দি ক্রাইম ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সাক্ষাৎ হয়েছে।
লন্ডনে খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বাসায় তাদের এই সাক্ষাৎ হয়। তারেক রহমানের সঙ্গেও কথা হয়েছে জামায়াত আমিরের।
শফিকুর রহমান ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে সফরসঙ্গী নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে নিয়ে লন্ডনে যান। শীর্ষ দুই নেতার বৈঠকের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া একটি পোস্টে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এসব তথ্য দিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ইউরোপ সফর শেষে লন্ডন পৌঁছে সম্প্রতি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরেছেন। জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাৎ পর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া এখন তার পুত্রের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
এরপর পোস্টে মারুফ কামাল লিখেছেন, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষনেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের (শফিকুর রহমান ও আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের) এ সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”
“বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাবার আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাতকার নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি,” যোগ করেন মারুফ কামাল।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শফিকুর রহমানের বৈঠক হয়েছে গত রবিবার।
লন্ডনে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানে থেকে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ব্রাসেলস সফরে জামায়তের আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আমিরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান।
প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জামায়াতের আমির দেশে ফিরেছেন। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এখনো দেশে ফেরেননি।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ কর্মসূচি ছিল জামায়াত আমিরের। সফরকালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাউথ এশিয়ান ককাসের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক, ইইউর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সাউথ এশিয়া ডেস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় জামায়াত প্রতিনিধিদলের।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে শফিকুর রহমান বলেছেন, “অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ব্রাসেলসে গিয়েছিলাম। সেই গল্প আর প্রিয় জন্মভূমিকে নিয়ে সুন্দর পরিকল্পনাগুলো আপনাদের সাথে শীঘ্রই শেয়ার করবো, ইনশাআল্লাহ।”




