স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী কুলছুমা আক্তারকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে স্বামী মোঃ এমরান(৩২)কে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ চট্টগ্রাম এর বিজ্ঞ বিচারক ফেীজুল আজিম এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,কুলছুমা আক্তার নামের জনৈক মহিলাকে বিয়ে করে এমরান(২৮) নামের এক যুবক। কুলছুমার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার আইর মঙ্গল গ্রামে। পিতার নাম আবদুস ছালাম। এমরানের বাড়ি পটিয়া উপজেলার মালিয়ারার মহিরা হিখাইন এলাকায়। ২০১৭সালের জানুয়ারী মাসের ১১তারিখে উভয় পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এমরান এর আগে দৌলতপুর গ্রাম থেকে রিনা আক্তার নামে একজনকে বিয়ে করেন। পরে তাকে তালাক দিয়ে কুলছুমাকে বিয়ে করে।
তবে, এমরান তার দ্বিতীয় স্ত্রী কুলছুমাকে ঘরে তুলে আনলেও একদিনের জন্যও তাকে সুখে থাকতে দেয়নি। শশুর শাশুড়ি এবং স্বামী এমরান মিলে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন শুরু করা হয় বলে পিবিআই’র অভিযোগে উঠে আসে।
স্বামী শশুর- শাশুড়ির নির্যাতন বাড়তে থাকলে ২০১৭ সালের ৩০মে সন্ধ্যার আগে আগে জোরপুর্বক কিটনাশক খাইয়ে দেয়ার পর গুরুতর আহত হয় কুলছুমা। অবস্থা বেগতিক দেখলে তাকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে ভর্তির চারদিন পর জুন মাসের ২তারিখে মারা যায় কুলছুমা আক্তার।
এঘটনায় কুলছুমার মা কমরু বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাবুনাল-১ চট্টগ্রাম এ একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি সরাসরি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তভার ন্যাস্ত করা হয়। আসামী করা হয় স্বামী মোঃ এমরান,শাশুড়ি কুলছুমা বেগম,শশুর শফির আহমদ আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ গ্রামের মোঃ ইয়াকুব প্রকাশ বাইল্যাকে।
দীর্ঘ ৫মাসের অধিক সময় তদন্ত করে পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল আব্বাস একটি অনুসন্ধানমুলক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৪নং আসামী ইয়াকুব প্রকাশ বাইল্যাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে অপর দিনজনকে অভিযুক্ত করে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার স্বামী এমরান আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগের দিন শশুর শাশুড়ি একই আদালত থেকে জামিন পায়।



