ক্রাইম প্রতিবেদক: গত শুক্রবার ভোরে সারাদেশে সংগঠিত ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম মহানগরীর তিনটি বহুতল  ভবন হেলে পড়েছে। নগরীর চকবাজারের উর্দু গলি ও বহদ্দারহাট  খাজা রোডের সাবানঘাটা এলাকায় এই দুটি ভবন হেলে পড়ে। নগরীতে ঝুকিপুন অনেক ভবন রয়েছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে চসিক ও চউক কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে।

জানা গেছে, চকবাজার  উর্দূ গলির ভবনটি পাশের  আরেকটি ভবনে হেলে পড়ায় দুটি ভবনের বাসিন্দারাই আতঙ্কে রয়েছেন। তবে খাজা সড়কের হেলে পড়া ভবন এবং এটি পাশের যে ভবনে হেলে পড়েছে সেটিও একই মালিকের।

এদিকে নগরীর হালিশহর পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের খাল পাড়ে নিউ এল ব্লকের তিন নম্বর লেইনের ১২ নম্বর ‘সুফিয়ান ভবন’ নামে ৬ তলা একটি ভবন পাশের আর একটি ভবনের উপর হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই দুটি ভবনে থাকা বাসিন্দারাও।

স্থানীয়রা জানায়, কাপাসগোলায় চারতলা ভবনটি হেলে পড়েছে পাশের ফরিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে। হেলে পড়া ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁক থাকলেও তিনতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি লেগে গেছে পাশের ফরিদ মিয়ার পাঁচতলা ভবনে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ৩টি ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হেলে থাকা ভবন তিনটি এখন কতাটা ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস দি ক্রাইমকে বলেন, নগরের দু’টি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিডিএর টিম ভবনগুলো পরিদর্শন করছে। খাজা রোডের চারতলা ভবনটি একটু হেলে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমাদের টিমের সদস্যরা। চকবাজারের ভবনটি পরিদর্শন করে টিম এখনো রিপোর্ট দেয়নি।

তিনি জানান, ফাইনালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয় তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ভবন ভাঙার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ (ইইআরসি) এর গবেষণায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৭৮ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো। ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্রাইম প্রতিবেদক: গত শুক্রবার ভোরে সারাদেশে সংগঠিত ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম মহানগরীর তিনটি বহুতল  ভবন হেলে পড়েছে। নগরীর চকবাজারের উর্দু গলি ও বহদ্দারহাট  খাজা রোডের সাবানঘাটা এলাকায় এই দুটি ভবন হেলে পড়ে। নগরীতে ঝুকিপুন অনেক ভবন রয়েছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে চসিক ও চউক কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে।

জানা গেছে, চকবাজার  উর্দূ গলির ভবনটি পাশের  আরেকটি ভবনে হেলে পড়ায় দুটি ভবনের বাসিন্দারাই আতঙ্কে রয়েছেন। তবে খাজা সড়কের হেলে পড়া ভবন এবং এটি পাশের যে ভবনে হেলে পড়েছে সেটিও একই মালিকের।

এদিকে নগরীর হালিশহর পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের খাল পাড়ে নিউ এল ব্লকের তিন নম্বর লেইনের ১২ নম্বর ‘সুফিয়ান ভবন’ নামে ৬ তলা একটি ভবন পাশের আর একটি ভবনের উপর হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই দুটি ভবনে থাকা বাসিন্দারাও।

স্থানীয়রা জানায়, কাপাসগোলায় চারতলা ভবনটি হেলে পড়েছে পাশের ফরিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে। হেলে পড়া ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত দুই ফুটের মতো ফাঁক থাকলেও তিনতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশটি লেগে গেছে পাশের ফরিদ মিয়ার পাঁচতলা ভবনে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ৩টি ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হেলে থাকা ভবন তিনটি এখন কতাটা ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস দি ক্রাইমকে বলেন, নগরের দু’টি এলাকায় ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়েছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিডিএর টিম ভবনগুলো পরিদর্শন করছে। খাজা রোডের চারতলা ভবনটি একটু হেলে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমাদের টিমের সদস্যরা। চকবাজারের ভবনটি পরিদর্শন করে টিম এখনো রিপোর্ট দেয়নি।

তিনি জানান, ফাইনালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হয় তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) ভবন ভাঙার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) পরিচালিত ‘আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার’ (ইইআরসি) এর গবেষণায় জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৭৮ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডের এক লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজারই ভূমিকম্প-ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল ভবন এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো। ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে এসব ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।