সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আবু রেজা নদভীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি নাগরিক সাতকানিয়া এনে নির্বাচন মনিটরিং ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর)সকালে এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমিন নদভী কয়েকদিন ধরে সাতকানিয়ায় অবস্থান করে নির্বাচন মনিটরিং, প্রচারে অংশগ্রহণ, আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সাতকানিয়ায় এনে নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টি, প্রাণনাশ ও নাশকতা সংগঠন সংক্রান্ত বৈঠক করছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী ও দেশের প্রচলিত ফৌজদারী আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ওই পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা পাইয়ে দিতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু রেজা নদভী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছিলেন। আবু রেজার পাকিস্তানি বন্ধু আমিন নদভীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন বলে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শোকজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। আমিন নদভীর পাসপোর্ট নম্বর এবি ৯৪৯০৬১৪। পাসপোর্টে তার বাড়ি পাকিস্তানের করাচির লান্দি বলে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আমিন নদভী সাতকানিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে মাদার্শা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে একাধিকবার বৈঠক করে আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টি , আমার (মোতালেব) নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তনেতা ও জনপ্রতিনিধিদের টার্গেট করে প্রাণনাশ ও নাশকতার ছক তৈরি করে ভোটার উপস্থিতি কমানোর পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া মোহাম্মদ আমিন নদভী ছাড়াও জনৈক মুজাফ্ফর নদভী ও আইআইইউসির কয়েকজন কর্মকর্তা এবং সাতকানিয়ার দুই জনপ্রতিনিধি ও এ পরিকল্পনার সাথে জড়িত আছেন বলে এলাকায় চউর হয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানানো হয় অভিযোগে।
এ ব্যাপারে এমপি আবু রেজা নদভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় আমার বন্ধু আমিন নদভী পরিবার নিয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। এখানে নির্বাচনী প্রচারণা ও সন্ত্রাসের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস সৃষ্টির কোন সুযোগ নাই। প্রচারণা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কোন ভিডিও এবং অডিও দিয়ে প্রমাণ দিতে পারলে আমি এ ঘটনা সত্য বলে মেনে নিব।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
