নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক পরিচালনাধীন নগরীর চান্দঁগাওয়ে সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক নিয়োগ ও কোচিং বাণিজ্য এবং শিক্ষার্থীদের খাতা, গলার টাই ও ডায়েরী বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতসহ করেছেন নামে বেনামে সম্পদের পাহাড়। যার অভিযোগও রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) কার্যালয়ে।

অভিযোগ আছে, ২০০৮ সালে সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ২০০৯ সালে বি.এড প্রশিক্ষণহীন সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন মো. নুরুল আলম। যদিও সরকারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিম্ন মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়েগের ক্ষেত্রে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ বি.এড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার নিয়ম থাকলেও অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের তাও ছিলনা। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন। প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতি এবং শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়েছেন কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানের আইন ভঙ্গ করে বিগত ১১ বছর যাবত শিক্ষার্থীদের খাতা, গলায় পরিহিত টাই ও ডায়েরী বিক্রি করে প্রতি বছরে ২০ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া ৫ম, ৮ম, ১০ম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কোচিং বাণিজ্য করে অবৈধ আয় এবং প্রতিষ্ঠানের টাকায় কেনা গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। ওই গাড়ির চালক, জ্বালানি এবং অন্যান্য ভাতাদিসহ মাসে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে যোগদানের পর থেকে সিডিএ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন র্দূনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তিতে কোন পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করা হলেও সোহান রহমানকে টাকার বিনিময়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক করা হয়। অথচ তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে বিএ (অনার্স) সম্পন্ন করেছেন এবং বিধি মোতাবেক তার ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও ছিল না।

এছাড়া অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ জন মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেন। অধ্যক্ষ নুরুল আলম যোগদানের পর থেকে সু-কৌশলে তার শশুর বাড়ি চকরিয়া এলাকার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শ্যালক সম্পর্কিয় জসিম উদ্দীন, তার বোন হাসিনা আক্তার ও স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমসহ অধ্যক্ষ নুরুল আলমের শশুর বাড়ির ৭ আত্মীয় এবং ফাহমিদা কাদের সোভা নামে আরও এক আত্মীয় ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। এছাড়াও ভাতিজি ড. ইসরাত কবিরকে (বর্তমানে নেই) চাকুরি না করেও একক ক্ষমতা বলে দুই মাসের বেতন দেয়ার অভিযোগও আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, অবৈধভাবে (জোর করে) প্রতিমাসের শিক্ষকদের সেলারি সীট থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বেতনের একটি অংশ কেটে নিলেও সেই টাকা পান না শিক্ষকরা। এসব টাকা অধ্যক্ষের পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিফট দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া নামমাত্র দরপত্র আহবান করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ড উন্নয়ন করে টাকা হাতান তিনি। ফার্নিচার ক্রয়, ভবন সংস্কার ও রং করা এবং বিজ্ঞানাগারের যাবতীয় মামলামাল ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেন তিনি।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্রয়কৃত সকল কম্পিউটার ও ল্যাবের যাবতীয় যন্ত্রাংশ তার নিজস্ব ‘আলফা কম্পিউটার’ থেকে ক্রয় করা হয়। এসব যন্ত্রাংশের দাম বেশি রাখা হলেও তা নিম্নমানসম্পন্ন। তার এসব কাজের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে প্রশাসনিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি করা হয়। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে এমন ঘটনায় শেখ মো. এরশাদ হোসেন নামে এক শিক্ষক ও মোজম্মেল হক নামের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন অধ্যক্ষ নুরুল আলম। শুধু এতেই তিনি ক্ষান্ত হননি, স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মচারী মোজম্মেল হককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। গত ৮, ৯ মার্চ-২০২১ এ ছাত্র-শিক্ষকরা এ নিয়ে আন্দোলনও করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আজকের নয়। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে। সিডিএ কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে তিনি নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট শিক্ষা উপকরণ বিক্রি, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে (পারসেন্টিস) হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এ নিয়ে সবাই দীর্ঘদিন চুপ থাকলেও অধ্যক্ষ নুরুল আলমের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২০১৪ সালে শিক্ষা সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক কর্মচারীরা। সেসময় একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও অধ্যক্ষ নুরুল আলমের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে সিডিএ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই প্রতিবেদন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে শিক্ষক কর্মচারীরা পরিচয় গোপন রেখে দুদকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যা এখনও তদন্তাধীন।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিডিএ পাবলিক স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এনিয়ে তদন্ত চলছে।’

তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র। কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার চাকুরি জীবন শেষের পথে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিডিএ কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও কয়েক বছর আমাকে রাখতে পারে। আমার চাকরির সময় আর যাতে না বাড়ে সেজন্য শিক্ষক-কর্মচারিদের একটি অংশ ষড়যন্ত্র করছে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

পরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ’র মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে প্রথম দিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে জানান।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক পরিচালনাধীন নগরীর চান্দঁগাওয়ে সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক নিয়োগ ও কোচিং বাণিজ্য এবং শিক্ষার্থীদের খাতা, গলার টাই ও ডায়েরী বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়মে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতসহ করেছেন নামে বেনামে সম্পদের পাহাড়। যার অভিযোগও রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) কার্যালয়ে।

