মো.সফিউল আলম, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটোরিকশা চালক রাসেদ মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ১৩ দিনের মধ্যেই ঘাতক খাইরুল ইসলাম শাকিলকে একটি চাকুসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাকিল উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের পুত্র। আজ বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চৌদ্দগ্রাম থানায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা, পরিদর্শক তদন্ত রাজিব চক্রবর্তী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৮ই জানুয়ারি বিকালে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে রাসেদ মিয়া অটোরিকশা নিয়ে ভাড়া বাসা থেকে বের হন। পরদিন বৃহস্পতিবার উজিরপুর ইউনিয়নের শামুকসার গ্রামের জনৈক মামুন চৌধুরীর মুরগির ফার্মের পশ্চিমে বোয়ালজুড়ি খালের পাশে রাজ্জাক মিয়ার জমিতে ভিকটিম রাসেদ মিয়ার নাকে মুখে জমাট বাঁধা রক্ত, নাভির ওপরে ডান পাশে একটি গভীর ক্ষতচিহ্ন এবং বাম পায়ের গোড়ালীর উপরে ক্ষতচিহ্নযুক্ত লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। ওই রাতেই রাসেদ মিয়ার বাবা মশিউর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও মুন্সিরহাট বাজার হতে ঘটনাস্থলে গমনাগমনের বিভিন্ন রাস্তা ও বাজারে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘাতক খাইরুল আলম শাকিলকে শনাক্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে খাইরুল ইসলাম শাকিলকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকুসহ তার নিজ বসতবাড়ি হতে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত শাকিল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।




