আদালত প্রতিবেদক: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ, হালিশহর ও আগ্রাবাদ শাখা এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিঃ আগ্রাবাদ শাখার ৩৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ৫টি পৃথক পৃথক চেক প্রতারণা ও গুলশান থানার সাইবার মামলায় আসামী মোহাম্মদ নুর-উন-নবীকে আজ বুধবার (১১ জানুুয়ারি) গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত মেহনাজ রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ম আদালত এর ভারপ্রাপ্ত আদালত মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৪র্থ আদালত কাজী শরীফ উদ্দিন এর আদালত।
বাদীপক্ষের আবেদনে আদালত উক্ত আদেশ প্রচার করেন।
মামলার অভিযোগ হতে জানা যায়, আসামী মোহাম্মদ নুর-উন নবী’র বিরুদ্ধে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ, হালিশহর ও আগ্রাবাদ শাখা এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিঃ আগ্রাবাদ শাখার ৩৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার পৃথক ৫টি চেক প্রতারণার অভিযোগে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত,চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া সি.আর মামলা নং- ৩০৫/২২, সি.আর মামলা নং-৩০৮/২১, সি.আর মামলা নং-৭৭০/২০, সি.আর মামলা নং-১২৫৩/২০ এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ম আদালত, চট্টগ্রামে দায়েরকৃত সি.আর মামলা নং- ১৯০/২২ মামলায় সর্বমোট ৩৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার পৃথক ৫টি চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও আসামী নুর-উন নবী গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে থাকে। সম্প্রতি এই আসামী ডিএমপি’র গুলশান থানার মামলা -১(১)২৩ইং,ধারা-২৫/২৬/২৯/৩১/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮. মামলায় গত ১০ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকার বিষয়ে অবগত হয়ে আসামীকে অত্র মামলা সমূহে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য বাদী ব্যাংকের পক্ষে আবেদন করা হলে আদালত শুনানী শেষে দরখাস্ত সমূহ মঞ্জুর করেন।
আগামী ১৮ জানুয়ারি আসামীকে স্ব-শরীরে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করার জন্য আদেশ দেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মো: বদরুল হাসান, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আরমান প্রমুখ।



