নিজস্ব প্রতিবেদক: আনোয়ারা উপজেলার মাদকের আখড়া খ্যাত পুরাতন হাসপাতালের সরকারি জমিতে প্রতিষ্টা হতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সহধর্মিণী’র নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রতিষ্টিত হবে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের নামকরন করা হয় ‘নূর নাহার জামান উচ্চ বিদ্যালয়’। স্থানটি পরিদর্শন করেন উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দরা। এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করার পর উপজেলার বিভিন্নস্থানে খুশির জোয়ার বইছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জুবায়ের আহমেদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘ ‘নূর নাহার জামান’ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরুহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সহধর্মিণী। আনোয়ারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করার পর প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১৬০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে। সদর এবং সংলগ্ন এলাকার অবশিষ্ট শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছেলেদের জন্য কোনো উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলা সদরে নেই। একটি ভালো মানের উচ্চ বিদ্যালয় সদর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা অত্যাবশ্যকীয়। প্রত্যাশা করি এই উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি ভালো মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে এবং এই অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য গতবছর ( ৮ নভেম্বর) সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরীর নেতৃত্ব এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পরিত্যক্ত ভবনটিতে দীর্ঘ ২১বছর ধরে বসবাস করা ১২টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, ‘১৯৭০ বা ৭২ দিকে নির্মিত হয় এই হাসপাতালটি। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের দিকে নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হলে এই হাসপাতালটি তখন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানায়, নতুন হাসপাতাল নির্মিত হলে এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গা হতে এখানে কিছু ভাসমান লোক স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করতে থাকে । যাদের নামে বিভিন্ন থানায় অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় একাধিক মামলাও রয়েছে।’
স্থানীয়রা আরো জানায়, ‘তারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে নানা অপরাধ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে তারা মাদক সেবন, চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছে। স্থানীয়রা এসব কাজে বাঁধা প্রদান করলে তাদের সাথে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় বলেও জানান তারা।’
পরিত্যক্ত হাসপাতালটি উচ্ছেদের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন , উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মোঃ সাইফ উদ্দিন, আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার, উপ পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) সৈয়দ ওমর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসনের এমন সাহসী উদ্যোগে উপজেলাবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। জনগণের সেবক হিসেবে প্রশংসা, ভালোবাসা ও দোয়া কুড়িয়ে নিয়েছেন।




