নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির সদর থানার কলেজপাড়া এলাকা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. কামালকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ভোরে তিনি র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, গ্রেপ্তারের আগে কামাল রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ নেয়। সেখান থেকে সে অন্য একটি কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়িতে এসে অবস্থান করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, কামালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, কোতোয়ালী ও খাগড়াছড়ি সদর থানায় আটটি মামলা রয়েছে। সে পেশায় জিপ গাড়ির চালক। সে জিল্লুর ভান্ডারী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়। জামিনে মুক্তি নিয়ে সে এলাকায় এসে গাড়ি চালানো শুরু করে। মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে থাকাকালে কামাল একেক সময় এক এক কাজ করতো।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল জানান, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জিল্লুর ভান্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযুক্ত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের একজন কামাল। মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব।