অভিযোগ আছে, ২০০৮ সালে সিডিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ২০০৯ সালে বি.এড প্রশিক্ষণহীন সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন করে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন মো. নুরুল আলম। যদিও সরকারি নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিম্ন মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়েগের ক্ষেত্রে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ বি.এড প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার নিয়ম থাকলেও অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের তাও ছিলনা। তিনি যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেন। প্রতিষ্ঠানে স্বজনপ্রীতি এবং শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য করে হাতিয়েছেন কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানের আইন ভঙ্গ করে বিগত ১১ বছর যাবত শিক্ষার্থীদের খাতা, গলায় পরিহিত টাই ও ডায়েরী বিক্রি করে প্রতি বছরে ২০ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এছাড়া ৫ম, ৮ম, ১০ম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কোচিং বাণিজ্য করে অবৈধ আয় এবং প্রতিষ্ঠানের টাকায় কেনা গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। ওই গাড়ির চালক, জ্বালানি এবং অন্যান্য ভাতাদিসহ মাসে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৯ সালে যোগদানের পর থেকে সিডিএ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন র্দূনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তিতে কোন পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করা হলেও সোহান রহমানকে টাকার বিনিময়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক করা হয়। অথচ তিনি তৃতীয় শ্রেণিতে বিএ (অনার্স) সম্পন্ন করেছেন এবং বিধি মোতাবেক তার ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও ছিল না।

এছাড়া অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে ১২ জন মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেন। অধ্যক্ষ নুরুল আলম যোগদানের পর থেকে সু-কৌশলে তার শশুর বাড়ি চকরিয়া এলাকার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শ্যালক সম্পর্কিয় জসিম উদ্দীন, তার বোন হাসিনা আক্তার ও স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমসহ অধ্যক্ষ নুরুল আলমের শশুর বাড়ির ৭ আত্মীয় এবং ফাহমিদা কাদের সোভা নামে আরও এক আত্মীয় ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। এছাড়াও ভাতিজি ড. ইসরাত কবিরকে (বর্তমানে নেই) চাকুরি না করেও একক ক্ষমতা বলে দুই মাসের বেতন দেয়ার অভিযোগও আছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, অবৈধভাবে (জোর করে) প্রতিমাসের শিক্ষকদের সেলারি সীট থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে বেতনের একটি অংশ কেটে নিলেও সেই টাকা পান না শিক্ষকরা। এসব টাকা অধ্যক্ষের পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিফট দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া নামমাত্র দরপত্র আহবান করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ড উন্নয়ন করে টাকা হাতান তিনি। ফার্নিচার ক্রয়, ভবন সংস্কার ও রং করা এবং বিজ্ঞানাগারের যাবতীয় মামলামাল ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেন তিনি।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্রয়কৃত সকল কম্পিউটার ও ল্যাবের যাবতীয় যন্ত্রাংশ তার নিজস্ব ‘আলফা কম্পিউটার’ থেকে ক্রয় করা হয়। এসব যন্ত্রাংশের দাম বেশি রাখা হলেও তা নিম্নমানসম্পন্ন। তার এসব কাজের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে প্রশাসনিক, আর্থিক ও মানসিক হয়রানি করা হয়। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়। ইতোপূর্বে এমন ঘটনায় শেখ মো. এরশাদ হোসেন নামে এক শিক্ষক ও মোজম্মেল হক নামের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন অধ্যক্ষ নুরুল আলম। শুধু এতেই তিনি ক্ষান্ত হননি, স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন কর্মচারী মোজম্মেল হককে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। গত ৮, ৯ মার্চ-২০২১ এ ছাত্র-শিক্ষকরা এ নিয়ে আন্দোলনও করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আজকের নয়। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে। সিডিএ কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে তিনি নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট শিক্ষা উপকরণ বিক্রি, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও যন্ত্রাংশ ক্রয়ে (পারসেন্টিস) হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এ নিয়ে সবাই দীর্ঘদিন চুপ থাকলেও অধ্যক্ষ নুরুল আলমের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২০১৪ সালে শিক্ষা সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক কর্মচারীরা। সেসময় একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও অধ্যক্ষ নুরুল আলমের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে সিডিএ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই প্রতিবেদন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে শিক্ষক কর্মচারীরা পরিচয় গোপন রেখে দুদকের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যা এখনও তদন্তাধীন।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিডিএ পাবলিক স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এনিয়ে তদন্ত চলছে।’

তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র। কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার চাকুরি জীবন শেষের পথে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সিডিএ কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও কয়েক বছর আমাকে রাখতে পারে। আমার চাকরির সময় আর যাতে না বাড়ে সেজন্য শিক্ষক-কর্মচারিদের একটি অংশ ষড়যন্ত্র করছে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

পরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ’র মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে প্রথম দিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে জানান।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।