চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ছিউনি খালসহ সাবান ঘাটা, সেগুন বাগান, গয়ালমারা, কাট্টলি, কোরবানিয়া ঘোনা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এসব বালু উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাচার করছেন সাজ্জাদ হোসেন, খানে আলম, রাজিব, রাসেল, ফারুকের নেতৃত্বে একটি অবৈধ বালু খেকো সিন্ডিকেট। তারা সবাই হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া হারবাং ইউনিয়নের করমহুরী পাড়া গ্রামীণ সড়ক ধরে দুই কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ি জনপদ। এই জনপদে পাহাড়ি ছড়ায় বসানো হয়েছে একাধিক বালু উত্তোলনের সেলো মেশিন। আবার কেউ বালু উত্তোলন করছে বেলচা ব্যবহার করে। যার কারণে দুই পাশের পাহাড় ভেঙে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। উত্তোলন করা বালুগুলো সাবান ঘাটা ও সেগুন বাগান এলাকায় মজুদ করা হচ্ছে। সে জায়গা হতে দিন-দুপুরে পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বালু খেকোরা। দৈনিক ৭০-৮০ ডাম্পার বালু বিক্রি করা হয়। গাড়ি চলাচলে সাধারণ মানুষের জনজীবনে যেমন দূর্ভোগ হচ্ছে, তেমনি ধ্বংস হচ্ছে সংরক্ষিত বন এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতীতে এ কারণে বহু আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে পাহাড়ি ছড়ার দুই পাশে পুনরায় ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ছড়ায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। এসবের প্রতিবাদ করলে বালু খেকোরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। এসব অবৈধ কর্মকান্ডে বাঁধা দিতে স্থানীয়রা ভয় পাচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে খানে আলম বলেন, সরকারি ইজারাকৃত জায়গা থেকে প্রত্যাশীত বালু উত্তোলন করা যাচ্ছে না। যে পরিমান বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তা লগ্নিকৃত পুঁজি উঠছে না।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ন দেব বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে বালি উত্তোলনের জায়গা বনভূমিতে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।




