নগর প্রতিবেদক: আগের মত বাংলায় চট্টগ্রাম ও ইংরেজিতে চিটাগাং ব্যবহার কর‌তে চান চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনী‌তিক, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ বি‌শিষ্টজনরা। চট্টগ্রাম ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদ আয়োজিত নগরীর কাজির দেউড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব হলে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনু‌ষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও চিটাগাং বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দা‌বি তু‌লেন।

সংগঠনের সভাপতি সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ব‌লেন, ‘‘চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই ঐতিহাসিক শব্দ। এ দুটো শব্দ কখনো সাংঘর্ষিক ছিল না। বরং কোন জনমত না নিয়ে ও কোন ফোরাম আলোচনা না করে হঠাৎ চিটাগাং শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া চিটাগাং শব্দটি বাদ দিতে কারো কোনো দাবিও ছিল না। এটা নিয়ে কারো সমস্যা ও প্রশাসনিক জটিলতাও ছিল না। বরং গত পতিত সরকার কর্তৃক চিটাগাং শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। চিটাগাং এর যে আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও কানেক্টিভিটি রয়েছে, তাকেও খাটো করা হয়েছে। তাই আমরা আগের মত চট্টগ্রাম ও চিটাগাং, দুটোই চাই।’’

তি‌নি বলেন, ‘‘চিটাগাং বন্দরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই বন্দরসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার নামের আগে যে চিটাগাং ছিল, তা পুনরায় বহাল হউক। আমরা চট্টগ্রাম শব্দটির বিরুদ্ধে নই। তবে চাই আগের মত বাংলায় চট্টগ্রাম ও ইংরেজিতে চিটাগাং দুটোই থাকুক।’’

বিশিষ্ট সমাজ‌কর্মী সাজ্জাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সারোয়ার আমিন বাবু, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক শিল্পী ফরিদা করিম, এএফএম বোরহান, চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রেসিডেন্ট ইউসুফ বাঁহার চৌধুরী, দৈনিক পূর্বকোণের মোহাম্মদ মারুফ, রাজনী‌তিক এসএম শফি, রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ ‌বি‌ভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নথিপত্রের পাতায় পাতায় চট্টগ্রাম ও চিটাগাং এর জয়গান। চিটাগাং একটি আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি শব্দ। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, শিপিং, আমদানি-রপ্তানি, ব্যাংকিং, সফটওয়ার, গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক, টুইটার, সব অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত জনপ্রিয় চিটাগাং। এমনকি চিটাগাং যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, তাকে দমিয়ে রাখার জন্য এই চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। এটা সফল হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা ক‌রে তারা ব‌লেন, আমরা চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই চাই। ঐতিহাসিক বিবর্তনে চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই স্বমহিমায় বিকশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ড. ইউনূস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুনর্বিবেচনা করবেন আশা করি।

‘‘আমরা মনে করছি চট্টগ্রাম ও চিটাগাং বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে চট্টগ্রামবাসীকে বিভক্ত করে কিছু ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভক্তির চারা রোপণ করে কোন ফায়দা হয় না বরং সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ডালপালা মেলে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝে পুনর্বিবেচনা করবেন’’ ব‌লেও আশা প্রকাশ ক‌রেন তারা।

নগর প্রতিবেদক: আগের মত বাংলায় চট্টগ্রাম ও ইংরেজিতে চিটাগাং ব্যবহার কর‌তে চান চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনী‌তিক, পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ বি‌শিষ্টজনরা। চট্টগ্রাম ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদ আয়োজিত নগরীর কাজির দেউড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব হলে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনু‌ষ্ঠিত চট্টগ্রাম ও চিটাগাং বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তারা এ দা‌বি তু‌লেন।

সংগঠনের সভাপতি সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ব‌লেন, ‘‘চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই ঐতিহাসিক শব্দ। এ দুটো শব্দ কখনো সাংঘর্ষিক ছিল না। বরং কোন জনমত না নিয়ে ও কোন ফোরাম আলোচনা না করে হঠাৎ চিটাগাং শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া চিটাগাং শব্দটি বাদ দিতে কারো কোনো দাবিও ছিল না। এটা নিয়ে কারো সমস্যা ও প্রশাসনিক জটিলতাও ছিল না। বরং গত পতিত সরকার কর্তৃক চিটাগাং শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। চিটাগাং এর যে আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও কানেক্টিভিটি রয়েছে, তাকেও খাটো করা হয়েছে। তাই আমরা আগের মত চট্টগ্রাম ও চিটাগাং, দুটোই চাই।’’

তি‌নি বলেন, ‘‘চিটাগাং বন্দরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই বন্দরসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার নামের আগে যে চিটাগাং ছিল, তা পুনরায় বহাল হউক। আমরা চট্টগ্রাম শব্দটির বিরুদ্ধে নই। তবে চাই আগের মত বাংলায় চট্টগ্রাম ও ইংরেজিতে চিটাগাং দুটোই থাকুক।’’

বিশিষ্ট সমাজ‌কর্মী সাজ্জাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সারোয়ার আমিন বাবু, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক শিল্পী ফরিদা করিম, এএফএম বোরহান, চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রেসিডেন্ট ইউসুফ বাঁহার চৌধুরী, দৈনিক পূর্বকোণের মোহাম্মদ মারুফ, রাজনী‌তিক এসএম শফি, রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমানসহ ‌বি‌ভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নথিপত্রের পাতায় পাতায় চট্টগ্রাম ও চিটাগাং এর জয়গান। চিটাগাং একটি আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি শব্দ। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, শিপিং, আমদানি-রপ্তানি, ব্যাংকিং, সফটওয়ার, গুগল, ইয়াহু, ফেসবুক, টুইটার, সব অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত জনপ্রিয় চিটাগাং। এমনকি চিটাগাং যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, তাকে দমিয়ে রাখার জন্য এই চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। এটা সফল হবে না।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা ক‌রে তারা ব‌লেন, আমরা চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই চাই। ঐতিহাসিক বিবর্তনে চট্টগ্রাম ও চিটাগাং দুটোই স্বমহিমায় বিকশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ড. ইউনূস বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুনর্বিবেচনা করবেন আশা করি।

‘‘আমরা মনে করছি চট্টগ্রাম ও চিটাগাং বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে চট্টগ্রামবাসীকে বিভক্ত করে কিছু ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভক্তির চারা রোপণ করে কোন ফায়দা হয় না বরং সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ডালপালা মেলে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝে পুনর্বিবেচনা করবেন’’ ব‌লেও আশা প্রকাশ ক‌রেন তারা।