সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়াঃ সাতকানিয়ায় নৌকার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু হয়েছে। নৌকাকে তারা ডুবিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উঠেপড়ে লেগেছে। আওয়ামীলীগ বিক্রি করে টাকার খেলায় মেতে উঠেছে। ডা. মিনহাজ ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড চেয়ারম্যান সুমন ও সহযোগি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ ও নির্বাচনী পরিবেশকে ধ্বংস করছেন। তিনি এসব কর্মকান্ড ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে বলে তার বক্তব্যে জানান।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগে হামলা ও বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. আবু রেজা নদভী একথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. নদভী বলেন, সাতকানিয়ায় নৌকার সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনা সুস্থ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে অবগত করলেও রহস্যজনক কারণে অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। অথচ চরতিসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী অপ্রীতিকর ঘটনার আগে ও পরে প্রশাসনকে অবগত করলেও তারা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমপি নদভীর স্ত্রী ও নির্বাচন পরিচলনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, অতীত ১০ বছরে সাতকানিয়ার জনপদের মানুষ নিরাপদে ছিল। এমপি নদভীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফল স্বরূপ নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে স্বতঃস্ফূর্ততায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মামনীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধি অপশক্তি নৌকার বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব নৌকার বিরুদ্ধে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও অকথ্য ভাষায় বিষেদাগার করে বেড়াচ্ছন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষনার পর থেকে মোতালেবকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগন যখন প্রত্যাখ্যান করেছে ঠিক সে সময় তাঁর (মোতালেব) নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জনগনের ঘরবাড়িতে হামলা ও লুটপাট শুরু করেছেন।
অপরদিকে গত বৃহষ্পতিবার রাতে চরতির কাটাখালি ব্রীজ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্ত্রাসী সাইফুল, মোস্তফা, নজরুল ইসলাম ও লম্বা ফারুকসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রিজিয়া রেজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন। হামলায় চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ ২০/২৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয় বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতস্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বকারী ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব এবং আমার নিজস্ব কোন সন্ত্রাসী বাহিনী ও সেকেন্ড ইন কমান্ড নাই, তবে সাধারণ নিরীহ ভোটাররাই আমাদের শক্তি। যারা আগামী ৭ জানুয়ারী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনে আমাদের পক্ষে ঈগল প্রতীকে ভোট বিপ্লব ঘটাবেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মির্জা কচির উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আবছার চৌুধুরী, উপ দপ্তর সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল কান্তি দাশ, চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী, সাইদুর রহমান দুলাল ও এড. আবু জাফরসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।



