নগর প্রতিবেদক: সিএমপি’র ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (০৯ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে এসব থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও ডিবির কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্মকর্তারা অফিস করছেন।
কার্যক্রম শুরু হওয়া থানাগুলো হচ্ছে- চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, কর্ণফুলী ও বন্দর থানা।
এদিকে যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপি’র ৫টি থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার (০৫ আগস্ট) বিকেল থেকে সিএমপি’র অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলো। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুঠ হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা সম্পূন্নরুপে ভেঙে পড়ে।
সিএমপি কমিশনার জানান, আমাদের ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। সিএমপির ৫টি থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা নেই, তাই এই ৫টি থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।এছাড়াও আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ লেজুড়বৃত্তি চান না। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করার দাবি তাদের।
সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বলেন, আমার অধীনে চারটি থানা রয়েছে। চার থানার কার্যক্রম সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
সিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে অফিসে জয়েন্ট করেছি। আমাদের অভিযান বন্ধ রয়েছে।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালী (থানা প্রাঙ্গণে) থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হবে। একই দিন ইপিজেড থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে নিউমুরিং ফাঁড়িতে শুরু হবে। এছাড়াও পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।
