, নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আসুন আমরা সবাই পলিথিনকে না বলি। সরকার ইতোমধ্যে পলিথিনের কারখানা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি যদি রিয়াজউদ্দিন বাজার সহ সকল পাইকারী বাজারে পলিথিন বিক্রি বন্ধ হয় তাহলে নগরী একটি আধুনিক পরিবেশ বান্ধব নগরীতে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




