নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের সাংবাদিকতা পুরস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর বসেছিল গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।তিন পার্বত্য জেলার সাংবাদিকের জনক ও চারণ সাংবাদিক খ্যাত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার খ্যাতিমান প্রবীন সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ পেলেন এই বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড। জাক জমক পূর্ণ এই আয়োজন রূপ নেয় প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের মিলনমেলায়। সাংবাদিকদের পাশাপাশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, বিশিষ্টজন ও তারকারাও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান বৃহত্তর তিন পার্বত্যজেলার সাংবাদিকতাকে যিনি আলোকিত করেছেন,তৃণমূল সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তার হাত ধরেই বৃহত্তর তিন পার্বত্যজেলায় আজ বহু সাংবাদিকের জন্ম।যে সময়টাতে তিনি পার্বত্যাঞ্চলে সাংবাদিকতা করেছেন সে সময়ে ছিলনা চট্টগ্রাম বা সারা দেশের সাথে পার্বত্য জেলাসমুহের সাথে উন্নত কোন  যোগাযোগ ব্যবস্থা,ছিল না ঐসময়ে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ। বলতে গেলে খুব একটা কঠিন সময় পার করে এসেছেন তিনি।তখন পার্বত্য এলাকায় তথাকথিত শান্তি বাহিনীসহ এক বিশৃংখল পরিবেশে প্রতিমুহুর্তে মৃত্যু ভয় সহ বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে তাকে সাংবাদিকতা করতে হয়েছে।এখন দেশে উন্নয়নের জোয়ারে পার্বত্য জেলাগুলোতেও উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে এবং পার্বত্য এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কালক্রমে প্রিন্টিং মিডিয়া বেড়েছে,ইলেকট্রনিক মিডিয়া বেড়েছে,সাংবাদিক বেড়েছে,বেড়েছে প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা। তিন পার্বত্য জেলায় তার বিশেষ অবদানের জন্যে তিনি এ পর্যন্ত বহু খ্যাতি ও বহু পুরুস্কার পেয়েছেন নিজ জেলাসমুহে। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয় স্বার্থে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। অন্ততঃ বয়সের শেষ প্রান্তে এ প্রবীণ সাংবাদিককে একুশে পদকে ভূষিত করা হলে পার্বত্যবাসী স্বস্তি পেতো ও কৃতার্থ হতো বলে তিন পার্বত্য জেলার সর্বমহলের অভিমত।
সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনা, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলেন, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক এর  জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের পাশাপাশি ১৯৮৬-২০০৮ পর্যন্ত নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবেও কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ইং পর্যন্ত বিবিসি’তে কাজ করেছিলেন।জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এ ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন
প্রকাশক হিসেবে তিনি নিজের পত্রিকা তিন পার্বত্য জেলার বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি’র প্রকাশক-সম্পাদক।এছাড়া চাকমা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাকমা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭), অধীর কান্তি বড়ুয়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য), হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে,ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫) প্রকাশ করেন।
তিনি সম্মাননা এবং পদক পেয়েছেন যথাক্রমেঃ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ-সাংবাদিকতায় অবদান-২০০১, ১৯৯০সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে তার জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে।
বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে  সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, “শেষ বয়সে এসে এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি আমার ৫২ বছরের সাংবাদিকতার জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছে।’জীবনে অনেক প্রোগ্রামে গেছি। অনেক পুরষ্কার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। কিন্তু জীবনের এই শেষ সময়ে এসে বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে আমাদের সম্মানিত করল, তা সত্যিই বিরল। জীবনের সব পাওয়া না পাওয়া এই সম্মাননার মাধ্যমে পূরণ হয়ে গেছে। আর কোনো পাওয়ার নেই এই শেষ সময়ে। তবে খুব করে চাইব যেন এই আয়োজনটা সব সময় চালু রাখা হয়”।
উল্লেখ্য,রাজশাহী বিভাগ,রংপুর বিভাগ,ময়মনসিংহ বিভাগ,খুলনার বিভাগ,চট্টগ্রাম বিভাগ,বরিশাল বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মোট ৬৪ জন সাংবাদিককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে  এই বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা থেকে নাছির উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লার আবুল হাসানাত বাবুল, ফেনীর ওছমান হারুন মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোঃ আরজু মিয়া, রাঙ্গামাটির এ কে এম মকছুদ আহমেদ, নোয়াখালীর একেএম জুবায়ের, চাঁদপুরের গোলাম কিবরিয়া, লক্ষীপুরের হোসাইন আহমেদ হেলাল, কক্সবাজারের প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, খাগড়াছড়ির তরুণ কুমার ভট্টাচার্য ও বান্দরবানের প্রিয়দর্শী বড়ুয়া এ মিডিয়া এওয়ার্ড পান।