ক্রাইম প্রতিবেদক: সিডিএর খোড়া প্রশাসন এক শেনীর আতুর কর্মকর্তা দিয়ে দিয়ে চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) অধিকাংশ পদ এখন চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। কর্মকর্তারা একাধিক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন এমন নজিরও রয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সহকারী সচিব ও চতুর্থ শ্রেণীর অসংখ্য কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে। এতে সংশ্লিষ্টদের ওপর কাজের চাপ যেমন বাড়ছে তেমনি দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত পদোন্নতি না পাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। ফলে চউকের দাফতরিক কাজে নানা প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অদক্ষ ও অনিয়মিত লোক দিয়ে প্রশাসন চালানো দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি চউকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নগর পরিকল্পনাবিধ শাহীনু রহমান খান গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৬ তারিখ এলপিআরে চলে যায়। খালী হয় পদটি। কর্তৃপক্ষীয় সিদ্ধান্তের কারনে এখনো ওই পদে কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের নথি অনুমোদনে সৃষ্টি হয়েছে জঠিলতা। সৃষ্টি হয়েছে নগরবাসীর হয়রানী।  অনুমোদন উপযোগী প্রায় দুই শতাধিক ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র আটকে রয়েছে শুধু একটি দস্তখতের জন্য। এর জন্য দায়ী কে?

সূত্রে জানা গেছে, এই পদে কাকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে পদায়ন করবে সেই সিদ্ধান্তের জন্য নথি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামুলি সিদ্ধান্তটিও চউক প্রশাসন নিতে পারছে না। প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এলপিআরে যাওয়ার ৩মাস আগে তাকে কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল। এখন চলমান ৪ মাসেও সংশ্লিষ্ট ঘূনে ধরা প্রশাসন পদটিতে ভারপ্রাপ্ত পদে কোন কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে পারেনি।  চউকে অসংখ্য পদ শুন্য থাকা সত্বেও দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বছরের পর বছর বিনা শ্রমে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন ভাতা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরা হলেন, এ জিএম সেলিম ও জামালপুরের আশরাফ। কোন কাজ না করেই সকল সুবিধা ভোগ করছে এই দুই কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্। ওইপদে তিনি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তার আরও একটি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব রয়েছে। তা হল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। কিন্তু কাজী হাসান বিন শামস্ মূল পদ হচ্ছে নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবেও তার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইভাবে  নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈশা আনচারী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদের। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী অথরাইজেশন কর্মকর্তার।  উচ্চমান সহকারী সুনীল ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন সেকশন অফিসার ও অডিট অফিসারের।  সহকারী সচিবের পদটি এখন খালী। নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নিম্ন আদালতে  চলমান রয়েছে। চউকের বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে।  সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, আহমেদ মাঈনুদ্দিন, রাজীব দাশ ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী পদে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াছ আকতার, ফারুক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী প্রকৌশলীর।

সহকারী অথরাইজেশন অফিসার পদে মো. ওসমান, সিনিয়র স্থপতি পদে গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, সেকশন অফিসার (আইন) পদে ইলিয়াছ চৌধুরী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা পদে নাছির আহমদ খান,  দায়িত্ব পালন করছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও প্রধান দারোয়ান, মার্কেট সুপার, উচ্চমান সহকারী, নিম্নমান সহকারীসহ বিভিন্ন পদে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এভাবে চউকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অর্ধশতাধিক চাকরিজীবী এখন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তদের মতে, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্র্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়মিত পদোন্নতি হয়নি। কোনো পদ শূন্য হলেই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার পর তা চলে বছরের পর বছর। একেক জন কর্মকর্তা ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন এমন নজিরও আছে চউকে।

নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও তা-ও দেয়া হয় না ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনকারীদের। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা দেয়া যায় তিন মাস পর্যন্ত। এর বেশি সময় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে তা-ও করা হচ্ছে না। ফলে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বিরাজ করছে চাপা অসন্তোষ।

