দি ক্রাইম ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় অভিযুক্তরা কিশোরীর চিৎকারের আওয়াজ বাইরে না যাওয়ার জন্য সাউন্ডবক্সে উচ্চ শব্দে গান চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।  এ ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাইম হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কামারখন্দ থানায় মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত নাইম হোসেন উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে ওই কিশোরী মাদ্রাসায় গিয়েছিল। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি দোকানে কলম কিনতে বের হয়। পথে নাইম নামে ওই যুবক কিশোরীকে জোর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে উপজেলার কামারখন্দ সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন এলাকার ‘ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’-এর ভেতরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে।

এতে সহযোগিতা করে নাইম হোসেনের পাঁচ বন্ধু। তারা হলেন- উপজেলার জামতৈল এলাকার মো. ইমরান (২১), আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) এবং নাজমুল হক নয়ন (২০)।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় ওই কিশোরীর চিৎকারের আওয়াজ বাইরে না যাওয়ার জন্য ভেতরে উচ্চ শব্দে গান বাজায়। অন্যদিকে বাইরে পাহারা দেয় ইমরান, আকাশ, আতিক, নাছিম উদ্দিন ও নাজমুল হক নয়ন।

ওই কিশোরীর মা অভিযোগে করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পরেও যখন বাড়ি আসেনি, তখন খোঁজাখুঁজি করি। তখন হঠাৎ করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে আছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। সেখান থেকে তাকে এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ওই বখাটেরা জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সোমবার সকালে ডাক্তার তার বিশেষ অঙ্গে অপারেশন করেছে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা জানান, ওই কিশোরীর বিশেষ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, জোর করে শারীরিক সম্পর্কের কারণেই বিশেষ অঙ্গ এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ঘটনা জানাজানির পর সাংবাদিকরা সরেজমিনে ওই রেস্টুরেন্টে তথ্য সংগ্রহে যান। এসময় দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছে। সাংবাদিকদের দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে এবং আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়।

কামারখন্দ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি বিকেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে

দি ক্রাইম ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় অভিযুক্তরা কিশোরীর চিৎকারের আওয়াজ বাইরে না যাওয়ার জন্য সাউন্ডবক্সে উচ্চ শব্দে গান চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।  এ ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাইম হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কামারখন্দ থানায় মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত নাইম হোসেন উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার সকালে ওই কিশোরী মাদ্রাসায় গিয়েছিল। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি দোকানে কলম কিনতে বের হয়। পথে নাইম নামে ওই যুবক কিশোরীকে জোর করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে উপজেলার কামারখন্দ সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন এলাকার ‘ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’-এর ভেতরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে।

এতে সহযোগিতা করে নাইম হোসেনের পাঁচ বন্ধু। তারা হলেন- উপজেলার জামতৈল এলাকার মো. ইমরান (২১), আকাশ (২১), মো. আতিক (২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) এবং নাজমুল হক নয়ন (২০)।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় ওই কিশোরীর চিৎকারের আওয়াজ বাইরে না যাওয়ার জন্য ভেতরে উচ্চ শব্দে গান বাজায়। অন্যদিকে বাইরে পাহারা দেয় ইমরান, আকাশ, আতিক, নাছিম উদ্দিন ও নাজমুল হক নয়ন।

ওই কিশোরীর মা অভিযোগে করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পরেও যখন বাড়ি আসেনি, তখন খোঁজাখুঁজি করি। তখন হঠাৎ করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে আছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ। সেখান থেকে তাকে এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ওই বখাটেরা জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সোমবার সকালে ডাক্তার তার বিশেষ অঙ্গে অপারেশন করেছে।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক পার্থ সাহা জানান, ওই কিশোরীর বিশেষ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, জোর করে শারীরিক সম্পর্কের কারণেই বিশেষ অঙ্গ এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ঘটনা জানাজানির পর সাংবাদিকরা সরেজমিনে ওই রেস্টুরেন্টে তথ্য সংগ্রহে যান। এসময় দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছে। সাংবাদিকদের দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করে এবং আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়।

কামারখন্দ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি বিকেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে