ঢাকা ব্যুরো: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে লাশ রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ঐ লাশ উদ্ধার করে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনে দাফন করা হয়।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট—ইপিআরের বাঙালি পল্টনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন। মোশতাক সরকারের ৮১ দিনের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কর্মসূচি: জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পক্ষকালব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য :৩০ মে ও ৩১ মে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ এবং দরিদ্র মানুষদের খাবার বিতরণ। এছাড়া আগামী ৭ জুন পর্যন্ত আলোচনাসভা, চিত্রপ্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।



