দি ক্রাইম ডেস্ক: ওয়াসার স্টোরে মিটারের স্তূপ। কিন্তু গ্রাহককে তা দেওয়া হচ্ছে না। ‘মিটার নষ্ট’—এমন কথা বলে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহককে বছরের পর বছর ধরে ন্যূনতম বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এভাবে দুর্নীতি করে তারা নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তাদের যুক্তি—গ্রাহকরা মিটার নিতে আগ্রহী না হওয়ায় দেওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রায় ৯৭ হাজার পানির সংযোগ রয়েছে। পানির দৈনিক চাহিদা ৬০ কোটি লিটারের বিপরীতে প্রায় ৫০ কোটি লিটার সরবরাহের দাবি করছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। পানি বিপণন নিয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। পানির বিপণন ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম বন্ধে ইতিপূর্বে বোর্ড সদস্যদের নিয়ে একাধিক কমিটি হয়েছে এবং কমিটি সুপারিশ দিলেও কার্যকর হয়নি।

ওয়াসায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক পানির অনুমান-নির্ভর ভুয়া বিল, মিটারের বিদ্যমান রিডিংয়ের সঙ্গে বিলের রিডিংয়ের অমিল, আবাসিক গ্রাহককে বাণিজ্যিক বিল ধরিয়ে দেওয়া—এমন বিভিন্ন রকম অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ভিড় করছেন। রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি মিটার থেকে রিডিং সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ৯৭ হাজার সংযোগের জন্য মিটার থেকে রিডিং সংগ্রহ ও বিল বিতরণের জন্য মিটার রিডার আছে ৩৮ জন। অথচ কমপক্ষে ৯০ জন মিটার রিডারের প্রয়োজন। জনবলের সংকটের কারণে বাসায় বাসায় গিয়ে রিডিং সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার স্থায়ী মিটার রিডারগণ নিজ উদ্যোগে বহিরাগত লোকের মাধ্যমে বিল বিতরণ ও রিডিং সংগ্রহ করে থাকেন। বিপরীতে বিলে রিডিং কম দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা হয়।

দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত প্রায় ১২ হাজার সংযোগ থেকে ন্যূনতম বিল আদায় নিয়ে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি সংযোগের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে ৬২১ টাকা বিল আদায় করা হচ্ছে। ওয়াসার স্টোরের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম আতিয়ার রাহমান বলেন, ‘আমাদের স্টোরে প্রচুর মিটার মজুত রয়েছে। মিটারের কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদাপত্র পাওয়া গেলে সরবরাহ দেওয়া হয়।’

রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিলিং হচ্ছে। এসব বিলের বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশ বিল নিয়মিত আদায় হয়ে থাকে। বাকি ৩০ শতাংশ নিয়মিত আদায় হচ্ছে না। এতে ওয়াসায় বকেয়া বিলের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ওয়াসায় বকেয়া বেড়ে এখন ২০০ কোটি টাকার ওপর দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও বকেয়া আদায়ে অভিযান পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। কিন্তু অভিযান পরিচালনায় গাফিলতিতে বকেয়া আদায় হচ্ছে না। জানা যায়, একসময় ওয়াসায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও পাইপ লাইনে ছিদ্র মেরামতের জন্য ইমার্জেন্সি টিম ছিল। কিন্তু এখন এসব টিম না থাকায় পানি চুরি ও অপচয় বন্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। সিস্টেম লসের নামে পানি চুরি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ শতাংশ সিস্টেম লস দেখানো হচ্ছে। এদিকে প্রায় ১১ মাস যাবত চট্টগ্রাম ওয়াসায় স্থায়ী এমডি নেই। সচিব অসুস্থ, ডিএমডি (প্রশাসন) পদ শূন্য, বদলিজনিত কারণে বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের পদও শূন্য। এতে ওয়াসার নিয়মিত কার্যক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তদারকি ব্যাহত হচ্ছে।

