নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঁশখালীতে আগামী ১৫ জুন ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু ৫নং কালিপুর ইউনিয়নে তিনজন হত্যা মামলার আসামী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে আলোচিত হচ্ছে।
জানা গেছে. বাঁশখালীতে সরকারী দলীয় প্রতিক নৌকা পেতে কালীপুর ইউনিয়নে চার জন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এড. আ ন ম শাহাদাত আলম, বাঁশখালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মোস্তফার ছোট ভাই ব্যাবসায়ী কাজিম মোস্তফা চৌধুরী কাঞ্চন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নোমান। এখানে আব্দুল গফুর ১৯৯৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে সংগঠিত বাঁশখালি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্শেদ হত্যার চার্জশিটভুক্ত ৭ নং আসামী।
অন্যদিকে মো. নোমান আলোচিত দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনি হত্যার ৮ নং আসামী। অপর দিকে বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহন না করলেও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলামের ভাই বাঁশখালীর বহুল নিন্দনীয় ১১ জন হিন্দু পুড়িয়ে মারার ঘটনার আসামী আমিন চেয়ারম্যান এবারও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন তা এলাকার লোকজন অনেকটা নিশ্চিত করেছেন। এই আমিন চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে এড. শাহাদাত আলমের নৌকা প্রতিকের কাছে চার হাজারেরও অধিক ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। হত্যা মামালার আসামীরা এইভাবে প্রার্থী হওয়াতে সাধারন মানুষের মাঝে ভিতির সঞ্চার হয়েছে।