ক্রাইম প্রতিবেদক: সিডিএর খোড়া প্রশাসন এক শেনীর আতুর কর্মকর্তা দিয়ে দিয়ে চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) অধিকাংশ পদ এখন চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। কর্মকর্তারা একাধিক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন এমন নজিরও রয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী থেকে শুরু করে সহকারী সচিব ও চতুর্থ শ্রেণীর অসংখ্য কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে। এতে সংশ্লিষ্টদের ওপর কাজের চাপ যেমন বাড়ছে তেমনি দীর্ঘদিন থেকে নিয়মিত পদোন্নতি না পাওয়ায় বাড়ছে হতাশা। ফলে চউকের দাফতরিক কাজে নানা প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অদক্ষ ও অনিয়মিত লোক দিয়ে প্রশাসন চালানো দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি চউকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নগর পরিকল্পনাবিধ শাহীনু রহমান খান গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৬ তারিখ এলপিআরে চলে যায়। খালী হয় পদটি। কর্তৃপক্ষীয় সিদ্ধান্তের কারনে এখনো ওই পদে কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের নথি অনুমোদনে সৃষ্টি হয়েছে জঠিলতা। সৃষ্টি হয়েছে নগরবাসীর হয়রানী।  অনুমোদন উপযোগী প্রায় দুই শতাধিক ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র আটকে রয়েছে শুধু একটি দস্তখতের জন্য। এর জন্য দায়ী কে?

সূত্রে জানা গেছে, এই পদে কাকে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে পদায়ন করবে সেই সিদ্ধান্তের জন্য নথি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামুলি সিদ্ধান্তটিও চউক প্রশাসন নিতে পারছে না। প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এলপিআরে যাওয়ার ৩মাস আগে তাকে কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল। এখন চলমান ৪ মাসেও সংশ্লিষ্ট ঘূনে ধরা প্রশাসন পদটিতে ভারপ্রাপ্ত পদে কোন কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে পারেনি।  চউকে অসংখ্য পদ শুন্য থাকা সত্বেও দুইজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে বছরের পর বছর বিনা শ্রমে লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন ভাতা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরা হলেন, এ জিএম সেলিম ও জামালপুরের আশরাফ। কোন কাজ না করেই সকল সুবিধা ভোগ করছে এই দুই কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্। ওইপদে তিনি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তার আরও একটি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব রয়েছে। তা হল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। কিন্তু কাজী হাসান বিন শামস্ মূল পদ হচ্ছে নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবেও তার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইভাবে  নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈশা আনচারী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদের। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী অথরাইজেশন কর্মকর্তার।  উচ্চমান সহকারী সুনীল ভট্টাচার্য ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন সেকশন অফিসার ও অডিট অফিসারের।  সহকারী সচিবের পদটি এখন খালী। নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নিম্ন আদালতে  চলমান রয়েছে। চউকের বিধিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে।  সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, আহমেদ মাঈনুদ্দিন, রাজীব দাশ ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী পদে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াছ আকতার, ফারুক আহমেদ ও ইকবাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী প্রকৌশলীর।

সহকারী অথরাইজেশন অফিসার পদে মো. ওসমান, সিনিয়র স্থপতি পদে গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, সেকশন অফিসার (আইন) পদে ইলিয়াছ চৌধুরী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা পদে নাছির আহমদ খান,  দায়িত্ব পালন করছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও প্রধান দারোয়ান, মার্কেট সুপার, উচ্চমান সহকারী, নিম্নমান সহকারীসহ বিভিন্ন পদে অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এভাবে চউকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অর্ধশতাধিক চাকরিজীবী এখন ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তদের মতে, বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্র্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়মিত পদোন্নতি হয়নি। কোনো পদ শূন্য হলেই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার পর তা চলে বছরের পর বছর। একেক জন কর্মকর্তা ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন এমন নজিরও আছে চউকে।

নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও তা-ও দেয়া হয় না ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনকারীদের। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা দেয়া যায় তিন মাস পর্যন্ত। এর বেশি সময় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে তা-ও করা হচ্ছে না। ফলে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে বিরাজ করছে চাপা অসন্তোষ।