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের সাংবাদিকতা পুরস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আসর বসেছিল গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।তিন পার্বত্য জেলার সাংবাদিকের জনক ও চারণ সাংবাদিক খ্যাত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার খ্যাতিমান প্রবীন সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ পেলেন এই বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড। জাক জমক পূর্ণ এই আয়োজন রূপ নেয় প্রবীণ ও নবীন সাংবাদিকদের মিলনমেলায়। সাংবাদিকদের পাশাপাশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, বিশিষ্টজন ও তারকারাও উপস্থিত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান বৃহত্তর তিন পার্বত্যজেলার সাংবাদিকতাকে যিনি আলোকিত করেছেন,তৃণমূল সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি এ কে এম মকছুদ আহমেদ। তার হাত ধরেই বৃহত্তর তিন পার্বত্যজেলায় আজ বহু সাংবাদিকের জন্ম।যে সময়টাতে তিনি পার্বত্যাঞ্চলে সাংবাদিকতা করেছেন সে সময়ে ছিলনা চট্টগ্রাম বা সারা দেশের সাথে পার্বত্য জেলাসমুহের সাথে উন্নত কোন  যোগাযোগ ব্যবস্থা,ছিল না ঐসময়ে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ। বলতে গেলে খুব একটা কঠিন সময় পার করে এসেছেন তিনি।তখন পার্বত্য এলাকায় তথাকথিত শান্তি বাহিনীসহ এক বিশৃংখল পরিবেশে প্রতিমুহুর্তে মৃত্যু ভয় সহ বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে তাকে সাংবাদিকতা করতে হয়েছে।এখন দেশে উন্নয়নের জোয়ারে পার্বত্য জেলাগুলোতেও উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে এবং পার্বত্য এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। কালক্রমে প্রিন্টিং মিডিয়া বেড়েছে,ইলেকট্রনিক মিডিয়া বেড়েছে,সাংবাদিক বেড়েছে,বেড়েছে প্রতি ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা। তিন পার্বত্য জেলায় তার বিশেষ অবদানের জন্যে তিনি এ পর্যন্ত বহু খ্যাতি ও বহু পুরুস্কার পেয়েছেন নিজ জেলাসমুহে। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলায় জাতীয় স্বার্থে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। অন্ততঃ বয়সের শেষ প্রান্তে এ প্রবীণ সাংবাদিককে একুশে পদকে ভূষিত করা হলে পার্বত্যবাসী স্বস্তি পেতো ও কৃতার্থ হতো বলে তিন পার্বত্য জেলার সর্বমহলের অভিমত।
সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনা, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলেন, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক এর  জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। দৈনিক ইত্তেফাকের পাশাপাশি ১৯৮৬-২০০৮ পর্যন্ত নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবেও কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ইং পর্যন্ত বিবিসি’তে কাজ করেছিলেন।জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এ ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন
প্রকাশক হিসেবে তিনি নিজের পত্রিকা তিন পার্বত্য জেলার বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক গিরিদর্পণ ও সাপ্তাহিক বনভূমি’র প্রকাশক-সম্পাদক।এছাড়া চাকমা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাকমা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭), অধীর কান্তি বড়ুয়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য), হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে,ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫) প্রকাশ করেন।
তিনি সম্মাননা এবং পদক পেয়েছেন যথাক্রমেঃ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ-সাংবাদিকতায় অবদান-২০০১, ১৯৯০সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে তার জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে।
বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে  সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, “শেষ বয়সে এসে এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তি আমার ৫২ বছরের সাংবাদিকতার জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিয়েছে।’জীবনে অনেক প্রোগ্রামে গেছি। অনেক পুরষ্কার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। কিন্তু জীবনের এই শেষ সময়ে এসে বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে আমাদের সম্মানিত করল, তা সত্যিই বিরল। জীবনের সব পাওয়া না পাওয়া এই সম্মাননার মাধ্যমে পূরণ হয়ে গেছে। আর কোনো পাওয়ার নেই এই শেষ সময়ে। তবে খুব করে চাইব যেন এই আয়োজনটা সব সময় চালু রাখা হয়”।
উল্লেখ্য,রাজশাহী বিভাগ,রংপুর বিভাগ,ময়মনসিংহ বিভাগ,খুলনার বিভাগ,চট্টগ্রাম বিভাগ,বরিশাল বিভাগ ও সিলেট বিভাগের মোট ৬৪ জন সাংবাদিককে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে  এই বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা থেকে নাছির উদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লার আবুল হাসানাত বাবুল, ফেনীর ওছমান হারুন মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোঃ আরজু মিয়া, রাঙ্গামাটির এ কে এম মকছুদ আহমেদ, নোয়াখালীর একেএম জুবায়ের, চাঁদপুরের গোলাম কিবরিয়া, লক্ষীপুরের হোসাইন আহমেদ হেলাল, কক্সবাজারের প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, খাগড়াছড়ির তরুণ কুমার ভট্টাচার্য ও বান্দরবানের প্রিয়দর্শী বড়ুয়া এ মিডিয়া এওয়ার্ড পান।