দি ক্রাইম ডেস্ক: ওয়াসার স্টোরে মিটারের স্তূপ। কিন্তু গ্রাহককে তা দেওয়া হচ্ছে না। ‘মিটার নষ্ট’—এমন কথা বলে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহককে বছরের পর বছর ধরে ন্যূনতম বিল ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এভাবে দুর্নীতি করে তারা নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তাদের যুক্তি—গ্রাহকরা মিটার নিতে আগ্রহী না হওয়ায় দেওয়া যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রায় ৯৭ হাজার পানির সংযোগ রয়েছে। পানির দৈনিক চাহিদা ৬০ কোটি লিটারের বিপরীতে প্রায় ৫০ কোটি লিটার সরবরাহের দাবি করছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। পানি বিপণন নিয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। পানির বিপণন ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম বন্ধে ইতিপূর্বে বোর্ড সদস্যদের নিয়ে একাধিক কমিটি হয়েছে এবং কমিটি সুপারিশ দিলেও কার্যকর হয়নি।

ওয়াসায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক পানির অনুমান-নির্ভর ভুয়া বিল, মিটারের বিদ্যমান রিডিংয়ের সঙ্গে বিলের রিডিংয়ের অমিল, আবাসিক গ্রাহককে বাণিজ্যিক বিল ধরিয়ে দেওয়া—এমন বিভিন্ন রকম অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে ভিড় করছেন। রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটি মিটার থেকে রিডিং সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ৯৭ হাজার সংযোগের জন্য মিটার থেকে রিডিং সংগ্রহ ও বিল বিতরণের জন্য মিটার রিডার আছে ৩৮ জন। অথচ কমপক্ষে ৯০ জন মিটার রিডারের প্রয়োজন। জনবলের সংকটের কারণে বাসায় বাসায় গিয়ে রিডিং সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, ওয়াসার স্থায়ী মিটার রিডারগণ নিজ উদ্যোগে বহিরাগত লোকের মাধ্যমে বিল বিতরণ ও রিডিং সংগ্রহ করে থাকেন। বিপরীতে বিলে রিডিং কম দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা হয়।

দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত প্রায় ১২ হাজার সংযোগ থেকে ন্যূনতম বিল আদায় নিয়ে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি সংযোগের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে ৬২১ টাকা বিল আদায় করা হচ্ছে। ওয়াসার স্টোরের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম আতিয়ার রাহমান বলেন, ‘আমাদের স্টোরে প্রচুর মিটার মজুত রয়েছে। মিটারের কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদাপত্র পাওয়া গেলে সরবরাহ দেওয়া হয়।’

রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি মাসে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিলিং হচ্ছে। এসব বিলের বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশ বিল নিয়মিত আদায় হয়ে থাকে। বাকি ৩০ শতাংশ নিয়মিত আদায় হচ্ছে না। এতে ওয়াসায় বকেয়া বিলের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ওয়াসায় বকেয়া বেড়ে এখন ২০০ কোটি টাকার ওপর দাঁড়িয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও বকেয়া আদায়ে অভিযান পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। কিন্তু অভিযান পরিচালনায় গাফিলতিতে বকেয়া আদায় হচ্ছে না। জানা যায়, একসময় ওয়াসায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও পাইপ লাইনে ছিদ্র মেরামতের জন্য ইমার্জেন্সি টিম ছিল। কিন্তু এখন এসব টিম না থাকায় পানি চুরি ও অপচয় বন্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। সিস্টেম লসের নামে পানি চুরি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ শতাংশ সিস্টেম লস দেখানো হচ্ছে। এদিকে প্রায় ১১ মাস যাবত চট্টগ্রাম ওয়াসায় স্থায়ী এমডি নেই। সচিব অসুস্থ, ডিএমডি (প্রশাসন) পদ শূন্য, বদলিজনিত কারণে বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের পদও শূন্য। এতে ওয়াসার নিয়মিত কার্যক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তদারকি ব্যাহত হচ্ছে।