খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গার তিন দিনের রিমান্ড করেছে বিজ্ঞ আদালত। জেলাতে পাসপোর্ট করতে এসে মাতালম নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আদালত ঐ রোহিঙ্গাকে ভোটার আইডি ও জন্ম নিবন্ধনে সহযোগিতার সাথে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের মামলার আসামি করা এবং দুদুককে ঘটনার অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ই মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফরিদ আলম এ আদেশে দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাতালম(২৭) গত বৃহস্পতিবার(৯ই মার্চ) খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। এ সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করার সময় দেখা যায় মাতালম বাংলাদেশের রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত। যার নাম্বার ১৭৬২০১৭১১১৭১০১০২৩।

মামলার বাদী খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: আরিফুর রহমান জানান, পরিচয় গোপন রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জন্ম নিবন্ধন ও এনআইডি তৈরি করে পাসপোর্ট করার চেষ্টার অভিযোগে ফরেনার্স এন্ট্রি অ্যাক্ট ১৯৪৬ এর ০৩ধারা মামলা করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫(পাচ) দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে দেন।
মাতালম জানান, ১৯৮৬সালে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড় পিলাকে আসেন মাতালম। তখন তার বয়স ছিল ৪-৫বছর। এরপর থেকে মাতালম বড় পিলাকে থাকতেন। বিয়ে করেন ৮-৯বছর আগে। শ্বশুরবাড়ির বদৌলতে বড়পিলাক থেকেই ভোটার ও জন্মনিবন্ধন করেছেন মাতালম প্রাথমিকভাবে এ তথ্য জানা গেছে।
রোহিঙ্গা যুবক মাতালমের বাবা কক্্রবাজার কুতুপালং ক্যাম্পে থাকেন বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা যুবক। পিতা: আবু সৈয়দ। মাতা: মৃত রহিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, গুইমারা বড়পিলাক, রামগড়, মানিকছড়ি, মাটিরাংগা, লক্্রীছড়ি, মহালছড়ি, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমলছড়ি ইউনিয়নে ভূয়াছড়ি গুচ্ছগ্রামে ২৫-৩০পরিবারে মতো রোহিঙ্গা সেটেলার সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চলছে বলে এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। সরকারি তদন্ত সংস্থা সঠিক তথ্য নিলে আরো এইরকম রোহিঙ্গা বাসিন্দা বের হয়ে আসবে।



