সাইফ আহমেদ, বনানী (ঢাকা) : রাজধানীর বনানীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একের পর এক সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনা বেড়ে চললেও থানার বড়বাবু (ওসি) মোঃ রাসেল সারোয়ার এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!

অভিযোগ এসেছে, বনানীতে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যা নিয়ন্ত্রণে ওসি সাহেব পুরোপুরি ব্যর্থ! সংগঠিত প্রতিটি অপরাধের বেলায় তাকে প্রশ্ন করা হলে যেন মুখস্থ বক্তব্য দিয়েই যেন তার দায় শেষ। বনানীর অপরাধ প্রতিরোধে তার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে বনানী থানা এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হলে ওসি সাহেবের ফরমায়েশে সঠিক তদন্ত না করে প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে সেখানে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নাম ঠুকে দিয়ে মামলা করা হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে আবার অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ওসির এ রকম রহস্যজনক আচরণে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।‌ ওসির সঙ্গে নাকি নিয়মিতই থানায় মিটিং হয় অপরাধীদের এমন তথ্য এসেছে আমাদের কাছে। ওসি নাকি বিএনপির পুলিশ। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যা ইচ্ছা তা করতে! এদিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বনানীর বস্তি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেরা নিজেরা একের পর এক সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

সম্প্রতি বনানী ১৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাদের উপর হামলা করানোর অভিযোগ করা হয়েছে বনানী থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে থেমে নেই তার স্ত্রী বর্তমান কমিটিতে পদবঞ্চিত বনানী থানা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাবেক সভাপতি রোকেয়া সরকারও। তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া বাহিনীর দ্বারা বর্তমান কমিটির এক নেত্রীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। পদবঞ্চিত হয়ে রোকেয়া সরকার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন একাধিক বক্তব্য দিয়েছেন। যে কারণে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রাথমিকভাবে তাকে শোকজ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে, শাহজাহান সরকার ও আরেক নেতা লিটন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কড়াইল বস্তির একাংশ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দখল চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। আর এ সবকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে প্রতিদিনই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শাহজাহান-লিটন বাহিনী। এ বিষয়ে থানার ওসি সাহেবের ভূমিকা রহস্যজনক! সংঘর্ষের ঘটনায় পালাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম দিয়ে মামলায় আসামিদের তালিকা বড় করা হয়। এছাড়া শাহজাহান সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন বলেও তথ্য এসেছে। তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বস্তি দখলে নেমেছেন। ১৯নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের পদধারী নেত্রী রেশমীকে দলে ভিড়িয়েছেন শাহজাহানের স্ত্রী রোকেয়া সরকার।

বনানী থানায় শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দোসররা ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। তবে এখনো শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে বনানী থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির একটি নমুনা দেখা যায়। বেলতলায় দেখতে পাওয়া যায়, শতাধিক উঠতি বয়সের ছেলেপেলে ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়ে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে মহড়া দিচ্ছে। পরে তারা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। কিন্তু থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একবারের জন্যও ঘটনাস্থলে আসেনি।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বিএনপির দু’গ্রুপ ডিএনসিসি বনানী সুপার মার্কেট দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মাঝে হামলায় মার্কেটের দুজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় মার্কেট বন্ধ রাখেন।

এসব বিষয়ে বনানী থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নাফি আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বনানীর আনাচে-কানাচে কত্ত অপরাধ। কিন্তু নাই কোন বহিষ্কার। নাই কোন গ্রেফতার। এই এলাকায় বহিষ্কার করার মতো সেই নেতাও নাই। গ্রেফতার করার মতো ওসি’ও নাই।

সাইফ আহমেদ, বনানী (ঢাকা) : রাজধানীর বনানীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একের পর এক সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। এসব ঘটনায় হতাহতের ঘটনা বেড়ে চললেও থানার বড়বাবু (ওসি) মোঃ রাসেল সারোয়ার এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে!

অভিযোগ এসেছে, বনানীতে একের পর এক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যা নিয়ন্ত্রণে ওসি সাহেব পুরোপুরি ব্যর্থ! সংগঠিত প্রতিটি অপরাধের বেলায় তাকে প্রশ্ন করা হলে যেন মুখস্থ বক্তব্য দিয়েই যেন তার দায় শেষ। বনানীর অপরাধ প্রতিরোধে তার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।

অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে বনানী থানা এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হলে ওসি সাহেবের ফরমায়েশে সঠিক তদন্ত না করে প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে সেখানে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নাম ঠুকে দিয়ে মামলা করা হচ্ছে। এতে করে প্রকৃত অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে আবার অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ওসির এ রকম রহস্যজনক আচরণে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা।‌ ওসির সঙ্গে নাকি নিয়মিতই থানায় মিটিং হয় অপরাধীদের এমন তথ্য এসেছে আমাদের কাছে। ওসি নাকি বিএনপির পুলিশ। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যা ইচ্ছা তা করতে! এদিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বনানীর বস্তি এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেরা নিজেরা একের পর এক সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

সম্প্রতি বনানী ১৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র নেতাদের উপর হামলা করানোর অভিযোগ করা হয়েছে বনানী থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে থেমে নেই তার স্ত্রী বর্তমান কমিটিতে পদবঞ্চিত বনানী থানা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাবেক সভাপতি রোকেয়া সরকারও। তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া বাহিনীর দ্বারা বর্তমান কমিটির এক নেত্রীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। পদবঞ্চিত হয়ে রোকেয়া সরকার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন একাধিক বক্তব্য দিয়েছেন। যে কারণে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রাথমিকভাবে তাকে শোকজ করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে, শাহজাহান সরকার ও আরেক নেতা লিটন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কড়াইল বস্তির একাংশ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দখল চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। আর এ সবকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে প্রতিদিনই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়াচ্ছে শাহজাহান-লিটন বাহিনী। এ বিষয়ে থানার ওসি সাহেবের ভূমিকা রহস্যজনক! সংঘর্ষের ঘটনায় পালাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম দিয়ে মামলায় আসামিদের তালিকা বড় করা হয়। এছাড়া শাহজাহান সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন বলেও তথ্য এসেছে। তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বস্তি দখলে নেমেছেন। ১৯নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের পদধারী নেত্রী রেশমীকে দলে ভিড়িয়েছেন শাহজাহানের স্ত্রী রোকেয়া সরকার।

বনানী থানায় শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দোসররা ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। তবে এখনো শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে বনানী থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির একটি নমুনা দেখা যায়। বেলতলায় দেখতে পাওয়া যায়, শতাধিক উঠতি বয়সের ছেলেপেলে ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়ে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে মহড়া দিচ্ছে। পরে তারা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। কিন্তু থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একবারের জন্যও ঘটনাস্থলে আসেনি।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বিএনপির দু’গ্রুপ ডিএনসিসি বনানী সুপার মার্কেট দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মাঝে হামলায় মার্কেটের দুজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা শঙ্কায় মার্কেট বন্ধ রাখেন।

এসব বিষয়ে বনানী থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নাফি আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বনানীর আনাচে-কানাচে কত্ত অপরাধ। কিন্তু নাই কোন বহিষ্কার। নাই কোন গ্রেফতার। এই এলাকায় বহিষ্কার করার মতো সেই নেতাও নাই। গ্রেফতার করার মতো ওসি’ও নাই।