কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে চলমান সংঘাত, তীব্র খাদ্য সংকট ও দমন-পীড়নের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছেই।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) তথ্যমতে, গত দেড় বছরে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা।

সূত্র জানায়-নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের ২২টি সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে এ অনুপ্রবেশ ঘটছে। শুধু সীমান্তবর্তী নয়, বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে এই ঢল। শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ থেকে ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে র‍্যাব।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি বলছে, কাঁটাতারহীন দুর্গম সীমান্তে প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে,অভিযান চালানো সত্ত্বেও দালাল চক্র আর রোহিঙ্গা ঢল থামানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে প্রকাশিত সংবাদের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ১২ মে জরুরি বিশেষ সভা ডেকেছে কক্সবাজারে।

রাখাইনে গোলাগুলি-সহিংসতা, বাংলাদেশে ঢোকার হিড়িক পড়ছে। নতুন আসা রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, আরাকান আর্মি সম্প্রতি মংডু টাউনশিপ দখল করে সেখানে রোহিঙ্গা বসতির ওপর দমন শুরু করেছে।

তাদের অভিযোগ, আরসাকে আশ্রয় দেওয়ার দায়ে রোহিঙ্গা নারীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে, পুরুষদের নিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে।

পরিবারের আট সদস্য নিয়ে শালবন আশ্রয় শিবিরে সদ্য আসা রোহিঙ্গা আবদু রহমান বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের ঘরবাড়ি দখল করে ধান-চাল লুট করে নিচ্ছে। ঘর থেকে ধরে নিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। কেউ যদি পালিয়ে আসতে চায়, তাকে পথে ৫ হাজার কিয়াত ঘুস দিতে হচ্ছে। একই কথা বলছেন মিয়ানমার থেকে সদ্য আসা রোহিঙ্গা সলিম উদ্দিন, মো. হোসেন ও কামলাসহ আরও অনেকে।

সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি রোহিঙ্গা নেতা ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘাত নতুন কিছু নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঘরে ঘরে চলছে খাদ্য সংকট। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। আর এ অবস্থায় প্রত্যাবাসন তো কল্পনাও করা যায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট বাংলাদেশের জন্য আরও ভয়াবহ হবে।

কক্সবাজার প্রতিনিধি: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে চলমান সংঘাত, তীব্র খাদ্য সংকট ও দমন-পীড়নের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছেই।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) তথ্যমতে, গত দেড় বছরে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশী রোহিঙ্গা।

সূত্র জানায়-নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের ২২টি সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে এ অনুপ্রবেশ ঘটছে। শুধু সীমান্তবর্তী নয়, বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও পতেঙ্গা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে এই ঢল। শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতের মুসলিমাবাদ বেড়িবাঁধ থেকে ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে র‍্যাব।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি বলছে, কাঁটাতারহীন দুর্গম সীমান্তে প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে,অভিযান চালানো সত্ত্বেও দালাল চক্র আর রোহিঙ্গা ঢল থামানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে প্রকাশিত সংবাদের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ১২ মে জরুরি বিশেষ সভা ডেকেছে কক্সবাজারে।

রাখাইনে গোলাগুলি-সহিংসতা, বাংলাদেশে ঢোকার হিড়িক পড়ছে। নতুন আসা রোহিঙ্গা সূত্রে জানা যায়, আরাকান আর্মি সম্প্রতি মংডু টাউনশিপ দখল করে সেখানে রোহিঙ্গা বসতির ওপর দমন শুরু করেছে।

তাদের অভিযোগ, আরসাকে আশ্রয় দেওয়ার দায়ে রোহিঙ্গা নারীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে, পুরুষদের নিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে।

পরিবারের আট সদস্য নিয়ে শালবন আশ্রয় শিবিরে সদ্য আসা রোহিঙ্গা আবদু রহমান বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের ঘরবাড়ি দখল করে ধান-চাল লুট করে নিচ্ছে। ঘর থেকে ধরে নিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে। কেউ যদি পালিয়ে আসতে চায়, তাকে পথে ৫ হাজার কিয়াত ঘুস দিতে হচ্ছে। একই কথা বলছেন মিয়ানমার থেকে সদ্য আসা রোহিঙ্গা সলিম উদ্দিন, মো. হোসেন ও কামলাসহ আরও অনেকে।

সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি রোহিঙ্গা নেতা ডা. মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংঘাত নতুন কিছু নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঘরে ঘরে চলছে খাদ্য সংকট। রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। আর এ অবস্থায় প্রত্যাবাসন তো কল্পনাও করা যায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই সংকট বাংলাদেশের জন্য আরও ভয়াবহ হবে।