দি ক্রাইম, ঢাকা: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ‘জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এই আক্রমণকে ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ এবং তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করে। এ ধরনের আধিপত্যবাদী ও সস্প্রসারণবাদী তৎপরতা জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী অপরাধ। এই আক্রমণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি।’

‘বিএনপি মনে করে দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত জনমত গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে আছে। কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীন সরকার তার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে দেশবাসীর জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত থেকেছে, যা বাংলাদেশের সংবিধান ঘোষিত গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধের নীতিমালা পরিপন্থী,’ বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতিসংঘের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে প্রবাহমান বিশ্ব জনমত ও মূল্যবোধের পক্ষে বিশ্বের সব শক্তিকে সুদৃঢ় অবস্থান নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ইউক্রেনসহ যে কোনো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের মৌলিক অধিকারকে শ্রদ্ধা করে এবং তার সীমা লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে। বিএনপি সবসময় সব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে প্রবাহমান বিশ্ব জনমতের পক্ষে।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও সরকার একইভাবে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ভূমিকা নিয়েছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কার্যকরী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

‘বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ডে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলছে,’ বলেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুরবস্থা ও পোল্যান্ডের সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, সেই অবস্থান থেকে দেখতে পারছি তাতে মনে হয় না যে তাদের দৃষ্টিতে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় আছে।’

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

দি ক্রাইম, ঢাকা: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ‘জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এই আক্রমণকে ইউক্রেনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ এবং তার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করে। এ ধরনের আধিপত্যবাদী ও সস্প্রসারণবাদী তৎপরতা জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী অপরাধ। এই আক্রমণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি।’

‘বিএনপি মনে করে দেশবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত জনমত গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে আছে। কিন্তু দেশের ক্ষমতাসীন সরকার তার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে দেশবাসীর জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানে বিরত থেকেছে, যা বাংলাদেশের সংবিধান ঘোষিত গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধের নীতিমালা পরিপন্থী,’ বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতিসংঘের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার পক্ষে প্রবাহমান বিশ্ব জনমত ও মূল্যবোধের পক্ষে বিশ্বের সব শক্তিকে সুদৃঢ় অবস্থান নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ইউক্রেনসহ যে কোনো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের মৌলিক অধিকারকে শ্রদ্ধা করে এবং তার সীমা লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে। বিএনপি সবসময় সব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে প্রবাহমান বিশ্ব জনমতের পক্ষে।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও সরকার একইভাবে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ভূমিকা নিয়েছিল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কার্যকরী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

‘বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ডে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলছে,’ বলেন তিনি।

ইউক্রেনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের দুরবস্থা ও পোল্যান্ডের সীমান্তে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, সেই অবস্থান থেকে দেখতে পারছি তাতে মনে হয় না যে তাদের দৃষ্টিতে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় আছে।’

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।