দি ক্রাইম নিউজ ডেস্ক: জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হয়েছে।এর মধ্য দিয়ে “আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতার জগতে এলাম”- বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজকের দিনের মতো এরকম ঘটনা ঘটবে আমরা চিন্তাও করতে পারি নাই।” ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরুর সময় কতদূর ঐকমত্য হবে তা নিয়েও দ্বিধা বা সংশয়ের কথা উল্লেখ করেন, কিন্তু সবার অংশগ্রহণ এবং এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।
ঐকমত্যে কমিশনে যে সৌহার্দ্যের সঙ্গে আলোচনা হলো “আপনারা যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছেন, বিভিন্ন জায়গায় আছেন, তারা দেখেছেন, টেলিভিশনে এটা প্রচার হচ্ছিল, কীভাবে তারা যার যার নীতিগুলো তুলে ধরছেন, বক্তব্যগুলো তুলে ধরেছেন। সেটা সব মানুষ শুনতে পেয়েছে। শুনতে পেয়েছে শুধু না, তারা অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, মনে মনে অংশগ্রহণ করেছে, ঘরের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক করেছে”, বলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এই সনদ শুধু দেশের জন্য না “পুরো পৃথিবীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে” মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কীভাবে ঐক্যমত্যে আসা হয়েছে তা তরুণদের জানাতে “পাঠ্যপুস্তকে থাকবে”।
আজকের মতো “ঐক্যের সুর নিয়ে নির্বাচনের দিকে” এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। সে নির্বাচনও বিশ্বের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকার কথা বলেন তিনি।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানকে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন “আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে তার আজকে আরেকটা নিদর্শন দেখা গেলো, যে জাতির প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সব দলগুলো এক হয়ে কাজ করতে পারে”। যেসব দল এতে স্বাক্ষর করেনি, তারাও আরও কথা বলে স্বাক্ষর করতে পারবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি যাদের জুলাই ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাদের না থাকাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে মনে করেন তিনি। “আমাদের সাথে আলোচনায়, ঐকমত্য কমিশনে যে আলোচনা হয়েছে, তারা প্রায় সব ব্যাপারে পজিটিভ ছিল। যে ব্যাপারটাতে সমস্যা আছে সেটা আলোচনার মাধ্যমে… পরেও তারা এ ব্যাপারে আলোচনা করতে পারতো… সেটা নিয়ে আমরা পরে আরও বসতে পারতাম, কথা বলতে পারতাম এবং আমি মনে করি যে, এটা বিচক্ষণতার অভাব হয়েছে তাদের, নাহলে তারা অবশ্যই এটা সই করতো আজকে।” তবে এটাকে বিভক্তি বলে মনে করছেন না বিএনপি মহাসচিব। “তারা ভুল বুঝতে পারবে এবং তারা সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছাবে” বলছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিতর্কের জায়গা রয়ে গেল কিনা- সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা কখনো কোনো দেশেই, কোনো কালেই কখনো পিছু ছাড়বে না। আর দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের স্বভাব হচ্ছে যে আমরা বিতর্ক করতে খুব পছন্দ করি।” তবে সবকিছুর মধ্যেই যা হয়েছে, তাকে ‘গ্রেট এচিভমেন্ট’ বা বড় অর্জন বলে উল্লেখ করছেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সামনে আরও আলোচনা হবে বলছেন তিনি।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে নাহিদ ইসলামের প্রতিক্রিয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানকে ‘জাতীয় ঐক্য’ নয় বলে উল্লেখ করেছেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে আজ দুপুরে জাতীয় শ্রমিক শক্তি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন “জাতীয় ঐক্য বলতে আমাদের দেশে কিছু মানুষ মনে করে শুধু কয়েকটা রাজনৈতিক দল এক টেবিলে বসলে জাতীয় ঐক্য হয়ে যায়।”
“আজকেও জুলাই সনদ নামে একটা সনদে কিছু রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে স্বাক্ষর করবে সেটার নাম দিতে চায় জাতীয় ঐক্য। আমরা মনে করি এটা কোনও জাতীয় ঐক্য নয়,” বলেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির ফেসবুক পেজে এই অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে উল্লেখ করা হয় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে “এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো আরেকটি একপাক্ষিক দলিলে রূপান্তর হবে।” তবে ঐকমত্য কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে এবং দাবি পূরণ হলে পরবর্তীতে স্বাক্ষর করবে এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হবে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি- তাহের
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো ধরনের বিলম্ব হলেতা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। আজ শুক্রবার(১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ সাক্ষর অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার আগেই জামায়াত সাক্ষর করলো কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে মি. তাহের বলেন, “এতোদিন যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। এজন্য আমরা সাইন করেছি।”
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা যেন এই সরকার বাস্তবায়ন করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখেই জুলাই সনদে সই করেছি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি উনিও উনার কথা ঠিক রাখবেন এবং বাংলাদেশে নুতন কোনো সংকট তৈরির ক্ষেত্রে উনারা যেন কোনো ধরনের হেজিমনি (কর্তৃত্ব) তৈরি না করেন।”
জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠানস্থলের পাশে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’ স্লোগান
জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে যারা অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছিল, পুলিশের ধাওয়ায় তারা সেখান থেকে সরে খামারবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে সেই একই জায়গায় অবস্থান নেয় ‘বৃহত্তর নোয়াখালীবাসী’ ব্যানারে আরেকটি দল।
‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’ দাবিতে তাদের ক্রমাগত স্লোগান দিতে দেখা গেছে। অনেকের হাতে এ নিয়ে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। একই রকমের নীল টিশার্ট তাদের গায়ে ছিল।
তারা কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম বিভাগের অংশ নয়, বরং নোয়াখালী বিভাগের দাবি তোলেন। সে এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই বেশ কিছু লোকজন এ বিক্ষোভে যোগ দেন।
এনসিপি’র অনুষ্ঠান বর্জনের মধ্যেই জুলাই সনদে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সই
শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর হলো জুলাই সনদ। জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার কথা বলা হলেও এতে অংশ নেয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি।
কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলও অংশ নেয়নি সনদ স্বাক্ষরের এই অনুষ্ঠানে। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৫টি দলের নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। মত-পথের পার্থক্য স্বত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলো একে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
এর আগে জুলাই যোদ্ধা ব্যানারে সংসদ ভবন এলাকায় ভাংচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বৃষ্টিতেও বিলম্ব হয় অনুষ্ঠান। এছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণে যে প্রামাণ্যচিত্র দেখিয়ে শুরু করার কথা ছিল তাতেও বিলম্ব হয়।
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু, এসেছেন কারা
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয়েছে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। বৃষ্টির কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টাসহ ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত আছেন।
বিএনপি থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে এসেছেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকেও মঞ্চে দেখা গেছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির ‘সনদের আইনি ভিত্তি না থাকা’র কথা উল্লেখ করে সনদ সাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে।এর আগে দুপুরে সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হওয়া ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে কয়েকশো বিক্ষোভকারী অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই এলাকায় কঠোর অবস্থান নেয়।
শেষ মুহূর্তেও জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় এনসিপি
তিন দফা দাবি মেনে না নিলে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না, তা আগেই জানিয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দলটিকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আনার চেষ্টা করেছিল সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শেষ মুহূর্তেও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এনিয়ে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াঁজো কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীব বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এর পূর্বে আমরা দেখেছি সরকার বিএনপির মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে একপাক্ষিক জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়েছিল। ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশও একইরকম একপাক্ষিক ও পক্ষপাতিত্বমূলক করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে সুস্পষ্ট দাবি আদায় না হলে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি”।
এদিকে ঢাকার সংসদ ভবন এলাকায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে জুলাই সনদ সংশোধন, সনদকে স্থায়ীভাবে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত এবং জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি- এই তিন দফা দাবিতে অবস্থান নেন জুলাই যোদ্ধারা।
দাবি মেনে নিয়ে অতিথিদের জন্য বরাদ্দ আসন ছেড়ে তাদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করলেও সরেননি তারা। পরে তাদের তুলে দিতে গেলে জুলাই যোদ্ধা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। এদিকে কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
সংসদ ভবন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে জুলাই সনদে সংশোধন
‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে সংসদ ভবন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় সংশোধন এনেছে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন। যে দফায় আগে শুধু ‘জুলাই শহীদদের’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সহায়তার বিষয় ছিল, সেখানে এখন আহতদের জন্যও মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দফাটিতে আগে বলা ছিল, “গণঅভ্যুত্থানপূর্ব ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করব।”
সংশোধিত দফায় বলা হচ্ছে “গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান কালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।”
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়ে ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন “আজ আপনাদের এভাবে দেখা করতে হচ্ছে, সেটা আমাদের জন্য শুধু লজ্জা, ক্ষোভের, দুঃখের বিষয় না; আমাদের জন্য এর চেয়ে বড় রকমের পরিস্থিতি কখনোই আমরা মনে করি না।” এরপর প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে জরুরি সংশোধন আনার কথা জানানো হয়।