নগর প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ ও এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট আবুল হোছাইন সিকদার।
সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিমুদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী বার বার বিনা ভোটে অসাধু কিছু প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষমতা দখল করে অতীতের ন্যায় আবারো মানুষের সাথে মিথ্যা প্রতারণা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে যাচ্ছে। বিএনপি ভোটের রাজনৈতিক দল। বিএনপি কখনো একতরফা নির্বাচন চায় না। সর্বজনের অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। তারই প্রতিবাদে সারাদেশে মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার আইনের শাসন, স্বাধীনতার সাম্য, মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ও দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য আজ তারেক রহমানের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য, দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করলাম।
তিনি বলেন, তাই আগামী ৭ জানুয়ারি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য যে ভাগাভাগি নির্বাচনের নামে ডামি তামাশা নির্বাচন বর্জন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান করছি। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, অসহযোগের সমর্থনে আমরা রাজপথে এসে জনগণকে সচেতন করছি জনস্বার্থে। কারণ জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা জনগণের অধিকার জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহবান করছি। এডভোকেট এস. ইউ. নুরুল ইসলাম প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন আজকে দেশে দুর্নীতির কারণে অর্থনীতি ভূলুন্টিত। আইনের শাসন নির্বাসিত, দেশে দুর্নীতির কারণে দুর্ভিক্ষ চলছে। দ্রব্যমূল্যও লাগামহীন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৭ তারিখের পরে দেশের অর্থনীতি আরো বিপর্যয়ে নেমে আসবে। যার কারণে দ্রব্যমূল্য বর্তমান বাজারের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ইতিমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আমরা তা অতীতের ন্যায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ও আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অসহযোগ আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও আইনের শাসন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা করে এ সরকারের পদত্যাগের দাবি করছি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দাবিদার করে, এখন দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কেউ সত্য কথা বললে, জনগণের পক্ষে কথা বললে, তাকে কারাগারে যেতে হয়। গুম, খুনের শিকার হয়। নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে আত্মীয়-স্বজন পরিবার পরিজনকে। এটাই হলো আওয়ামী লীগের দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে স্বাধীনতা মিথ্যাচার। ইতিহাসের পাতায় ঘৃণিত, ধোকাবাজ, মিথ্যাচার একটি দল যার নাম আওয়ামী লীগ।
অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস. ইউ. নুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এড.সৈয়দুল আমিন, সাংস্কৃতিক দল চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট কর আইনজীবী সনজয় আশ্চর্য, সাংস্কৃতিক দলের সহ-সম্পাদক আবু বক্কর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম (মানবিক), সাংস্কৃতিক দল চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য কর আইনজীবী মোঃ কুতুব উদ্দিন, সাংস্কৃতিক দলের নেতা মোহাম্মদ রিপন, শ্রমিক নেতা মোঃ আবুল কালাম, মো. খোকন প্রমুখ।




