বিজন কুমার বিশ্বাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাছ ধরার সরকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দরিদ্র জেলে পরিবারের মধ্যে আইজিএ উপকরণ বিতরণ করেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস)। গত ২৯ এপ্রিল বাটাখালী ২য় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০ হতদরিদ্র জেলে পরিবারকে নগদ তিন হাজার করে টাকা ও ২৯৫ পরিবারকে পাঁচটি করে হাঁস ও পাঁচ প্রজাতির সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি নজরুল স্মৃতি সংসদ এর নির্বাহী পরিচালক সাহাবুদ্দিন পান্না এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি পিএলসি চকরিয়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ইকরাম হোসেন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ডিরেক্টর ফিড অপারেশন-এনএসএস, মোঃ জাকির হোসেন, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর, এনএসএস।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- এনএসএস এর নির্বাহী পরিচালক সাহাবুদ্দিন পান্না।

তিনি বলেন, এমটিবি ফাউন্ডেশন এই হতদরিদ্র পরিবার গুলোর পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য পরিবার গুলো আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এই সহযোগিতা পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। অনেকেই বলেছেন, সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করেছি। অনেকেই বলেছেন, হাঁসের ডিম বিক্রি করে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। কথা গুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগছে, এই জন্য এমটিবি ফাউন্ডেশন কে অভিনন্দন জানাই।

এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, এই হতদরিদ্র পরিবার গুলো মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা সময়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল থাকুক এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। তিনি কয়েকজন সুবিধাভোগীরা সাথে কথা বলেন এবং সার্বক্ষণিক পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

ফাতেমা বেগম নামের এক সুবিধাভোগী এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফেরত আসে নাই। আমার সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছিলাম। এমটিবি ফাউন্ডেশনের এই সহযোগিতায় আমি ও আমার পরিবার আলোর মুখ দেখেছে। আমি তিন বারে ১৫টি হাঁস পেয়েছি, আগের ১০টির মধ্যে ৮টি বেঁচে আছে এবং ৭টি হাঁস নিয়মিত ডিম দেয়। প্রতিমাসে ডিম বিক্রি করে তিন হাজার টাকা আয় করি। বিগত ছয় মাসে সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করেছি। এ থেকেও মাসে এক হাজারের বেশি টাকা আয় করেছি।

আর এক সুবিধাভোগী রত্না জলদাস জানান, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন। আমার স্বামীর পক্ষে সংসারের খরচ চালিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারতো না। এমটিবি ফাউন্ডেশন থেকে প্রথমবার তিন হাজার টাকা পাওয়ার পর আরো সাত হাজার টাকা লোন নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনি। সেলাই কাজ করে এখন সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাই। পরবর্তীতে আরো দু’বার ছয় হাজার টাকা পেয়ে লোন পরিশোধ করি। এখন আমার পরিবার নিয়ে সুখে আছি।

অনেকেই বলেন, এমটিবি ফাউন্ডেশনের মতো অনান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে এই হতদরিদ্র পরিবারের পাশে এগিয়ে আসলে এসব পরিবার ও দেশ এগিয়ে যাবে।

বিজন কুমার বিশ্বাস, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাছ ধরার সরকারী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দরিদ্র জেলে পরিবারের মধ্যে আইজিএ উপকরণ বিতরণ করেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নজরুল স্মৃতি সংসদ (এনএসএস)। গত ২৯ এপ্রিল বাটাখালী ২য় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০ হতদরিদ্র জেলে পরিবারকে নগদ তিন হাজার করে টাকা ও ২৯৫ পরিবারকে পাঁচটি করে হাঁস ও পাঁচ প্রজাতির সবজি বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি নজরুল স্মৃতি সংসদ এর নির্বাহী পরিচালক সাহাবুদ্দিন পান্না এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমটিবি পিএলসি চকরিয়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ইকরাম হোসেন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ডিরেক্টর ফিড অপারেশন-এনএসএস, মোঃ জাকির হোসেন, মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর, এনএসএস।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- এনএসএস এর নির্বাহী পরিচালক সাহাবুদ্দিন পান্না।

তিনি বলেন, এমটিবি ফাউন্ডেশন এই হতদরিদ্র পরিবার গুলোর পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য পরিবার গুলো আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এই সহযোগিতা পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি। অনেকেই বলেছেন, সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করেছি। অনেকেই বলেছেন, হাঁসের ডিম বিক্রি করে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। কথা গুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগছে, এই জন্য এমটিবি ফাউন্ডেশন কে অভিনন্দন জানাই।

এমটিবি ফাউন্ডেশনের সিইও সামিয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, এই হতদরিদ্র পরিবার গুলো মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা সময়ে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল থাকুক এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। তিনি কয়েকজন সুবিধাভোগীরা সাথে কথা বলেন এবং সার্বক্ষণিক পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

ফাতেমা বেগম নামের এক সুবিধাভোগী এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফেরত আসে নাই। আমার সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছিলাম। এমটিবি ফাউন্ডেশনের এই সহযোগিতায় আমি ও আমার পরিবার আলোর মুখ দেখেছে। আমি তিন বারে ১৫টি হাঁস পেয়েছি, আগের ১০টির মধ্যে ৮টি বেঁচে আছে এবং ৭টি হাঁস নিয়মিত ডিম দেয়। প্রতিমাসে ডিম বিক্রি করে তিন হাজার টাকা আয় করি। বিগত ছয় মাসে সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করেছি। এ থেকেও মাসে এক হাজারের বেশি টাকা আয় করেছি।

আর এক সুবিধাভোগী রত্না জলদাস জানান, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন। আমার স্বামীর পক্ষে সংসারের খরচ চালিয়ে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারতো না। এমটিবি ফাউন্ডেশন থেকে প্রথমবার তিন হাজার টাকা পাওয়ার পর আরো সাত হাজার টাকা লোন নিয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনি। সেলাই কাজ করে এখন সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাই। পরবর্তীতে আরো দু’বার ছয় হাজার টাকা পেয়ে লোন পরিশোধ করি। এখন আমার পরিবার নিয়ে সুখে আছি।

অনেকেই বলেন, এমটিবি ফাউন্ডেশনের মতো অনান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে এই হতদরিদ্র পরিবারের পাশে এগিয়ে আসলে এসব পরিবার ও দেশ এগিয়ে যাবে।