ঢাকা ব্যুরো: জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে বির্তকের মধ্যে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির নেতারা। রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকে তুরস্কের উপ-রাষ্ট্রদূত কামাল বুরাক তেমিজেলও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।
রবিবার(২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। গত ১৭ মার্চ গুলশানে এ কার্যালয়েই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে রয়েছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।
১৭ মার্চ বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাদের আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে এটা তো আপনারা জানেন।
“এসব ব্যাপারে উনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে, উনারা তো তার একটা অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, আমেরিকা বলেছে, ব্রিটেন বলেছে, সবাই বলছে।”
তার ওই বক্তব্য নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা গত ২০ এপ্রিল ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, “আমি যে উদ্ধৃতি পড়েছি তা বাস্তবতার সাথে মেলে না। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আমি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি’। এমন শব্দ চয়ন সত্য নয়। এই উদ্ধৃতি নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট।”
পরদিন বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত ‘সঠিক বলেননি’। “আমাদের যিনি বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই মিটিংয়ের পরে, তিনি (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী) কখনোই এ কথা বলেননি, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে কোট করে তিনি কোনো কথা বলেননি।” “তিনি (আমীর খসরু) সামগ্রিকভাবে ইন জেনারেল যে কথাটা বলেছেন, সেটাই উনি (রাষ্ট্রদূত) মিস কোট করেছেন।”



