দি ক্রাইম ডেস্ক: পরিবর্তন হয়েছে ট্রেনের সময়সূচি। আগামী ১০ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল–৫৪ (ডব্লিউটিটি) অনুযায়ী চলাচল করবে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সকল ট্রেন। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা–ব্যবস্থাপক (জিএম) প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ মার্চ নতুন টাইম টেবিল অনুযায়ী, অনেক আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরু ও গন্তব্যে পৌঁছার সময় পরিবর্তন আসবে। নতুন সময়সূচি– ৫৪ অনুযায়ী ট্রেন চালুর ব্যাপারে আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনের ভ্রমণ সময় অনেক কমে আসবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের সময় এগিয়ে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা মেইল ও সাগরিকা এঙপ্রেসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ছাড়ার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে বলে পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে।
বর্তমানে রেলওয়ের ওয়ার্কিং টাইম টেবিল নং–৫৩ অনুযায়ী পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সকল ট্রেন চলাচল করছে। প্রায় ১ বছর তিন মাস ১০ দিন পর আগামী ১০ মার্চ থেকে নতুন সময়সূচিতে (রেলওয়ের ওয়ার্কিং টাইম টেবিল নং–৫৪) চলাচল করবে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের সকল ট্রেন।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী সিওপিএস আবু বক্কর সিদ্দিক
আজাদীকে বলেন, ট্রেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে সকল ট্রেন নতুন টাইম টেবিল অনুযায়ী চলবে। বেশ কিছু ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রায় ট্রেন আগের নিয়মে (বর্তমান সময় অনুযায়ী চলবে) চলবে। আগামী ১০ মার্চ থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চালুর ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১০ মার্চ থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলবে। প্রজ্ঞাপনটি এখনো সিআরবিতে রয়েছে। আমাদের বিভাগীয় অফিসে এখনো আসেনি। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের সময়সূটি পরিবর্তন হয়েছে বলে শুনেছি। সকালের সুবর্ণ এঙপ্রেস, সাগরিকা, মেঘনা, ঢাকা মেইলসহ বেশ কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের কাছে প্রজ্ঞাপনটি আসলে তখন বিস্তারিত জানতে পারবো। এর আগে ২০১৭ সালের ১ মার্চ ৫১ নম্বর টাইম টেবিল। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি ৫২ নম্বর টাইম টেবিল এবং ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫৩তম ওয়ার্কিং টাইম টেবিল কার্যকর করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।




