নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার, মঈনুদ্দিন খুনের মূল হোতা পিস্তল বাবুকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে চার জেলায় রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালায় পুলিশ।

শনিবার (১১ জুন) দুপুর ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ১নং ইউনিয়নের মূলক গ্রাম গাজী বাড়ির লোকমান হোসেনের ছেলে মো. ফয়সাল ইসলাম বাবু প্রকাশ ফয়সাল রহমান বাবু প্রকাশ পিস্তল বাবু (৩১)। তিনি বর্তমানে আসকারদিঘী পূর্বপাড় আরিফ সাহেবের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বসবাস করেন। তার দুই সহযোগী একই জেলার নবীনগর থানার মিরপুর সওদাগর বাড়ির মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৯) এবং নগরের চকবাজার থানা দামপাড়া ১নং গলির ভুলু সওদাগর বাড়ির মো. আলীর ছেলে মো. রুবেল (৩৪)।

পুলিশ জানায়, পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) চলমান ২৯তম বাণিজ্য মেলায় যৌথভাবে কাপড়ের স্টল নিয়েছিল নিহত মঈনুদ্দিন ও ইয়াছমিন আক্তার টিনা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে মঙ্গলবার (৭ জুন) পিস্তল বাবু ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করেতে দিবে না বলে হুমকি দেন।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে বাণিজ্যমেলার স্টলের জন্য ঢাকা থেকে মালামাল কিনে কাজীর দেউরি ব্যবসায়িক পার্টনার ইয়াছমিন আক্তার টিনার বাসায় ঢোকার সময় ২নং গলি মিনা হাউজের সামনে পিস্তল বাবুরা পুনরায় চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাপড়ের ব্যাগগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পিস্তল বাবু ও তার সহযোগীরা। কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে টিনার ভাই মোবারকের বাম পায়ে এলোপাতাড়ি জখম করে পিস্তল বাবু। তখন মঈনুদ্দিন বাধা দিতে গেলে তাকেও দুই পায়ের উরু ও বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।

পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় ও স্বজনরা এসে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মঈনুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর নিহতের ভাই মো. নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে পিস্তল বাবুকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

৪ জেলায় অভিযান, যেভাবে গ্রেপ্তার
খুনের পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার স্থান পরিবর্তন করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম তাদের লোকেশন শনাক্ত করতে থাকেন। প্রথমে তারা কক্সবাজার অবস্থান করেন। সেখানে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করে স্থান পরিবর্তন করে পুনরায় চট্টগ্রাম চলে আসেন। চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে ফেনীতে অবস্থান নেন তারা। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ও কসবা থানা এলাকায় অবস্থান করে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের বিচক্ষণতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কোতোয়ালী থানা পুলিশের ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর সময় মঈনুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিস্তল বাবুসহ দুই সহযোগী গ্রেপ্তার হন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অর্থাৎ চার জেলায় অবস্থান করেন। সর্বশেষ আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঈনুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিস্তল বাবু একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার। সে এর আগেও একবার কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার, মঈনুদ্দিন খুনের মূল হোতা পিস্তল বাবুকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারে চার জেলায় রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালায় পুলিশ।

শনিবার (১১ জুন) দুপুর ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ১নং ইউনিয়নের মূলক গ্রাম গাজী বাড়ির লোকমান হোসেনের ছেলে মো. ফয়সাল ইসলাম বাবু প্রকাশ ফয়সাল রহমান বাবু প্রকাশ পিস্তল বাবু (৩১)। তিনি বর্তমানে আসকারদিঘী পূর্বপাড় আরিফ সাহেবের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বসবাস করেন। তার দুই সহযোগী একই জেলার নবীনগর থানার মিরপুর সওদাগর বাড়ির মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৯) এবং নগরের চকবাজার থানা দামপাড়া ১নং গলির ভুলু সওদাগর বাড়ির মো. আলীর ছেলে মো. রুবেল (৩৪)।

পুলিশ জানায়, পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) চলমান ২৯তম বাণিজ্য মেলায় যৌথভাবে কাপড়ের স্টল নিয়েছিল নিহত মঈনুদ্দিন ও ইয়াছমিন আক্তার টিনা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী। তাদের কাছ থেকে মঙ্গলবার (৭ জুন) পিস্তল বাবু ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ব্যবসা করেতে দিবে না বলে হুমকি দেন।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে বাণিজ্যমেলার স্টলের জন্য ঢাকা থেকে মালামাল কিনে কাজীর দেউরি ব্যবসায়িক পার্টনার ইয়াছমিন আক্তার টিনার বাসায় ঢোকার সময় ২নং গলি মিনা হাউজের সামনে পিস্তল বাবুরা পুনরায় চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাপড়ের ব্যাগগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পিস্তল বাবু ও তার সহযোগীরা। কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে টিনার ভাই মোবারকের বাম পায়ে এলোপাতাড়ি জখম করে পিস্তল বাবু। তখন মঈনুদ্দিন বাধা দিতে গেলে তাকেও দুই পায়ের উরু ও বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।

পরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় ও স্বজনরা এসে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মঈনুদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মোবারক হোসেনকে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর নিহতের ভাই মো. নেজাম উদ্দিন বাদী হয়ে পিস্তল বাবুকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

৪ জেলায় অভিযান, যেভাবে গ্রেপ্তার
খুনের পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার স্থান পরিবর্তন করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম তাদের লোকেশন শনাক্ত করতে থাকেন। প্রথমে তারা কক্সবাজার অবস্থান করেন। সেখানে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করে স্থান পরিবর্তন করে পুনরায় চট্টগ্রাম চলে আসেন। চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে ফেনীতে অবস্থান নেন তারা। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর ও কসবা থানা এলাকায় অবস্থান করে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের বিচক্ষণতায় আসামিদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির গণমাধ্যমকে বলেন, কোতোয়ালী থানা পুলিশের ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারত পালানোর সময় মঈনুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিস্তল বাবুসহ দুই সহযোগী গ্রেপ্তার হন। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার পর আসামিরা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কক্সবাজারে, চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অর্থাৎ চার জেলায় অবস্থান করেন। সর্বশেষ আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঈনুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিস্তল বাবু একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সিএমপির তালিকাভুক্ত শীর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার। সে এর আগেও একবার কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।