নিজস্ব প্রতিবেদক: সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে দুই প্রতিবেশী পরিবারের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তিন নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তিন নারীকে দুই যুবক পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে ঘটনার কোন ধরনের মামলা না হওয়ায় পুলিশ কাউকে এখনো আটক করেনি।

স্থানীয়রা জানায়, গাছ থেকে জাম পাড়তে বাধা দেওয়ায় ওই নারীদের পেটানো হয় বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মারধরের একটি ভিডিও গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তৌহিদুল ইসলাম ও আলমগীর নামে দুইজন লাঠি হাতে ওই তিন নারীর দিকে তেড়ে আসেন। এক পর্যায়ে তৌহিদুল এক নারীকে মারধর করেন। পরে আলমগীরও এর সঙ্গে যুক্ত হন। তিন নারীকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।

হামলায় আহত তিনজন হলেন- যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী শ্রীমতি রানী দাস (৩০), মিলন চন্দ্র দাসের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস (৩২) ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী রীমা রানী দাস (২৭)। আহত তিন নারীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ভাই প্রবাসী তপন দাস জানান, তারা প্রবাসে থাকার সুবাদে জাল দলিল করে তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছেন তৌহিদুলরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের গাছ থেকে জাম পাড়তে গেলে পরিবারের নারী সদস্যরা বাধা দেন। তাদের পিটিয়ে আহত করেন তৌহিদুল ও আলমগীর। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা সবাই প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে এমন কেউ নেই যে থানায় গিয়ে মামলা করবেন।

এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ আর মানবতাবাদের দেশে এমন ঘটনা অহরহ। মানবতাবাদীরা এসব ঘটনায় নীরব।
৬ বছর যাবৎ তারা এই বাড়ি দখলের জন্য মানসিক , শারিরীক অত্যাচার করছে। আমাদের এত এত অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়ানো সুশীলদের কাউকে  এসব নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য দেখছি না।

দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, সীতাকুন্ডের বাশবাড়িয়া ১ং ওয়ার্ডে হিন্দুর সম্পদ ও বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে নারীদের শ্লীলতাহানীসহ  নির্মম শারিরীক অত্যাচারের ভিডিও টি দেখলে পশু ও চোখের জল ফেলবে । দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর প্রতিনিয়ত এমন অত্যাচার ঘটলেও দেশের প্রতিক্রিয়াশীল প্রশাসনের একটি অংশ অভিযোগ করলেও, ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এই অমানবিক অত্যাচার । রাষ্ট্র ও রাজনীতি কি এটাই চাইছে ?

অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম দাবি করেন, তাদের গাছ থেকে জাম পাড়তে গেলে তিন নারী বাধা দেন। এ সময় নারীরা তাদের ওপর হামলা চালালে তারাও তাঁদের মারধর করেন।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীদের কেউ মামলা করতে আসেননি। মামলা করার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে দুই প্রতিবেশী পরিবারের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তিন নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। তিন নারীকে দুই যুবক পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে ঘটনার কোন ধরনের মামলা না হওয়ায় পুলিশ কাউকে এখনো আটক করেনি।

স্থানীয়রা জানায়, গাছ থেকে জাম পাড়তে বাধা দেওয়ায় ওই নারীদের পেটানো হয় বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মারধরের একটি ভিডিও গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তৌহিদুল ইসলাম ও আলমগীর নামে দুইজন লাঠি হাতে ওই তিন নারীর দিকে তেড়ে আসেন। এক পর্যায়ে তৌহিদুল এক নারীকে মারধর করেন। পরে আলমগীরও এর সঙ্গে যুক্ত হন। তিন নারীকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।

হামলায় আহত তিনজন হলেন- যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী শ্রীমতি রানী দাস (৩০), মিলন চন্দ্র দাসের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস (৩২) ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের স্ত্রী রীমা রানী দাস (২৭)। আহত তিন নারীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

যোগেন্দ্র চন্দ্র দাসের ভাই প্রবাসী তপন দাস জানান, তারা প্রবাসে থাকার সুবাদে জাল দলিল করে তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছেন তৌহিদুলরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের গাছ থেকে জাম পাড়তে গেলে পরিবারের নারী সদস্যরা বাধা দেন। তাদের পিটিয়ে আহত করেন তৌহিদুল ও আলমগীর। তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরা সবাই প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে এমন কেউ নেই যে থানায় গিয়ে মামলা করবেন।

এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ আর মানবতাবাদের দেশে এমন ঘটনা অহরহ। মানবতাবাদীরা এসব ঘটনায় নীরব।
৬ বছর যাবৎ তারা এই বাড়ি দখলের জন্য মানসিক , শারিরীক অত্যাচার করছে। আমাদের এত এত অসাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়ানো সুশীলদের কাউকে  এসব নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য দেখছি না।

দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, সীতাকুন্ডের বাশবাড়িয়া ১ং ওয়ার্ডে হিন্দুর সম্পদ ও বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে নারীদের শ্লীলতাহানীসহ  নির্মম শারিরীক অত্যাচারের ভিডিও টি দেখলে পশু ও চোখের জল ফেলবে । দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর প্রতিনিয়ত এমন অত্যাচার ঘটলেও দেশের প্রতিক্রিয়াশীল প্রশাসনের একটি অংশ অভিযোগ করলেও, ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে এই অমানবিক অত্যাচার । রাষ্ট্র ও রাজনীতি কি এটাই চাইছে ?

অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম দাবি করেন, তাদের গাছ থেকে জাম পাড়তে গেলে তিন নারী বাধা দেন। এ সময় নারীরা তাদের ওপর হামলা চালালে তারাও তাঁদের মারধর করেন।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীদের কেউ মামলা করতে আসেননি। মামলা করার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।